পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8X 3 तछामर्थन । [ ২য় বর্ষ, অগ্রহায়ণ । ‘ব্রহ্মের যে অমূৰ্বরূপ, পণ্ডিতেরা অধিকারী হইবেন। তখন সাধক জীব তাহাকেই সৎ বলেন । & ব্ৰহ্মের অভেদ চিন্তা করিবেন । “অহং এই অমূর্তরূপেরই উপাসনা উপনিষদে উপদিষ্ট দেখা যায়। উপনিষদের মতে উপাসনা ত্রিবিধ—অঙ্গাববদ্ধ, প্রতীক ও আত্মগ্রহ। প্রথমতঃ সাধক যজ্ঞের অঙ্গভূত পদার্থসমূহে ব্ৰহ্মদৃষ্টি করিবেন — ও ইত্যেতদ্বক্ষরমুদ্‌গীথমুপসীত । [ ছান্দোগ্য ১।১১ ] উদ্‌গীথকে ওঁকাররূপে উপাসনা করিবে । য এবাসে তপতি তমুদ্‌গীথমুপাসীত । [ ছান্দোগ্য ১।৩।১ ] এই যিনি তাপ প্রদান করেন, র্তাহাকে উদ্‌গীথ ভাবনা করিবে। এই ভাবের উপাসনাকে লক্ষ্য করিয়া গীতা বলিয়াছেন— ব্ৰহ্মাৰ্পণং ব্ৰহ্মহবিব্রহ্মাগ্নেী ব্রহ্মণ হুতম্। , ব্রহ্মৈব তেন গন্তব্যং ব্ৰহ্মকৰ্ম্মসমাধিনী। [ જેો છl sાર8 ] অর্পণ ( যজ্ঞপাত্র ) ব্রহ্ম, হবিঃ ব্রহ্ম, অগ্নি ব্ৰহ্ম, হোতা ব্ৰহ্ম , এইরূপে যিনি কৰ্ম্মে ব্ৰহ্মদৃষ্টি করেন, তিনি ব্রহ্মকে প্রাপ্ত হয়েন। এই উপাসনার নাম অঙ্গাববদ্ধ উপাসনা । মনে ব্রহ্মেত্যুপাসাঁত । [ ছানোগ্য ৩,১৮১ ] মন ব্রহ্ম, এইরূপ উপাসনা করিবে । a আদিত্যে ব্রহ্মেত্যাদেশঃ । & { ছানোগ্য ৩,১৯১ ] স্বৰ্য্য ব্ৰহ্ম, এইরূপ ভাবনা করিবে । এইরূপে ব্রহ্মের ব্যাবহারিক বিকার জাগতিক পদার্থে ব্ৰহ্মদৃষ্টি করার নাম প্রতীক উপাসনা। এই প্রণালীতে সাধকের চিত্তশুদ্ধি হইলে তিনি অহংগ্ৰহ উপাসনার ব্ৰহ্মাশ্মি”, “সোহহং”, “তত্ত্বমসি” ইত্যাদি মহাবাক্য এইরূপ উপাসনার উপদেশ করি তেছে । এ অবস্থায় সাধককে ভাবনা করিতে হয়— যশ্চায়ং পুরুযে ! যশ্চাসাবাদিত্যে । স একঃ । [ তৈত্তিীয় ৩১০ ] ত্বং বা অহমস্মি ভগবে দেবতে অহং লৈ ত্বমসি দেবতে । যিনি পুরুষে অধিষ্ঠিত, তিনিই আদিত্যে অধিষ্ঠিত । হে ভগবান দেবতা ! তুমি হও আমি, আমি হই তুমি । ইহা যোগের চরম অবস্থ। । সাধকের গম্য নহে । মহেশ্বরের যে মূৰ্বরূপ, তাহ আবার দ্বিবিধ—এক বিরাটু রূপ ও অন্ত সাকার রূপ । ঋগ্বেদের পুরুষস্থক্তে এই বিরাটু রূপের বর্ণনা আছে— সহস্রশীর্ষ পুরুষঃ সহস্রাক্ষঃ সহস্রপাৎ । স ভুমিং বিশ্বতো বৃত্বাত্যতিষ্ঠদশাঙ্গুলম্। পুরুব এবেদং সৰ্ব্বং যদভুতং যচ্চ ভব্যম্। উতামৃতত্বস্যেশনে। যদল্পেনাতিরোহতি ॥ ১—২ ইত্যাদি । বিরাটু পুরুষের সহস্র শির, সহস্র নয়ন; সহস্র চরণ ; তিনি সমস্ত জগৎ ব্যাপিয়া আছেন এবং জগতের বাহিরেও আছেন । ভূত, ভবিষ্যৎ, বৰ্ত্তমান, যাহা কিছু, সমস্তই সেই পুরুষ। মর্ত্য ও অমর্ত্য, তিনি সমস্তেরই অধীশ্বর। - এই বিরাটু পুরুষকেই লক্ষ্য করিয়া শ্বেতাশ্বতর উপনিষদ বলিয়াছেন— সৰ্ব্বতঃ পাণিপাদং তৎ সৰ্ব্বতোংক্ষিশিরোমুখম্। সৰ্ব্বত: শ্ৰুতিমল্লোকে সৰ্ব্বমাবৃত্য তিষ্ঠতি ।

  • [ খেতাশ্বতর ও৷১৬ ]

সাধারণ