পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৪৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭ম সংখ্যা] সামান্য গুণানুভূতি, • সাধারণ সংস্কার, অহংজ্ঞান এবং ব্যক্তিত্ব, এই সকল উন্নত মনোবৃত্তি জস্তুগণের আছে কি না তাহা নির্ণয় করা, আমা অপেক্ষ যিনি অধিক eানেন তাহারও দুঃসাধ্য। কারণ উহাদিগের মনোমধ্যে কি হইতেছে তাগ বুঝা কঠিন ; এবং গ্রন্থকারগণ মধ্যে ঐ শব্দগুলির অর্থসম্বন্ধেও গুরুতর অনৈক্য। সম্প্রতি যে সকল নিবন্ধ প্রকাশিত হইয়াছে তাহা হইতে বুঝা যাইতেছে যে সামান্য গুণাতুৰ্ভূতি অথবা সাধারণধৰ্ম্ম পরিজ্ঞাত হটবার শক্তি জস্তুগণের নাই –ইত্যাকার মতই সৰ্ব্বাপেক্ষা অধিক দৃঢ়তার সহিত প্রচারিত হইতেছে । কিন্তু যখন একটা কুকুর দূরে অন্ত কুকুরকে দর্শন করে, তখন নিশ্চয়ই সে এই মাত্র বুঝিতে পারে যে ঐ দূরস্থ পদার্থ কুকুর (জাতীয় ) ; কারণ ঐ দৃরস্থ কুকুরট যদি উহার পূর্বপরিচিত মুহৃদ হয়, তবে সে নিকটে আসিলে উহার তাব তদণ্ডেই পরিবৰ্ত্তিত হইয়া যায়। সম্প্রতি একজন গ্রন্থ র লিখিয়াছেন যে, এইরূপ স্থলে জস্তুগণের মানসিক অবস্থা মানবের ষ্ঠায় না, এ কথা বলা অনৰ্থক বল মাত্র। এ ক্ষেত্রে মানব যদি ইন্দ্রিয়গ্রাহ বিষয়কে মানসিক সংস্কারবশতঃ অনুভব করিতে সক্ষম হয়, তলে জন্তুগণ ও হয় । আ ম অনেক বার পরীক্ষা করিয়৷ দেখিয়াছি, যখনই আমার টেরিয়ার কুকুরকে বলি, “হিঃ হিঃ ওটা কোথায় ?” তখনই সে বুঝিতে

  • বহু পদার্থের সাধারণ ধর্মকে সামান্ত গুণবলিলাম,

উদ্বেীপকে সাম}তু গুণানুভূতি लि । श्हेन। ইহাকে ইতিহ্ল-বোধও বলা যাইতে পারে। ম'নবের জন্মকথা 85,ዊ পারে , কিছু অনুসন্ধান করিতে হইবে ; তৎপরে প্রায়ই সে চারিদিকে তাকাইয়া দেখে এবং দ্রুতগতি নিকটস্থ জঙ্গলের দিকে দৌড়াইয়া গিয়া শিকারের নিমিত্ত ইতস্ততঃ ভ্ৰাণ লইতে আরম্ভ করে ; যখন কিছুই পায় না তখন কাঠ বিড়াল পাইবার আশায় নিকটবর্তী বৃক্ষের উপরদিকে দৃষ্ট নিক্ষেপ করে। একটা কোন জন্তু অনুসন্ধান ও শিকার কবিতে হইবে, এরূপ এক সাধারণ সংস্কার উহার মনে উদয় হইয়াছিল, ইহা কি ঐ সকল কৰ্ম্ম দেখিয়া বুঝা যাইতেছে ন ? কোথা হইতে আসিয়াছি, কোথায় যাইব, জীবন কি, মৃত্যু কি ? ইত্যাদি বিষয় চিন্তা করাকেই যদি অহংজ্ঞান (= অহঙ্কার ) বলা যায় তবে ইহা অবাধে স্বীকার করিতে হয় যে ইতর জন্তুগণের অহংজ্ঞান নাই। কিন্তু বৃদ্ধ শিকারী কুকুরগণ অতীত কালের শিকার বিষয়ক মুখ দুঃখ সম্বন্ধে চিন্তা করে না, এ কথা নিশ্চিতরূপে কেমন করিয়া বলা যায় ? কারণ উহাদিগের উত্তম স্মৃতিশক্তি ও কল্পনাশক্তি আছে, তাহা উহাদিগের স্বপ্ন-দর্শন হইতেই বুঝা যাইতেছে। ঐরুপ চিন্তাই ত এক প্রকারের আঁহ জ্ঞান। পক্ষান্তরে অতি অসভ্য নীচ অষ্ট্রেলিয়ানের কৰ্ম্মক্লান্ত স্ত্রী যে গুণবাচক শব্দই জানে না, চারি সংখ্যার অধিক বলিতে পারে না, সে অহংজ্ঞান পরিচালনা অতি কমই করে, এবং নিজের অস্তিত্বসম্বন্ধে চিন্তাও করে না বলিলেই হয়, ইহা বুক্‌নার দেখাইয়াছেদ । প্রায় সকলে স্বীকার করেন যে উচ্চ শ্ৰেণীস্থ জন্তগণের স্মৃতি, মনোযোগ, ভাব