পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৪৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8\o রমেশ । ই ই, ভুল হইয়াছে বটে । সেই মেয়ের নাম-—তাহার নাম—ওঃ, তাহার নাম চন্দ্রী— কমলা । আশ্চৰ্য্য ! তুমি এমন ভুলিয়া স্বাও । তুমি ত আমারি নাম ভুলিয়াছিলে ! রমেশ । কৌশলের রাজা ভাটের মুখে এই কথা শুনিয়া— কমলা । কোশলের রাজা কোথা হইতে আসিল ? তুমি ষে বলিলে মদ্রদেশের রাজা— রমেশ । সে কি এক জায়গার রাজ। ছিল মনে কর ? সে কোশলেরও রাজা, मdथब्र७ ब्रांख्] । কমলা । দুই রাজ্য বুঝি পাশাপাশি ? রমেশ । একেবারে গায়ে-গায়ে লাগীও । এইরূপে বারংবার ভুল করিতে করিতে ও সতর্ক কমলার প্রশ্নের সাহায্যে সেই সকল ভুল কোনমতে সংশোধন করিতে করিতে রমেশ এইরূপভাবে গল্পটি বলিয়া গেল : — “মদ্ররাজ রণজিৎসিং কাঞ্চীয়াজের নিকট রাজকন্তীকে বিবাহ করিবার প্রস্তাব জানাইয়া দূত পাঠাইয়া দিলেন । কাঞ্চার রাজ। অমরসিং খুসি হইয়া সম্মত হইলেন । “তখন রণজিৎসিংহের ছোট ভাই ইন্দ্রজিৎসিং সৈন্তসামস্ত লইয়া নিশান উড়াইয়৷ কৃড়িানাকাড়া দুন্দুভিদামামা বাজাইয়া কাঞ্চীর রাজোস্তানে গিয়া তাবু ফেলিলেন । কাঞ্চীনগরে উৎসবের সমারোহ পড়িয়া গেল । “রাজার দৈৰজ্ঞ গণনা করিয়া শুভ দিনক্ষণ স্থির করিয়া দিল । কৃষ্ণ দ্বাদশীতিথিতে রাত্রি আড়াই প্রহরের পর লগ্ন । রাত্রে নগরের ঘরে ঘরে ফুলের মালা জ্বলিল এবং দীপাবলি বঙ্গদর্শন । [ ৩য় বর্ষ; মাঘ । জলিয়া উঠিল। আজ রাত্রে রাজকুমারী চন্দ্রগর বিবাহ । “কিন্তু কাহার সহিত বিবাহ, রাজকন্তু চলল সে কথা জানেন না । তাহার জন্মকালে পরমহংস পরানন্দস্বামী রাজাকে বলিয়াছিলেন, “তোমার এই কন্যার প্রতি অশুভগ্রহের দৃষ্টি আছে, বিবাহকালে পাত্রের নাম যেন এ কন্যা জানিতে না পারে ।”

  • ঘথাকালে তরবারির সহিত রাজকদ্যার গ্রস্থি বন্ধন হইয়া গেল । ইন্দ্রজিৎসিৎ যৌতুক আনিয়া তাহার ভ্রাতৃবধুকে প্রণাম করিলেন । মদ্ররাজ্যের রণজিৎ এবং ইন্দ্রজিৎ যেন দ্বিতীয় রামলক্ষ্মণ ছিলেন । ইন্দ্রজিৎ আৰ্য্যা চন্দ্রার অবগুষ্ঠিত লজ্জারুণ মুখের দিকে তাকাইলেন না—তিনি কেবল র্তাহার নুপুরবেষ্টিত স্বকুমার. চরণযুগলের অলক্তরেখাটুকুমাত্র দেখিয়াছিলেন ।

“যথারীতি বিবাহের পরদিনেই মুক্তামালার ঝালর-দেওয়া পালঙ্কে বধুকে লইয়া ইন্দ্রজিং স্বদেশের দিকে যাত্রা করিলেন । অশুভগ্রহের কথা স্মরণ করিয়া শঙ্কিতহাদয়ে কাঞ্চারাজ কন্সার মস্তকের উপরে দক্ষিণহস্ত রাখিয়া আশীৰ্ব্বাদ করিলেন-মাতী কম্ভারমুখচুম্বন করিয়া অশ্রুজল সংবরণ করিতে পারিলেন না-দেবমন্দিরে সহস্র গ্রহবিপ্ৰ স্বস্ত্যয়নে নিযুক্ত হহল । , “কাঞ্চা হইতে মদ্র বহুদুর—প্রায় একমাসের পথ । দ্বিতীয়রাত্রে, যখন যেতসীনদীর তীরে শিবির রাখিয়া ইন্দ্ৰজিতের দলবল বিশ্রামের আয়োজন করিতেছে, এমণ" সময় বনের মধ্যে মশালের অালে দেশ