পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/১১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Y So র্তার পক্ষে বিড়ম্বনীর ও রাষ্ট্রের পক্ষে অশেষ অকল্যাণের কারণ হইবেই হইবে। "লাটসাহেব কি কেবল আমাদের ভালোর জন্য ব্যস্ত হইয়া, এ সকল কাজ করিতেছেন ?”— এ কথা যারা জিজ্ঞাসা করেন, তাদের যে রাষ্ট্রনীতির ক, খ, জ্ঞানও হইয়াছে, এমন বোধ হয় না । g 杀 来 贵 আর এই "আমাদেরি ভালোর" অর্থই বা কি ? "তাঁর অন্য অভিপ্রায় আছে কি না ?”— এই প্রশ্নে এই “অন্ত অভিপ্রায়” বলিতেই বা কি বোঝায় ? কেবল “আমাদেরি ভর্লো” করিবার জন্য ব্যস্ত হইলে, রাষ্ট্রীয় ব্যাপারে এখন র্যাহাঁদের সঙ্গে আমাদের ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ ও অনেকট প্রতিযোগিতা আছে, লাট চার্ডিঞ্জ যে তাহাদের ভালোর প্রতি উদাসীন বা তাদের ভালোর প্রতিবাদী, ইহাই বোঝাইত। সে অবস্থায়, আমাদের হিতার্থী হইতে যাইয়l, দেশদ্রোহা, রাজদ্রোহী ৪ ধৰ্ম্মদ্রোহী হইতে হইত। তিনি “আমাদেঃি ভালো” করিবার জন্ত এই উচ্চপদে নিযুক্ত হন নাই। ব্রিটিশসাম্রাজ্যের প্রতিনিধি হইয়া, সেই সাম্রাজ্যের স্বত্বস্বর্থ-রক্ষার জন্যই তিনি ভারতের শাসনকর্তৃপদে বৃন্ত হইয়াছেন। এ মোট কথাটা ভুলিলে চলিবে কেন ? লাট হার্ডিঞ্জ আমাদেরি ভলো’র জন্য এ দেশে আসেন নাই। আজি পর্য্যন্ত কোনো লাট-বেলাট এ ভাবে ভারতশাসনভার গ্রহণ করেন নাই। কোনো জমিদারীর নায়েব যদি জমিদারের স্বার্থ নাশ করিয়া প্রজার স্বার্থ রক্ষা করিতে নিযুক্ত হয়, সে লোক মতই কেন সঙ্গদয় ও লট হার্ডিঞ্জকে সদাশয় ইউক বঙ্গদর্শন [ ১২শ বৰ্ষ, জ্যৈষ্ঠ, ১৩১৯ না, কৰ্ম্মচারীরূপে যে নিমকৃহারাম ও অবিশ্বাসী, তার কি আর সন্দেহ আছে ? সেইরূপ কোনো ব্রিটিশ-শাসন-কৰ্ত্তীর পক্ষে কেবল “আমাদেরি ভালোর” জন্য ব্যস্ত হইয় রাজকাৰ্য্য পরিচালনা করিবাf চেষ্টা করা যে একান্তই নিমকৃহারামি হইবে, এ কথা অস্বীকার করা যায় কি ? লাট হার্ডিঞ্জ এইরূপ নিমকৃহারাম হইবেন ইহা কল্পনাও করা যায় না। ফলত: তিনি কেবল “আমাদেরি ভালোর” জন্য আত্যন্তিক আগ্রহবশতঃ এই নূতন শাসননীতি প্ৰবৰ্ত্তিত করিয়াছেন, এমন কথা ৰলি ন! বলিলে সে কথা তার প্রশংসার কথা না হইয়া, বরং মিনারই কথা হইত। 举 豪 寮 ব্রিটিশ-ভারতের শাসননীতি কদাপি ব্রিটিশজাতির ও ব্রিটিশসাম্রাজ্যের ভাল-মনের দিকে ন চাহিয়, কেবল আমাদের ভালোর জন্য নিতান্ত ব্যগ্র হইয়া উঠিতেই পারে না। যে সকল ইংরেজরাষ্ট্রনীতিক আজি পৰ্য্যস্ত আমাদের কল্যাণ অনুসরণ করিয়| চলিতে চাঠিয়াছেন, তারা ও ব্রিটিশজাতি য় বা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের কল্যাণের প্রতি কদাপি উদাসীন হন নাই । তারা কেবল এইট বুঝিয়াছিলেন যে, ভারতের কোনো প্রকারের সত্যিকার অমঙ্গল-চেষ্টা করিয়া, ব্রিটিশজাতির ৪ ব্রিটিশসাম্রাজ্যের ‘চিরন্তন কল্যাণসাধন সম্ভব নষ্ঠে । ক্ষুদ্রবুদ্ধি লোকে এ জগতে ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তির, বা সম্প্রদায়ের আপাত-বিরোধটাই দেখে, আর এই বিরোধকেই বিশ্ববিবর্তনের নিত্য ধৰ্ম্ম মনে করিয়া, একের স্বার্থকে অন্তের স্বার্থের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠিত করিবার চেষ্টা করে। কিন্তু পরিণাম্মুে এ চেষ্টা সৰ্ব্বথাই বিফল হইয় ফলতঃ