পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৪৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানসের জন্মকথা পশুশালায় একটা বানরের র্দাত সবল ছিল না, সে পাথরের আঘাত দিয়া সুপারি ভাঙ্গিত ; পশুশালার রক্ষকগণ আমাকে নিশ্চয় করিয়া বলিয়াছেন ষে ঐ বানর পাথর খণ্ড দ্বারা কাৰ্য্য করিয়া খড়ের নীচে লুকাইয়া রাখিত, উহাকে অন্ত বানরকে হাত দিতেও fদত না । এই খানেই সম্পত্তির বোধ জন্ম লক্ষিত হয় ; কিন্তু প্রত্যেক কুকুর যখন অস্থিখও লইয়া অপরের সহিত ঝগড়া করে, অথবা পক্ষিগণ যখন নিজ বাসা দখল করে তখন তাহারাও সম্পত্তির বোধ থাকা দেখায় । ডিউক অব আর্গাইল বলেন যে, কোন বিশেষ উদ্দেশ্যবশতঃ তদনুরূপ ভাবে যন্ত্র নিৰ্ম্মাণ করা মানুষের একটা বিশেষত্ব ; সুতরাং তিনি বিবেচনা করেন যে, এই হেতু বশতঃ মানুষের সহিত পশুর অলজন্য প্রভেদ। এই প্রভেদ অবশু উল্লেখযোগ্য, কিন্তু সার জে, লাবক যাহা বলেন তাহার মধ্যে অনেক সত্য নিহিত আছে । তিনি বলেন মনুষ্য প্রথম যখন কোন কারণে পাথরের যন্ত্র ব্যবহার করে, তখন হঠাৎ উহ! ভাঙ্গিয়া গেলে উহার তীক্ষুধার খণ্ডগুলি ব্যবহার করিয়াছিল। এই অবস্থার পরে ইচ্ছাপূৰ্ব্বক প্রস্তর ভাঙ্গিয়া ব্যবহার করা সহজ কথা, এবং তৎপরে প্রস্তর হইতে কোন মতে যন্ত্র গঠন করাও খুব কঠিন কথা নহে । প্রস্তর-যুগের মানুষ কত দীর্ঘকাল পরে

  • যে যুগে মানুষ পাথরের যন্ত্র ও অস্ত্রাদি ব্যবহার कग्निड़ ।

প্রস্তরের যন্ত্রাদি ঘষিতে ও পালিস্ করিতে সক্ষম হইয়াছিল তাহ বিবেচনা করিলে বোধ হয় যে প্রস্তরের যন্ত্র গঠন করিতেও দীর্ঘ সময় অ্যাবহ্যক হইয়া থাকিবে । সার জে, লাবক ইহাও বলেন যে প্রস্তর ভাঙ্গতে অগ্নিস্ফুলিঙ্গ বাহির হইত, এবং পালি করিতেও তাপ উৎপন্ন হইত। স্বতরাং “যে দুষ্ট উপায়ে অগ্নি উৎপন্ন হয় তাহ এইরূপে আবিস্তু ত হইয়৷ থাকিবে।” যে সকল প্রদেশে আগ্নেয়-গিরি হইতে ধাতুস্রাণ নির্গত হইয়া অরণ্য মধ্য দিয়া প্রবাহিত হইত সে সকল স্থানে অগ্নি কি পদার্থ তাহা ঐ ঘটনা হইতেই জ্ঞীত হইত। উচ্চশ্রেণীর বানরগণ সম্ভবতঃ সহজ বৃত্তির উত্তেজনায় অস্থায়ী মাচাং* প্রস্তুত কবে ; কিন্তু অনেক সহজ বৃত্তি বুদ্ধি দ্বারা নিয়মিত হয়, সুতরাং ঐ কর্নও অনায়াসেই ইচ্ছাপূর্বক ও জ্ঞানপূর্বক অনুষ্ঠিত কৰ্ম্মে পরিণত হইতে পারে । ওরাং ওটাং রাত্রিকালে পাণ্ডেনাসূ পত্রে দেহাচ্ছাদন করে, ইহা জানা গিয়াছে। ব্রেস বলিয়াছেন যে তাহাদের একটী রাণর রৌদ্রের উত্তাপ হইতে রক্ষা পাইবার নিমিত্ত খড়ের মাদুর মাথার উপর দিয়াছিল। এষ্ট সকল নানাপ্রকারের আচরণ হইতে আমরা সম্ভবতঃ কতিপয় সরল শিল্প-কৌশলের প্রথম স্বচন বুঝিতে পারি। যাহা হইতে মানব, জাত হইয়াছে, সেই আদিম পুৰ্ব্ব পুরুষগণ মধ্যে স্থাপত্য ও পরিচ্ছদ-রচনা কিরূপে প্রথম আরম্ভ হইয়াছিল, তাই সম্ভবতঃ ঐ সকল আচরণেই দেখা যায় ' • Platform.