দ্বাদশ সংখ্যা । ] একান্ত লঙ্কোচ দেখিয়া তাহাকে বলা হয়— সফলতার সছুপায় । একি আশ্চৰ্য্য, এতবড় মহৎ যজ্ঞে যোগ : দিতে তোমার আপত্তি ! হায়, অস্তের যোগ দেওয়া এবং তাহার যোগ দেওয়াতে যে কত প্রভেদ, তাহ যে, সে একমুহূৰ্ত্তও ভুলিতে পারিতেছে না। যজ্ঞে আত্মবিসর্জন দেওaার অধিকার ছাড়া আর কোনো অধিকারই যে তাহার নাই। কিন্তু ছাগশিশুর এই বেদন যজ্ঞকৰ্ত্তার পক্ষে বোঝা কঠিন, ছাগ এতই অকিঞ্চিৎকর ! ইম্পীরিয়ালতন্ত্র নিরীহ তিব্বতে লড়াই করিতে যাইবেন, আমাদের অধিকার তঃহার থরচ জোগানো ; সোমালিল্যাণ্ডে বিপ্লবনিবারণ করিবেন, আমাদের অধিকার প্রাণদান করা ; উষ্ণ প্রধান উপনিবেশে ফসল উৎপাদন করিবেন, আমাদের অধিকার সস্তায় মজুর জোগান দেওয়া ! বড়য়-ছোটয় মিলিয়৷ যজ্ঞ করিযার এই নিয়ম । • কিন্তু ইহা লইয়া উত্তেজিত হুইবার কোনো 鬱 প্রয়োজন নাই । সক্ষম এবং অক্ষমের হিসাব যখন এক থfতায় রাখা হুম, কখন জমার অঙ্ক এবং খরচের অঙ্কের ভােগ এমনিভাবে হওয়াই স্বাভাবিক – এবং যাহা স্বাভাবিক, তাহার উপর চোখ রাঙানো চলে না, চোখের জল ফেলাও বৃথা। স্বভাবকে স্বীকাৰু কুরিয়াই কাজ করিতে হইৰুে। ভাবিয়া দেখ, আমরা যখন ইংরেজকে বলিতেছি, “তুমি সাধারণ মনুষ্যস্বভাবের চেয়ে উপরে ওঠ,* তুমি -সুজাতির স্বার্থকে তারতবর্ধের মঙ্গলের কাছে খুৰ্ব্ব কর”, তখন ইংরেজ যদি জবাব দেয়, “জাছ, “তোমার মুখে ধৰ্ম্মোপদেশ Ե, t .৬৪১ আমরা পরে শুনিব, আপাতত তোমার প্রতি আমার বৃক্তব্য এই যে, সাধারণ মনুষ্য । স্বভাবের যে নিখুঁতন কোঠায় আমি অগছি: সেই কোঠায় তুমিও এস, তাহার উপরে উঠিয়া কাজ নাই—স্বজাতির স্বার্থকে তুমি নিজের স্বাৰ্থ কর—স্বজাতির উন্নতির জন্ত তুমি প্রাণ দিতে না পর, অন্তত আরাম বল, অর্থ বল, কিছু একটা দুiও ! তোমাদের দেশের জন্য আমরাই সমস্ত করিয, আর তোমরা নিজে কিছুই করিবে না !” এ কথা বলিলে তাহার কি উত্তর আছে ? বস্তুত আমরা কে কি দিতেছি, কে কি করিতেছি! আর কিছু না করিয়া যদি দেশের খবর লইতাম, তাহাও বুঝি--আলস্তপূৰ্ব্বক তাহা ও লই না । দেশের ইতিহাস ইংরেজ রচনা করে, আমরা তর্জমা করি ; ভাষাতত্ত্ব ইংরেজ উদ্ধার করে, আমরা মুখস্থ করিয়া লই ; ঘরের পাশে কি আছে জানিতে. হইলে ও হাণ্টার বই গতি নাই। তার পরে দেশের কৃষিসম্বন্ধে বল, বাণিজ্যসম্বন্ধে বল, ভূতত্ত্ব বল, নৃতত্ত্ব বল, নিজের চেষ্টার দ্বারা আমরা কিছুই সংগ্ৰহ করিতে চাই না। স্বদেশের প্রতি এমন একান্ত ঔৎসুক্যহীনতাসত্ত্বেও আমাদের দেশের প্রতি কৰ্ত্তব্যপালনসম্বন্ধে বিদেশীকে আমরা উচ্চতম কৰ্ত্তব্যনীতির উপদেশ দিতে কুষ্ঠিত হই না । সে উপদেশ কোনোদিনই কোনো কাজে লাগিতে পারে না । কারণ, যে ব্যক্তি কাজ করিতেছে, তাহার ঘূৰি আছে, বুে ৰাক্তি কাজ করিতেছে না, কথা বলিতেছে, তাহার मांब्रिर नाह, थरे उडब পক্ষের মধ্যে কখনই যথার্থ আদানপ্রদান চলিতে পারে না।
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/৬৪৮
অবয়ব