পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సిశి বঙ্গদর্শন। [ ৪র্থ বর্ষ, জ্যৈষ্ঠ। একহি নগর বসি পছ ভেল পরবশ কোনমতেই তাহ স্বীকার করিতে চান না। কইসে পুরত মন মোরা ॥ গ্রিয়ার্স কয়েকটি দৃষ্টান্ত দিয়াছেন। আধু-* পন্থসঙ্গ কামিনী বহুত সোঁহাগিনী নিক মৈথিলভাষায় ‘পারা’ (করিবার শক্তি ) চত্রনিকট বইসে তার । অর্থে ‘পার’শব্দের ব্যবহার নাই, কিন্তু বিদ্যাভণহি বিদ্যাপতি শুমু বরধোবতি 影 আপন হৃদয় ধরু সারা ৷ * মাধব, তুমি বিদেশে যাইও না ; আমার ब्रङ्ग-' ब्रट्छ ( श्रांनमा) जहेब्रॉ यांझे८व, ( *ीtव्र कि) কোন সংবাদ লইৰে ? বলুে ( ব্রজপুরী s. মখুরার মধ্যস্থিত বন ) গমন করিয়া অন্তমতি হইবে,ছে প্ৰাণপতি, জামাকে ভুলিয়া যাইবে। হীরা, মণি, মাণিক্য একটিও চাহিব না, প্রভু তোধাকেই ফিরিয়া চাহিব । যখন গমন কর, ( আমার ) চক্ষ অশ্রুপূর্ণ হয়, প্রভূ, দর্শমেরও সীমা হয় না ( চক্ষু ভরিয়া তোমাকে দেখিতেও পাই না ) । এক নগরে বাস করিয়া প্ৰভু পরবশ হইল ( অপর রমণীর প্রেমপ্রার্থ হইল ), আমার মনস্কামনা কিরূপে পূর্ণ হইবে ? প্রভুর সঙ্গে ( থাকিলে ) কামিনী অত্যস্ত ভাগ্যবতী হয়, যেমন চন্দ্রের নিকটে তারা । বিদ্যাপতি কহিতেছে, শুন যুবতীশ্রেষ্ঠ, আপনার হৃদয়ে সার ধর (আয়নির্ভর কর ) । গ্রিয়াসন স্বেরূপ পরিশ্রম করিয়াছিলেন, পদাবলীর অর্থগ্রহণে তদনুরূপ কৃতকাৰ্য্য . হইতে পারেন নাই, ও অনেকস্থলে ভ্রমে পতিত হইয়াছেন । ইহার একটি কৌতুকাৰহ কারণ অাছে। মৈথিল পণ্ডিতেরা লক্ষ্মণাব্দ ধরিয়া বৎসর গণনা করেন, কিন্তু বিদ্যাপতির পদের অর্থ করিবার সময় প্রাচীন কিংৰা আধুনিক : বাংলাভাষার সহিত প্রাচীন মৈথিলভাষীর ৰে কোন সাদৃপ্ত আছে, পতির পদে যে সে অর্থে প্রয়োগ আছে, চাহাতে কোন সংশয় নাই । যথা, “লুবুধৰ নয়ন হুটয় কে পার,” লুন্ধনয়নকে কে হটাইতে ( নিবারণ করিতে ) পারে ? মৈথিল পণ্ডিতেরা এ অর্থ কিছুতেই গ্রহণ করিবেন না। সংস্কৃতে বিশেষ্য ‘পারশব্দের যে অর্থ, তাহার। তাহাই গ্রহণ করবেন । তাহাদের অর্থ—পরপারগামী ( অর্থাৎ বাঞ্চিতপ্রার্থী । লুব্ধনয়নকে কে ফিরাইতে পারে ? গ্রিয়াসন এই কষ্টকল্পিত অর্থ গ্রহণ করিতে অসম্মতি প্রকাশ করেন, কিন্তু পণ্ডিতের বাংলাভাষার অসুন্ধপ অমুবাদ কfরবেন না প্রতিজ্ঞা করিয়াছেন, তাছাদের সে প্রতিজ্ঞ ‘হটয়কে পার' ? বিস্কাপতির আর এক স্থলে আছে—“কহিয় ন পারিয়ু পহমুখ-ভাষা", প্রভুর মুথের ভাষা ( তিনি যাহা কহিয়াছিলেন }, কহিতে পারি না। পণ্ডিতের অর্থ—প্রভুর মুখের ভাষার কথন ( পুনরাবৃত্তি ) পারপ্রাপ্ত হইল না । গৌণাথে বড় প্রভেদ না, তবে পণ্ডিতের অর্থে সুগুপল্লিভ্রমণ করিস্থা নাপিকাধারণের ব্যায়ামকৌশল আছে । আরও এক স্থানে বিস্তাপতি লিখিয়াছেন, “আকম্প কঠিন সহয় কে " পার", কঠিন আলিঙ্গন কে সহিতে পারে ? পণ্ডিতদিগের অর্থ-কঠিন আলিঙ্গনের চরম সীমা কে সহ্য করিতে পারে ? এমন পণ্ডিতমণ্ডলীকে পারির উঠা, দায় । কিন্তু র্যাহাদিগকে গ্রিপ্পার্সন দেখিয়াছিলেন, তাহার