বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩১২ বঙ্গদর্শন । [ ৩য় বর্ষ, কাৰ্ত্তিক । দাড়াইয়া ছিল। যোগেন্দ্র একটুখানি সরিয়া দৃষ্টিতে নিরীক্ষণ করিয়া দেখিয়া লইল । পথ ছাড়িয়া দিল, কিন্তু কমলার মুখের উপর কমল সক্ষুচিত হইয়া পাশের ঘরে চলিয়া হইতে চোখ ফিরাইল না—তাহাকে তীব্র গেল । ক্রমশ । দৃষ্টিতত্ত্ব । عكجسيصصحيحتيخ نجحت عجنتيمتي تتحدضصصصص কৃত্রিম চক্ষু । আধুনিক শারীরতত্ত্ববিৎ পণ্ডিতগণকে দৃষ্টিজ্ঞান-উৎপত্তির কারণ জিজ্ঞাস কর, তাহারা বলিবেন,–চক্ষুর পশ্চাদ্বত্তী কৃষ্ণ পর্দায় ( Retina ) বাহিরের আলোক পড়িয়া উত্তেজনা উপস্থিত করিলে, সেই উত্তেজনা ও মস্তিষ্কের যোগে দৃষ্টিজ্ঞানের সঞ্চার হয় । কিন্তু সেই উত্তেজনাট যে কি, এবং অতি স্বল্প অতীক্রিয় ঈথরতরঙ্গই বা অক্ষিপদায় আঘাত দিব্যমাত্র যে কি প্রকারে দৃষ্টিজ্ঞানের উৎপাদন করে, তৎসম্বন্ধে মতদ্বৈধ আছে । একদল বৈজ্ঞানিকের মতে, অক্ষিপর্দায় লিপ্ত পদার্থবিশেষের রাসায়নিক পরিবর্তন দৃষ্টিজ্ঞানের মুলকারণ। বাহিরের আলোক অক্ষিছিদ্রের (Pupil ) মধ্য দিয়া পর্দালিপ্ত পদার্থে পড়িয়া সেই রাসায়নিক পরিবর্তন সাধন করে। ইহারা আরো বলেন,— এই পরিবর্তন ঠিক সাধারণ রাসায়নিক পরিবর্তনের অনুরূপ নয়, আলোকদ্বারা পর্দালিপ্ত পদার্থ অবস্থাবিশেষে কখন ধ্বংস এবং কখনও বা বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয় । এই wpH azis gf ( Katabolic and Anabolic chanages ) staı qfèwra stora হইয়া থাকে । বাহিরের আলোকদ্বারা আমরা স্বঃপদার্থে যে নানাবর্ণের বিকাশ দেখিতে পাই, ইহাদের মতে উক্ত দুই প্রকার রাসায়নিক পরিবর্তনের ( Metabolic changes ) মিশ্রণই তাহার মূল কারণ । প্রাকৃতিক কাৰ্য্যসকল বাহির হইতে দেখিলে খুব জটিল ও অনিয়ন্ত্ৰিত বলিয়া বোধ হয় সত্য, কিন্তু একবার রহস্তাবরণ উন্মোচিত হইলে তাহাদের প্রত্যেকটির খুটিনাটি ব্যাপারে ও সুব্যবস্থা ও সরল-নিয়ম ধরা পড়িয়া যায়। দৃষ্টিজ্ঞান-উৎপাদনের পূৰ্ব্বোক্ত ব্যাখ্যায় নানা জটিলতা থাকায়, সেটা কতকটা অঙ্গাভাৰিক হইয়া দাড়াইয়াছে, এবং এইজন্ত আজকাল অনেকেই সেটিকে প্রকৃত ব্যাখ্যা বলিয়। স্বীকার করিতে কুষ্টিত হইতেছেন । আলোকপাতমাত্র অক্ষিপর্দালিপ্ত পদার্থের ক্ষয় ও নিমেষমধ্যে সেই ক্ষয়ের