পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় সংখ্যা। ] , কাশ্মীরের রাজসিংহাসন অলঙ্কত করিয়াছিলেন । তাহার নামাঙ্কিত মুদ্রা আবিষ্কৃত হইয়া কালনির্ণয়ের সহায়তাম্বাধন করিয়াছে। তৎকালে গোঁড়ান্তর্গত পৌণ্ডবদ্ধনের পুরাতন রাজ্য জয়ন্ত-নামধেয় নরপতির শাসনকৌশলে বিখ্যাত হইয়। উঠিয়াছিল । জয়স্তের রাজধানীই গৌড়ীয় ংযুক্ত সাম্রাজ্যের সমৃদ্ধ রাজধানীতে পরিণত হইয়াছিল । জয়স্তের পুত্রসন্তান ছিল না। র্তাহার সংসারললামভূত দুহিতা কল্যাণদেবীই র্তাহার একমাত্র স্নেহপাত্রী ছিলেন । এষ্ট কল্যাণদেবীর সহিত কাশ্মীরাধিপতি জয়াপীড় বিনয়াদিত্যের উত্ত্বাহ গৌড়-কাশ্মীররাজ্যের সখ্য ও গৌড়ীয়-সংযুক্ত-সাম্রাজ্যস্থাপনার মূল। সে কাহিনী উপন্যাসের হ্যায় বিচিত্র ; অনেকেয় নিকট উপন্যাস বলিয়াই পরিচিত। উপন্সাস হইলেও, তাহার সঙ্গে নানা ঐতিহাসিক তথ্য জড়িত হইয়া রহিয়াছে । মাগধীয় বিপুল সাম্রাজ্যের অধঃপতনকালে উত্তরভারতে যে সকল খণ্ডরাজ্য স্বাতন্ত্র্য অবলম্বন করিয়াছিল,তাহারা সুযোগ পাইবামাত্র এ উহার রাজ্যসীমা অধিকার করিবার জন্ত লালায়িত হইত ; তজ্জন্ত দিগ্বিজয়নামক যুদ্ধযাত্রা সৰ্ব্বত্র সুপরিচিত হইয়া উঠিয়াছিল। স্বদেশের সুশাসনকার্য্যে নিযুক্ত থাকিয়া স্বরাজ্যে শরীরনিপাত করা রাজধৰ্ম্ম বলিয়া খ্যাতিলাভ করিত না । রাজার সাহল থাকিলে, অর্থ ও লোকবল থাকিলে, তিনি দিগ্বিজয়ে বহির্গত হইয়া থওঁরাজ্যে বিজয়পতাকা নিখাভ করিবার 8 * পঞ্চগৌড়েশ্বর জয়ন্ত । >や う জন্ত উৰ্দ্ধশ্বাসে গ্রাম হইতে গ্রামান্তরে ধাবিত কুইতেন। মুক্তাপীড় ললিতাদিত্য ইহার পরিচয় দিয়াছিলেন । তৎপৌত্র জয়াপীড়ও এই দিগ্বিজয়লালসার পরিচয় দিতে উৎসুক হইয়া কাশ্মীর ত্যাগ করেন । জয়াপীড় সারস্বত ও কান্তকুজ জয় করিয়া, ক্রমে মিথিলাভিমুখে অগ্রসর হইবেন, এমন সময়ে তাহার সেনাদল ৰিমুখ । হইল । তাহার স্বদেশের মুখশীতল শিলাসঙ্কট ছাড়িয়া সমতল তাপতপ্ত দূরদেশে অগ্রসর হইতে অসন্মত বলিয়া, জয়াপীড় জয়াশায় জলাঞ্জলি দিয়া দেশদর্শনশায় একাকী ছদ্মবেশে ভ্রমণে বহির্গত হইয়া পেীও বদ্ধনে উপনীত হইলেন । খৃষ্টোত্তর অষ্টম শতাব্দীর মধ্যভাগে বঙ্গভূমির অবস্থা কিরূপ ছিল, জয়াপীড়ের ভ্রমণ কাহিনীতে তাহার কিছু কিছু পরিচয় প্রাপ্ত হওয়া যার । কহলণপণ্ডিত তাহার যৎকিঞ্চিৎ আভাস দিয়া নিরস্ত হইলেও, ত দ্বারা হিয়ঙ্গের বর্ণিত শতবর্ষ পূৰ্ব্বের অবস্থার * অনুকূল প্রমাণই প্রাপ্ত হওয়া যায় । পোঁও,বদ্ধনে সুশাসন প্রচলিত ছিল ; মুখ ছিল ; সৌভাগ্য ছিল ; জ্ঞানালোচনার জন্ত সৰ্ব্বত্র প্রতিষ্ঠা ছিল ;–এ কথা হিয়ঙ্গ এবং কহুলণ উভয়েই স্পষ্টাক্ষরে লিপিবদ্ধ করিয়া গিয়া, ছেন। জয়াপীড়ের ভ্রমণকালেও বৌদ্ধমন্দিরাদি বর্তমান থাকা সম্ভব ; কিন্তু কবি কহলণ তাহার কোন উল্লেখ করেন নাই । তিনি কথাপ্রসঙ্গে একটিমাত্র মন্দিরের উল্লেখ করিরাই নিরস্ত হইয়াছেন ; –তাহার নাম কাৰ্ত্তিকেয়মন্দির। দেবসেনাপতি কাঞ্জিকেন্দ্র পুরাতন ভারতবর্ষের বিবিধ মন্দিরে