পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দশম খণ্ড.djvu/৩২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

WOb'8 লাগিল। রাজ্ঞী সময় সময় মঞ্জুলাকে অস্থঃ পুরে ডাকাইয়া লইয়া তাহার শিক্ষা এবং ব্যবহারের পরীক্ষা করিতেন । বয়োবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে অলোকার চরিত্র ও ংশোধিত হইয়াছিল। সেকালে আর একালে অনেক প্রম্ভেদ । একালের রূপঞ্জীবনীরা সমাজে যেরূপ হীন, সেকালে সৰ্ব্বথা সেরূপ ছিল না । সেকালের কোন কোন নগরশোভিনা উচ্চপদস্থ সন্ত্রস্ত ব্যক্তির আশ্রয়ে থাকিয়া অটুট মানসস্ত্রমের সহিত ‘দন ক্ষাটাই:ত পারিত। শিক্ষিতা এবং ধ- সম্পন হইলে সন্ত্রাস্ত সম্প্রদায়ে ও भ्र्न;* झ! স্বীকৃত হইত। তাছার আমন্ত্রণে সন: জর যাইৰে সস্বঃ মঃরশোভিনীঃ ত 1হার অগ্রণীর s ও :হার চিত হইতেন না । এরূপ গীতবাদ্য, নানাবিধ হুকুমার কলাfধস্থ এইং বাক্‌চাতুর্যে ধনী মানী শিক্ষিত সমাগলে চব বিনোদন করিত। পুত্রকন্ত। ভদ্রসমাজে বিবাহিত হইয়া সম্পূর্ণরূপে সমাজভুক্ত হইত। অলোকা ও কালে সমাজে এইরূপ মর্য্যাদা লাভ করিয়াছিলেন । যৌবনোদগমে মঞ্জলা অসামান্ত রূপবতী হইয়া উঠিল । তাহার পাণিগ্রহণার্থীর স্বভাব ছিল না । তাহার শিক্ষ, চরিত্র, ব্যব?:র, রূপলাবণ্য, ধনসম্পত্তি অনেকের চিত্ত প্রলুব্ধ করিয়াছিল । কিন্তু অভিভাবিক রাষ্ট্ৰী তাঙ্গর বিবাহে বিলম্ব করিতে লাগিলেন । বোধ হয়, তাছার বিবেচনায় স্নেহ-পালিত, রূপসী, ধনশালিনী মঙ্গুলার অনুরূপ বর মিলিয়া উঠিল না । প্রমীতসেন বন্ধু অসঙ্গের মুখে অলোকা এবং মঞ্জলার অনেক কথা শুনিয়াছিলেন।

  • アム・ ?८४

অনেক সময় ইঃ !rদ প্ল বঙ্গদর্শন [ ১৩শ বর্ষ, ভাদ্র, ১৩২০ সে দিন বাড়ীতে পৌছিতে প্রমীতসেনের অনেক রাত্রি হইল। এদিকে উৎপল উদ্বিগ্ন হইয়া উঠিলেন । কি আশঙ্কা, কেন আশঙ্ক, উংপল! তাহা বিচার করেন নাই, তথাপি উদ্বগ্ন হইয়াছেন। রাত্রিকালে এক এক নগরপথে চলা যদিও সকল সময় নিরাপদ নহে, তথাপি চোর-দ স্থা প্রভৃতি দ্বারা যে স্বামীর কোন বিপদ ঘটিতে পারে, উৎপলার সে বিশ্ব{স ছিল না । নগরে তিনি স্থ পরিচিত, তিনি অপরিমিত শারীরিক বলশালী ; শুঁঠাৎ কেহ ষ্টাখাকে অfক্রমণ করিবার সাহস পাইবে না । সঙ্গে প্রলোভনের বস্তু কিছুই নাই, সুতরাং চোর বশেষতঃ দস্থ্যকর্তৃক আক্র; স্থ হইবার সম্ভাবনা ও কম । পথ-ঘাট ও ষ্টাচার অপরিচিত নহে । কোন বিপদের সস্তাবনা হইলে, সঙ্গী প্রহরী অথধা বাহক কি অশ্ব সংগ্ৰহ তাছার পক্ষে অতি সহজ । তবে এই জ্যো ২ মাময়ী বাসন্তা রজনীতে অপরিচিত। সুন্দরী যুবতীর আমন্ত্রণ, একাকী গমন, স্বচ্ছনা আলাপের অবসর— মনে করিতে উৎপলার মুখ লজ্জা-অভিমানে নী ; সেরূপ কোন আশঙ্কা আসিতেই পারে না । স্বামীর প্রতি উৎপলার ভক্তি, শ্রদ্ধা এবং বিশ্বাস অসীম এবং অচল । কিন্তু মহর্ঘি মণিরত্ন অরক্ষিত অবস্থায় পথে ঘাটে ছড়াইয়া চোরদ স্থ্যকে প্রলোভিত করা কি উচিত ? অথবা প্রাণপ্রিয় আত্মীয় অস্তরঙ্গ ব্যক্তিকে অপরিচিত। সুন্দরী যুবতীর— ডাকিনী কি মায়াবিনীর !—আহবানে একক পাঠাইয় গভীর বিশ্বাস এবং অচলা শ্রদ্ধার পরিচয় দিতে যাওয়াই কি সঙ্গত ?—কি জাশঙ্ক, কেনই বা আশঙ্কা, উৎপলা তাহার রক্তিমাভ হইল ।