পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম সংখ্যা। J পূরণ এবং তার পর আবার সঙ্গে সঙ্গে দৃষ্টিজ্ঞানের উৎপাদন, এ সকলই আমাদেরও নিকট অসম্ভৰ বলিয়া বোধ হয় । এপ্রকার ত্বরিত রাসায়নিক কাৰ্য্যের উদাহরণ ও জড়বিজ্ঞানে দুর্লভ বটে। যা হউক, দৃষ্টিজ্ঞানোৎপত্তির রাসায়নিক ব্যাখ্যার এই সকল গলদ দেখিয়া, একদল আধুনিক পণ্ডিত তাহার আর-এক মতবাদ প্রচার করিয়াছেন । ইহাদের মতে দৃষ্টিজ্ঞানের মুলকারণ বিদ্যাৎ । আলোকপাতমাত্র কৃষ্ণপদার্থলিপ্ত অক্ষিপর্দায় তড়িৎ উৎপন্ন হয়, এবং তার পর সেই তড়িৎ-তরঙ্গ অক্ষিস্নায়ু (Optic nerve) দ্বারা প্রবাহিত হইয়া মস্তিষ্কে নীত হইলে দৃষ্টিজ্ঞানের সঞ্চার হয় । অক্ষিস্নায়ুর কার্য্য কতকটা টেলিগ্রাফের তারের কার্য্যের অনুরূপ এবং প্রাণিমস্তিষ্কট ষেন টেলিগ্রাসের সঙ্কেতগ্রহণষস্থ,—অতি মূছ তরঙ্গ ও ইহাতে আসিয়া প্রবল সাড়ার উৎপাদক হর । উল্লিখিত নুতন মতবাদ প্রচারের পর এ সম্বন্ধে অীর বিশেষ কোন সংবাদ পা ওয়া যায় নাই । কি কারণে আলোকপাতে তড়িৎ উৎপন্ন হয় এবং চক্ষু প্রবিষ্ট আলোকের প্রকারভেদেই বা কোন প্রক্রিয়ায় বর্ণবৈচিত্র্যের বিকাশ হয়, এই সকল তথ্যের সহজ মীমাংস৷ এই মতবাদে পা ওয়া যায় নাই । ভারতের সুসস্তান বিজ্ঞানাচার্য্য জগদীশ চন্দ্র বস্থ মহাশয় বহু গবেষণাস্বারা সম্প্রতি দৃষ্টিতত্ত্বসম্বন্ধীয় বৈষ্ক্যুতিক মতবাদের পোষক অনেক গুলি প্রত্যক্ষযুক্তি প্রদর্শন করিয়াছেন.। অধ্যাপক বস্থমহাশয়ের এই সকল আবিষ্কারস্বার। শিশু মতবাদটির ভিত্তি সুদৃঢ় হইয়া দাড়াইয়াছে. এবং অপর বৈজ্ঞা मृछैिङरु । ర్సిల নিকগণ দৃষ্টিব্যাপারের যে সকল জটিল ঘটনার কোন কারণই এপর্য্যস্ত উল্লেখ করিতে পারেন নাই, বস্থমহাশয়ের গবেষণায় তাহtদেরও উৎপত্তিতত্ত্ব অবিস্কৃত হইয়া পড়িয়াছে । আমরা বর্তমান প্রবন্ধে অধ্যাপক বসুমহাশয়ের দৃষ্টিতত্ত্বসম্বন্ধীর আবিষ্কারের কিঞ্চিৎ অাভাস দিব । czfs[Csfar ( Holmgren ), ¥ra ( Kuhne), ডিওয়ার (Dewar) এবং ষ্টেনার ( Steiner ) ersJ* প্রাচীন ও আধুনিক অনেক পণ্ডিত দৃষ্টিতত্ত্বসম্বন্ধে নানা পরীক্ষা করিয়াছিলেন । আলোকপাতজনিত বিদ্যুৎপ্রবাহে যে দৃষ্টিজ্ঞানের উৎপত্তি করে, ভেকের চক্ষে আলোকপাত করিয়া ইহারাই তাহা প্রথমে দেখিতে পান । অধ্যাপক বস্থমহাশয়ও পূৰ্ব্ব বৈজ্ঞানিকগণের ন্যায় প্রাণিচক্ষে অালোকপাত করিয়া বিহ্ব্যংলক্ষণ দেখিতে পাইয়াছিলেন এবং হঠাৎ আলোকপাতরোধ ও আলোকের প্রাথর্য্যপরিবর্তন করিলে, প্রবাহের কি প্রকার পরিবর্তন হয়, তাহীও লিপিবদ্ধ রাখিয়াছিলেন । এই পরীক্ষণকালে বসুমহাশয়ের মনে হইয়াছিল, যদি প্রকৃতই আলোকদ্বারা প্রাণিচক্ষে বিহ্ব্যতের উৎপত্তি সম্ভবপর, তবে মুকৌশলে চক্ষুর অনুরূপ একটা যন্ত্ৰ নিৰ্ম্মাণ করিয়া তাহাতে . আলোকপাত করিলে নিশ্চয়ই বিদ্যুতের উৎপত্তি হইবে । এই বিশ্বাসের বশবৰ্ত্তা হইয়া একটি নাতিস্থল রৌপ্যদণ্ডের একপ্রাস্ত” পিটাইয়া বসুমহাশয় সেটাকে অক্ষিকোষের আকার প্রদান করিয়াছিলেন । এবং তার সেই অক্ষিপুটে ব্রোমিনের ( Bromine } শ্ৰলেপছাব কত্ৰিম অস্তিপদ রচনা করিয়া