পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/৫৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

. একাদশ সংখ্যা । ] রামায়ণের রচনাকাল । &అరి ছিলেন। উত্তরকালের ব্রাহ্মণ সৰ্ব্বদা সংস্কৃত.ষ্ঠাৰ ব্যবহার করিতেন বলিয়া বোধ হয় না ; অভ্যাসদোষে যজ্ঞ কৰ্ম্মে নিযুক্ত হইয়াও অপশব্দ ব্যবহার করিয়া বসিতেন । তাহার জন্য প্রায়শ্চিত্তের ব্যবস্থা প্রচলিত হইয়াছিল ।ঞ্চ ব্রাহ্মণকে র্তাহার পবিত্র পদমর্যাদা রক্ষা করিবার জন্ত উত্তর কালের মনীষিগণ নানারূপে চেষ্টা: করিয়া গিয়াছেন। পতঞ্জলির মহাভায্যের আরম্ভেই তাহার প্রম ৭ প্রাপ্ত হওয়া যার । যে ভারতবর্যের আর্য্যসমাজ ধিন প্ররোচনার ব্যাকরণ অধ্যয়ন করিত, সেই ভারতবর্ষে বসিয়া পতঞ্জলি ৰiাকয়ণ-মধ্যয়নের প্রয়োজনসংস্থাপনার্থ গ্রন্থারম্ভেই দীর্ঘবক্তৃতার অবতারণা করিতে বাধ্য হইয়াছেন । ব্যাকরণ অধ্যয়ন করিব কেন ? এই প্রশ্নের অবতারণাই অধঃপতনের সূচনা করিতেছে! পতঞ্জলি প্রাণপণে ব্যাকরণঅধ্যয়নের বিবিধ-প্রয়োজন-সংস্থাপনের জন্য বাকুলত প্রকাশ করিয়া গিয়াছেন। তাছার একটি তর্ক এস্থলে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তাছা তর্ক নহে ; তাহার নাম উত্তেজনা। তাহার তাৎপৰ্য্য এই যে, ब्षiङ्कारः কোন কারণে না হউক, আমরা স্লেচ্ছ না হইরা পড়ি, এইজন্তই - tমাদিগকে ব্যাকরণ অধ্যয়ন করিতে হুইবে ! + আর্য্যসস্তানের পক্ষে স্লেচ্ছ হইরা পড়া নিরতিশয় নিন্দার বিষয় বলিয়া পরিচিত না থাকিলে, ব্যাকরণ অধ্যয়নের জন্ত এইরূপ তর্কে উত্তেজনা করিবার চেষ্ট হইত না ! পাণিনির সময়ে আর্য্যসমাজে কথোপ কখনেও সংস্কৃতশব্দ ব্যবহৃত হইত ; কাতৃg স্বনের সময়ে কথোপকথনে সংস্কৃতভাষার ব্যবহার না করিলে কি কি ক্ষতি হয়, তাষ্ট্রার আলোচনার স্বত্রপাত হইয়াছিল ; পতঞ্জলির সমরে বিশেষ বিশেষ কাৰ্য্যে কথোপকথনেও ংস্কৃতভাষা ব্যবহার করিবার রীতি প্রচলিত রাথিবীর জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করা হইয়াছিল । পাণিনি, ক,ত্যায়ন, ও পতঞ্জলির যুগে কথোপকথনের ভাষায় এইরূপ পরিচয় প্রাপ্ত হওয়া যায়। রামায়ণ রচিত হইবার সমরে কথোপকথনে কিরূপ ভাষা ব্যবহৃত হইত, তাহার মীমাংসা করিতে পারিলে, রামায়ণ কোন সাহিত্যযুগের গ্রন্থ—তাহ নির্ণয় করা সহজ হইবে । রামায়ণে এ বিষয়ে কিরূপ প্রমাণ প্রাপ্ত হওয়া ষায় ? রামায়ণে এই বিষয়ের প্রমাণের আধিক্য ন। থাকিলেও, অভাব থাকা স্বীকার করা যার না। প্রসঙ্গক্রমে যে দুইএকটি প্রমাণ প্রক্রান্ত হইয়াছে, তাহাই যথেষ্ট । তাছাতে রামায়ণরচনাকালে শিক্ষিতসমাজের কথোপকথনে সংস্কৃতভাষা ব্যবহৃত হইবারই পরিচয় প্রাপ্ত হওয়া যায় । ইহুলনামক রাক্ষস ব্রাহ্মণ সাজিয়া শ্রাদ্ধে নিমন্ত্রিত ব্যক্তিগণকে আহার করিত। সে যখন নিমন্ত্ৰণ করিতে বাহির হইত, তখন সংস্কৃতভাষা ব্যবুহার করিত। যথা— “ধারয়ন ব্রাহ্মণং রূপমৃ ইল্বলঃ সংস্কৃতং বদন । আমন্ত্রয়তি বিপ্রান্স শ্রাদ্ধমুদিপ্ত নিযুণঃ " ৩১১৪৬ এই শ্লোকের ব্যাখ্যায় টাকাকার ৰলিয়া গিয়াছেন,--ইম্বল নিমন্ত্রিত ব্যক্তি • * জাহিতাগ্নিরপশাং প্রযুজ্য প্রায়শ্চিষ্ট্ৰীয়াং সারস্বতীমিটিং নিৰপেং। +, ম্লেচ্ছা মা ভূমেত্যৰ্যেন্নং ব্যাকরণম্।