পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৭৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

‘SD8 কবিতাদি বেশ সুন্দয় । বাঙ্গলায় পরিহাসরস শুকাইয়া যাইতেছে, রসময় রস রক্ষা করিলে আমরা চরিতার্থ হইব, র্তাহার নাম সার্থক হইবে । “কালিদাসের সীত”—শ্ৰীবীরেশ্বর গোস্বামী প্রণীত। ব্যাখ্যাভাবে বর্ণনা উত্তম। “সদালাপ্পা” শ্ৰীযুক্ত মুকুন্দদেব মুখেপাধ্যায় সঙ্কলিত। বহু মহাপুরুষের চরিত্রচিত্র ও উক্তি-কণা ইহাতে সংগৃহীত হইয়াছে। এই গ্রন্থ বালক বালিকার চরিত্র१ट्टेन गझि झंझुष्व । কবিতা-গ্রন্থের মধ্যে শ্ৰীযুক্ত অক্ষয়কুমার বড়ালের “এষা”—পঞ্জীবিয়োগে শান্তি অন্বেষণ অতি সুন্দর ও শিক্ষাপ্রদ। পড়িতে পড়িতে মন পরিষ্কার হয়, ধৰ্ম্মে বিশ্বাস জন্মায়। শীঘ্রই ইহার দ্বিতীয় সংস্করণ হইবে,— ইহা কবির কম গৌরবের কথা নহে। আরও অনেকগুলি ছোট ছোট কবিতা পুস্ত ক পাইয়াছি। সে গুলির আর খুটাইয়া পরিচয় দিবার "অবসর নাই। তবে” শ্ৰীযুক্ত করুণানিধান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘বর ফুল ভাল লাগিয়াছে, আর বালক পাঠ্য "ভগীরথ” অতি সুন্দর চিত্র এবং কৃত্তিবাদের বিবরণ-সম্বলিত অতি উত্তম পুস্তক, আর দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার প্রণীত বালিকা-পাঠ্য “ঠানদিদির থলে" বা বাঙ্গলার ব্রত-কথা অতি সুন্দর ও थब्राखनौञ्च পুস্তক,—ইহার চিত্রগুলিও বেশ,—এ কথা স্পষ্টাক্ষরে স্বীকার করিতে হইবে। বঙ্গদর্শন [ ১২শ বর্ষ, চৈত্র, ১৩১৯ • ক্রযুক্ত পদ্মনাথ ভট্টাচাৰ্য্য বিস্তাবিনোদ এম, এ মহাশয় গত বর্ষে আমাদের সম্মিলনে উপস্থিত হন এবং অধমের গৃহে পদার্পণ করেন। তিনি “প্রবন্ধান্টক” ও “হেড়ম্বরাজ্যের দণ্ডবিধি” নামে দুইখানি গ্রন্থ আমাকে উপহার দেন। এই শেষোক্ত গ্রন্থ থানিঙে শিখিবার বিষয় আছে। প্রসিদ্ধ সাহিত্য-সবী শ্ৰীযুক্ত হরিসাধন মুখোপাধ্যায়ের “শীশ মহল,” ঐতিহাসিক উপন্যাস অনেক দিন আমার কাছে রহিয়াছে। হইয়াছে কি জানেন ? কোন হিন্দু বাঙ্গালির লেখা মুসলমানি চরিত্র দেখিলে, আমার একরূপ আতঙ্ক হয়। আয়েষী জগৎ সিংহকে ভাল বাসিল—ধিধৰ্ম্মী বলিয়া মনে একটু কিন্তু হইল না ? এই সকল পড়িয়া আমার আতঙ্ক হয়। শীশ মহলের সমালোচনা করিতে তাই পারি নাই। শ্ৰীযুক্ত শশিভূষণ বিশ্বাসের “আলেখ্য” “সোণাবিবি” ও “বোঁ”, “বোঁ” অতি উত্তম গ্রন্থ ; নবীন কুলবধূ মাত্রেরই পড় উচিত। শ্ৰীযুক্ত হরিপদ ঘোষ প্রণীত “কাদম্বিনী” ( ১৩১৮ ) ও “শরতের ( ১৩১৯ ), পরে পরে ভাল হইতেছে ; অদ্ভূত ঘটনা-সমাবেশ কমাইলে ক্রমে আরও ভাল হইবে । 을 বহুতর গ্রন্থের নানাবিধ রস চাকিয়া আমাদের মুখ মারিয়া গিয়াছে। আমুন, সৰ্ব্বশেষে “ফকিরের মুরসাল “নবান্নের” নব রস মাস্বাদন করিয়া তৃপ্তিলাভ করি। শ্ৰীঅক্ষয়চন্দ্র সরকার।