পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/২৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S్చసా8 স্বজিত হইয়া গেল—জনসমুদ্রের কল্পোলকোলাহল, খরস্রোত সংসারের আঘাত-অভিঘাত ক্ষণকালের জন্ত তাহাকে স্পর্শ করিতে পারিল না । কিছুক্ষণ এই অশ্রুজলপ্লাবিত স্বগভীর মেীনের মধ্যে হৃদয়মন নিমগ্ন রাখিয়া একটি আগ্রামের দীর্ঘনিশ্বাস ফেলিয়া রমেশ কহিল— “কেন আমি এখন সপ্তাহের জন্ত বিবাহ স্থগিত রাখিবার প্রস্তাব করিয়াছি, তাহার কারণ কি তুমি জানিতে চাও ?” হেমনলিনী নীরবে মাথা নাড়িল—সে জানিতে চায় না । * রমেশ কহিল, “বিবাহের পরে আমি তোমাকে সব কথা খুলিয়া বলিব ।” এই কথাটায় হেমনলিনীর কপোলের কাছট একটুখানি রাঙা হইয়া উঠিল । অাজ আহারাস্তে হেমনলিনী যখন রমেশের সহিত মিলনপ্রত্যাশায় উৎক্ষকচিত্তে সাজ করিতেছিল, তখন সে অনেক হাসিগল্প, অনেক নিভৃত পরামর্শ, অনেক ছোটখাট স্বথের ছবি কল্পনায় স্বজন করিয়া লইতেছিল। কিন্তু এই যে অল্প কয় মুহুর্তে জুই হৃদয়ের মধ্যে বিশ্বাসের মালা বদল হইয়া গেল—এই যে চোখের জল ঝরিয়া পড়িল, কথাবার্তা কিছুই হইল না, কিছুক্ষণের জন্ত জুইজনে পাশাপাশি দাড়াইয়া রহিল—ইহার নিবিড় আনন্দ, ইহার গভীর শাস্তি, ইহার পরম আশ্বাস সে কল্পনা ও করিতে পারে নাই। চতুর্দিক প্রসন্ন হইয়া গেল, সমস্ত সংসার মেঘমুক্ত আনন্দরশ্মিতে উদ্ভাসিত হইয়া উঠিল—উদার আকাশ স্নেহপূর্ণ পিতৃক্রোড়ের মত উভয়কে বেষ্টন করিয়া ধরিল। षत्रनध्ॉन । ৩য় বর্ষ, আখিল। হেমনলিনী কছিল, “তুমি একবার বাবার कां८छ् यां७, डिनि दिब्रङ ङ्झेब्रः पञांcझन ॥” রমেশ প্রফুল্পচিত্তে সংসাক্সের ছোট-ৰভু আঘাত-সংঘাত বুক পাতিয়া লইবার জম্ভ চলিয়া গেল । - والانج অন্নদাবাবু সমস্ত উদ্বেগ-উৎকণ্ঠীকে ভয় করিতেন—পাছে তাহাতে র্তাহার পরিপাকের বিপাক বৃদ্ধি পায় ; আজিকার গোলমালের পর তিনি একটা শারীরিক জুর্যোগ আশঙ্কা করিয়া হতাশ হইয়া বসিয়া ছিলেন, এমনসময় রমেশ পুনরায় গৃহে প্রবেশ করিল। উৎসুক হইয়া তিনি তাহার মুখের দিকে চাহিলেন । রমেশ কহিল, “নিমন্ত্রণের ফর্দটা যদি আমার হাতে দেন, তবে দিনপরিবর্তনের চিঠি গুলি অজই রওনা করিয়া দিতে পারি।” অন্নদাবাবু কহিলেন, “তবে দিনপরিবর্তনই স্থির রহিল ?” রমেশ ককিল, “হা, অন্ত উপায় আর কিছুই দেখি না ?” অল্পদাবাবু কহিলেন, “দেখ বাপু, তবে আমি ইহার মধ্যে নাই । যাহা কিছু বন্দোবস্ত করিবার, সে তুমিই করিয়ো । আমি লোক হাসাইতে পারিব না। বিবাহব্যাপারটাকে যদি নিজের মর্জি অনুসারে ছেলেখেলা করিয়া তোল, তবে আমার মত বয়সের লোকের ইহার মধ্যে নী থাকাই ভাল। এই লও তোমার নিমন্ত্রণের ফর্দ । ইতিমধ্যে আমি কতকগুলী টাক খরচ করিয়া ফেলিয়াছি, তাহীর