পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম সংখ্যা। l রাত্রির উচ্চ.সিত দক্ষিণবাতাস তাহারই ঘননিশ্বাসের" মত বিহারীর গায়ে আসিয়া পড়িতে লাগিল। ধীরে ধীরে সেই ੋਸ਼ੀ হীন চক্ষুর জালাময়ী দীপ্তি স্নান হইয়া আসিতে লাগিল ;– সেই তৃষাশুষ্ক থরদৃষ্টি অশ্রুজলে সিক্ত, স্নিগ্ধ হইয় গভীর ভাবরসে দেখিতে দেখিতে পরিপ্লত ईईब्रा खैर्लिन्न ;-भूझ्टर्डत्र মধ্যে সেই মূৰ্ত্তি বিহারীর পায়ের কাছে পড়িয়া তাহার তুই জানু প্রাণপণ বলে বক্ষে চাপিয়া ধরিল —তাহার পরে সে একটি অপরূপ মায়ালতার মত নিমেষের মধ্যেই বিহারীকে বেষ্টন’ করিয়া বাড়িয়া উঠিয়া সদ্যোবিকশিত-সুগন্ধি-পুষ্পমঞ্জরীতুলা একখানি চুম্বনোন্মুখ মুখ বিহারীর ওষ্ঠের নিকট আনিয়া উপনীত করিল। বিহারী চক্ষু বুজিয়া সেই মুখকে স্মৃতিলেক হইতে নিৰ্ব্বাসিত করিয়া দিবার চেষ্টা করিতে লাগিল, কিন্তু কেনমতেই তাহাকে আঘাত করিতে যেন তাহার হাত উঠিল না—একটি অসম্পূর্ণ ব্যাকুলচুম্বন তাহার মুখের কাছে আসন্ন হইয়া রহিল—পুলকে তাহাকে আবিষ্ট করিয়া তুলিল,—মেহের শীতকিরণমণ্ডিত বিহারীর অতীত-জীবনরুজ্য যেন কুহেলিকায় অদৃপ্ত প্রায় হইয়া গেল । বিহারী ছাদের নির্জন অন্ধকারে আর থাকিতে পারিল না। আর কোন দিকে মন দিবীর জন্ত সে তাড়াতাড়ি দীপালোকিত ঘরের মধে, আtসিয়া প্রবেশ করিল। কিন্তু ছই দিন পূৰ্ব্বে এই ধরেই, এইwকরোসিনদীপের আলোকে, এই সমস্ত চৌকি-টেবিল মূকসাক্ষীর সম্মুখে একটি সুন্দরী অতিথি তাহার নিভৃত হৃদয়স্বারে দুই বাহু দিয়া আঘাত চোখের বালি । SS করিয়াছিল,—সেই দৃশুটি ছবির মত এই ঘরের বাতাসে যেন অঙ্কিত হইয়া গেছে। ঘরে প্রবেশ করিতেই সেই ছবিটি যে কেবল বিহারীর চোখে পড়িল, তাহা নহে, তাহাকে যেন সৰ্ব্বাঙ্গে স্পর্শ করিল । বিহারী তখন আর একটি ছবিতে মন দিতে চেষ্টা করিল। কোণে টিপাইয়ের উপর রেশমের ঢাকা দেওয়া একখানি বাধীন কণ্ঠ->* « • "T ঢাকা খুলিয়া সেই ছবিটি রাত্রে কোন দেবस्राएलांद्र नौक बड़ेग्रो तर्हिfभॐ अ* कबिएड রাখিয়া দেখিতে লাগিল इरिछि भएइक ०ञां*** छूमिड 6यगिग्री হার কাচ চূর্ণচূর্ণ إذ لا يقة কাল পরের যুগলমূৰ্ত্তি। جصية মহেন্দ্র নিজের অক্ষুরে টুক্‌রা-টুকুর স্বহস্তে “আশা” এই নামটুকু লিয়র উপর ছিল। ছবির মধ্যে সেই নবপরিণয়ের মধুর দিনটি আর ঘুচিল না। মহেন্দ্র চৌকিতে বসিয়া আছে,—তাহার মুখে নুতন বিবাহের একটি নবীন সরস ভাবাবেশ ; পাশে আশ। দাড়াইয়া,—ছবিওয়ালা তাহাকে মাথায় ঘোমটা দিতে দেয় নাই, কিন্তু তাছার মুখ হইতে লজ্জাটুকু খসাইতে পারে নাই। আজ মহেন্দ্র তাহার পাশ্বচরী অtশাকে কাদাইয়। কতদূরে চলিয়া যাইতেছে, কিন্তু জড় ছবি মহেন্দ্রের মুখ হইতে নবীন প্রেমের একটি রেখাও বদল হইতে দেয় নাই, কিছু না বুঝিয় মূঢ়ভাবে অদৃষ্টের পরিহাসকে স্থায়ী করিয়। রাখিয়াছে । এই ছবিখানি কোলে লইয়৷ বিহারী বিনোদিনীকে ধিক্কারের দ্বারা মুদূরে নির্বাসিত করিতে চাহিল। কিন্তু বিনোদিনীর