পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سواني يد বাছা হউক, তার বাড়ী আসার পর কন্যায় সৌন্দৰ্য্যখ্যাতিগুণে অথবা তদীয় পৈতৃক বিষয়টুকুর লোভে রোজ-রোজ নূতন নুতন সম্বন্ধ আসিতে লাগিল । তাঁহাতে আর কিছু না হউক, রায়মহাশয়ের গৃহে মিষ্টায়-খরচটা বড়ই বাড়িয়া গেল। আর কখন কে দেখিতে আসিবে, এইরূপ অনিশ্চয়তায় সুহাসিকে সৰ্ব্বদা প্রায় সাজিয়া গুজিয়া থাকিতে হইত। কাজেই তাহার ঘুটিং খেলায় এবং দৌড়াদৌড়ি কি সাতার কাটায় পুর্বের সে স্বাচ্ছন্য রহিল না। মুহাসি তিক্ত-বিরক্ত হইয়া বাপের কাছে খোট ধরিল, একবার সে মামার বাড়ী যাইবে। কেন না, তাহার সন্নিহিত কালিকাপুর-গ্রামে রথের বড় ধুম, ইহা সকলের মুথেই গুনা যাইতেছিল । ( t ) বাস্তবিক কালিকাপুরে রথের বড় ধুম। পদ্মা-যমুনার সঙ্গমস্থলে প্রকাও বট এবং অশ্বখ বৃক্ষরাজির চারিদিকে ক্রোশব্যাপী শু্যামল ক্ষেত্র ‘রথতলা’ নামে পরিচিত। আষাঢ়ের প্রথমে আকাশে নবীন জলদরাজি সঞ্চিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবৎসর এখানে উৎসব আরম্ভ হইয়া থাকে। বেশীর ভাগ এবার দুর্গাপুরের জমিদার ভবানীচরণবাবু নীলামে কালিকাপুরের দশ-আনা খরিদ করায়, এইখানেই পুণ্যাহ করিবেন, স্থির করিয়াছেন। যমুনার অনতিদূরে নবীন জমিদারের নুতন কাছারি-বাড়ী প্রস্তুত হইয়াছে। ধুমধামের সীমা নাই,—ঘোড়দৌড় ও জুক্তসবাজির ব্যবস্থা হইয়াছে, কলিকাতা হইতে থিয়েটার আসিবে, জনরব এইরূপ। शृङ्गहरूमि । (ಟ তাত্র । छूई नेिन इद्देश, *शांकट*थइ कश्चाद्रिक लहेब्रा चलब्रांगब्र झर्शीं★ब' आनिब८झन । শ্বশুরের ভিটা এবং তাঁহার ভ্রাতুপুত্র ছাড়া সেখানে আকর্ষণের বড়-কিছু লৌকিক-চক্ষে ছিল না, কিন্তু তাছা হইলে কি হয়, তাহার প্রত্যেক ধূলিকণায় তাহার সাধী পত্নীর স্মৃতিমোহ জড়িত ছিল । অস্তিমশষ্যায় শয়ানা গৃহিণীর অনুরোধে দুর্গাপুরের যমুনা-তীরে স্বহস্তে চিতারচনা করিয়া প্রেমময়ীর সঙ্গে সঙ্গে তিনি নিজের সকল মুখশান্তি চিরতরে বিসর্জন দিয়া গিয়াছিলেন । আজ প্রায় ছয়বৎসর পরে প্রীতির সে সমাধি-মন্দিরে উপস্থিত হইয়া শোকে তিনি মুহমান হইলেন রথের দিন প্রভাতে ঘনকৃষ্ণ মেঘজালে পদ্মা-যমুনার নুতন জলধারা ছায়ান্ধকারপরিব্যাপ্ত হইয়াছে। রথতলায় জনস্রোতের বিরাম-বিশ্রাম নাই এবং তাহার কল্লোল তটপ্লাবিসমুদ্রগর্জনবং বহুদূর পর্য্যন্ত প্ৰহত হইতেছিল। শুনিয়া সুহাসি রথ দেখিবার জন্য অস্থির হইয়া উঠিল। শশাঙ্কশেখরের শরীর ও মন ভাল ছিল না, তিনি শুালক উমাচরণের উপর ছেলেমেয়েদের রথ দেখাইবার ভার দিয়া নির্জনে শ্ৰীমদ্ভাগবতপাঠে চিত্ত সমাহিত করিলেন । কিন্তু মুহাসিরা কালিকাপুরে চলিয়া গেলে রায়মহাশয় কিছু বিমন হইলেন। সৰ্ব্বদা কন্যাকে কাছে-কাছে রাখিয়া তিনি তাহাকে আর ক্ষণমাত্রের জন্য চক্ষের আড় করিতে পারিতেন না। মুহাসি রথতলায় পৌছিতে না পৌছিতে তিনি স্নানোদেশে বাহির হইলেন এবং যমুনাতটে সহধৰ্ম্মিণীর চিতাস্থানে উপবেশন করিম মশ্র বিসর্জন করিতে লাগিলেন।