পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8'0No.

  • शुक्राथिनि ।

[২য় বর্ষ, অগ্রহায়ণ । যে, জ্ঞাতৃস্থানে আত্মা বাহা আছেন, তাহাই আছেন ; তজ্জ্ব্যতীত জ্ঞানস্থানে আত্মার শক্তিস্ফূৰ্ত্তি চাই এবং জ্ঞেয়স্থানে আত্মার গুণপ্রকাশ চাই ; তাহ যতক্ষণ না হইতেছে, ততক্ষণ আত্মজ্ঞান কেবল একটা কথার কথা মাত্র। অর্থাৎ কি না—জ্ঞানস্থানে আত্মার শক্তিস্ফূৰ্ত্তি না হইলে জ্ঞেয়স্থানে আত্মার গুণপ্রকাশ হইতে পারে না ; জ্ঞেয়স্থানে আত্মার গুণপ্রকাশ না হইলে আত্মজ্ঞান কেবল শব্দমাত্রেই পর্য্যবসিত হয়। ফল কথা এই বে, প্রথম উদ্যমেই আত্মাকে জ্ঞাতৃস্থানে উপলব্ধি করিতে গেলে থই পাওয়া যায় না—কাজেই অকুল পাথারে হাবুডুবু খাইতে হয়। অতএব, আত্মাকে ৰাহাতে জ্ঞেয়স্থানে ০ উপলব্ধি করা যাইতে পারে, তাহারই চেষ্টা দেখা সাধকের প্রথম কৰ্ত্তব্য । আত্মজ্ঞানের সাধনপদ্ধতি । পাতঞ্জলদর্শনে যোগের দুইরূপ সাধনপদ্ধতি নির্দেশিত হইয়াছে। প্রথম পদ্ধতি শুদ্ধকেবল সাধনেরই ব্যাপার, দ্বিতীয় পদ্ধতি সাধন এবং ভজন দুয়ের একত্র সমাবেশ। যোগোক্ত প্রথম পদ্ধতি এইরূপ :– কোনো একটি ইচ্ছামুরূপ বস্তুতে বা প্রদেশে মনকে নিবদ্ধ করিবে। তাহার পরে লক্ষ্য বিষয়টির প্রতি মনের একটানা স্রোত নিরবচ্ছেদে প্রবাহিত করিতে থাকিবে। প্রথম কাৰ্য্যটির নাম ধারণা এবং দ্বিতীয় কাৰ্য্যটির নাম ধ্যান। তাছার পরে লক্ষ্য-বিষয়টির প্রতি মনোবৃত্তি वथन नर्कण्ठांडांप्व गभांश्ङि रहेष्व-दषन সাধকের জ্ঞানে সেই লক্ষ্যবস্তুটি ছাড়া আর কিছুই প্রতিভাত হইবে না ; প্রতীয়মান হইবে তখন এইরূপ—যেন সেই লক্ষ্যবস্তুটিই সমস্ত জগৎ, সেই লক্ষ্যবস্তুটি ছাড়া আর-যেন কোনো কিছুই নাই—এমন কি, সাধক নিজেও যেন নাই। ইহারই নাম সমাধি। সমাধিতে লক্ষ্য প্রদেশটিতেই —ল্লেয়স্থানটিতেই—জ্ঞাতা এবং জ্ঞেয় দুইই জ্ঞানের সমক্ষে একীভূত ভাব ধারণ করিয়া আত্মারূপে প্রকাশিত হয় । । যোগোক্ত দ্বিতীয় পদ্ধতি হ’চ্চে ঈশ্বরপ্রণিধান। ঈশ্বর-প্রণিধান কি ? না, সৰ্ব্বজ্ঞ এবং সৰ্ব্বশক্তিমান পরমেশ্বরকে পরমগুরু জানিয়া পরম-ভক্তি-সহকারে তাহাতে সমস্ত কৰ্ম্ম সমর্পণ করা। প্রথম পদ্ধতি এবং দ্বিতীয় পদ্ধতির মধ্যে প্রভেদ খুবই আছে—যদিচ পাতঞ্জলদর্শনে সে প্রভেদের গুরুত্বের প্রতি বড়-একটা ক্রক্ষেপ করা হয় নাই ; কেন যে ক্রক্ষেপ করা হয় নাই, তাহার বিশেষ একটি কারণ আছে ;–সে কারণ এই –সাধনই পাতঞ্জলদর্শনের মুখ্য আলোচ্য বিষয় । ভজন পাতঞ্জলদর্শনের মুখ্য আলোচ্য বিষয় নহে। এইজন্ত, ভগবান পতঞ্জলি-মুনি “ভজন সাধনের একটি প্রবলতম সহায়” এই পৰ্য্যন্ত বলিয়াই ক্ষান্ত হইয়াছেন। পক্ষান্তরে, বর্তমান প্রবন্ধের মুখ্য আলোচ্য বিষয় একমাত্র কেবল সত্য, তা বই, কোনো বিশেষ দর্শনের বিশেষ সত্য বর্তমান প্রবন্ধের মুখ্য আলোচ্য বিষয় নহে। এইজন্ত, সাধনের গৈৗরবরক্ষার অনুরোধে ভজনকে তাহার উচ্চপদবী হইতে সরাইয়া রাখা বর্তমান-স্থলে