পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৫১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(t):R रुक्राञ्जन । [ २ग्न बई, भांच्च । cछठेञ्चि कैंॉनांब्र थांउl घां८ब्र-छां८ग्न केंभिब्रां ফিরিবে না । মরার পরে অল্প লোকেই অমর হইয়া থাকেন, সেইজন্তই পৃথিবীটা বুসিযোগ্য হইয়াছে। ট্রেনের সব গাড়িই যদি রিজার্ভ গাড়ি হইত, তাহা হইলে সাধারণ প্যাসেঞ্জার দের গতি কি হইত ? একে ত বড় লোকেরা একাই একশো—অর্থাৎ যতদিন বঁাচিয়া থাকেন, ততদিন অন্তত র্তাহাদের ভক্ত ও নিকের হৃদয়ক্ষেত্রে শতাধিক লোকের জায়গা জুড়িয়া থাকেন—তাছার পরে, আবার, মরিয়াও র্তাহারা স্থান ছাড়েন না । ছাড়া দুরে যাক, অনেকে মরার সুযোগ লইয়া অধিকার বিস্তার করিয়াই থাকেন। আমাদের একমাত্র রক্ষা এই যে, ইহাদের সংখ্যা অল্প। নহিলে কেবল সমাধিস্তম্ভে সামান্ত ব্যক্তিদের কুটীরের স্থান থাকিত না । পৃথিবী এত সঙ্কীর্ণ যে, জীবিতের সঙ্গে জীবিতকে জায়গার জন্তে লড়িতে হয় । জমির মধ্যেই হউকু বা হৃদয়ের মধ্যেই হউক, অন্য পাঁচজনের চেয়ে একটুখানি ফলাও অধিকার পাইবার জন্য কত লোকে জালজালিয়াতি করিয়া ইহকাল-পরকাল ধোয়াইতে উদ্যত। এই ষে জীবিতে-জীবিতে লড়াই, ইহা সমকক্ষের লড়াই, কিন্তু মৃতের সঙ্গে জীবিতের লড়াই বড় কঠিন। তাহার এখম-সমস্ত দুৰ্ব্বলতা, সমস্ত খণ্ডতার অতীত, তাহারা কল্পলোকবিহারী—আমরা মাধ্যাকর্ষণ, কৈশিকাকর্ষণ, এবং বহুবিধ আকর্ষণবিকর্ষণের দ্বারা পীড়িত মর্ত্যমানুষ, আমরা পারিয়া উঠিব কেন ? এইজন্যই বিধাতা অধিকাংশ মৃতকেই বিস্মৃতিলোকে নিৰ্ব্বাসন দিয়া থাকেন,—সেখানে কাহারে স্থানাভাব নাই। বিধাতা যদি বড়-বড় মৃতের আওতায় আমাদের মত ছোট-ছোট জীবিতকে নিতান্ত বিমর্ষ-মলিন, নিতান্তই কোণঘোষা করিয়া রাখিবেন, তবে পৃথিবীকে এমন উজ্জল সুন্দর করিলেন কেন, মামুষের হৃদরটুকু মানুষের কাছে এমন একাস্তলোভনীয় হইল কি কারণে ? "নীতিজ্ঞেরা আমাদিগকে নিন্দ করেন । বলেন, আমাদের জীবন বৃথা গেল। র্তাহারা আমাদিগকে তাড়না করিয়া বলিতেছেন— উঠ, জাগ, কাজ কর, সময় নষ্ট করিয়ো না ! কাজ না করিয়া অনেকে সময় নষ্ট করে जानारु नाई-किरु कांछ कब्रिव्रां श्वांशंब्रां সময় নষ্ট করে, তাহার কাজও নষ্ট করে, সময়ও নষ্ট করে। তাহীদেরই পদভারে পৃথিবী কম্পান্বিত এবং তাহদেরই সচেষ্টতার হাত হইতে অসহায় সংসারকে রক্ষা করিবার জন্য ভগবান্‌ বলিয়াছেন—“সম্ভবামি যুগে যুগে ।” জীবন বৃথা গেল ! বৃথা যাইতে দাও । অধিকাংশ জীবনই বৃথা যাইবার জন্ত হইরাছে ! এই পনেরো-আনা অনাবশুক জীবনই বিধাতার ঐশ্বৰ্য্য সপ্রমাণ করিতেছে। র্তাহার জীবনভাণ্ডারে যে দৈন্ত নাই, ব্যর্থপ্রাণ আমরাই তাহার অগণ্য সাক্ষী। অামাদের অফুরান অজস্রতা, আমাদের অহেতুক বাহুল্য দেখিয়া বিধাতার মহিমা স্মরণ কর । বাণী যেমন আপন শূন্যতার ভিতর দিয়া সঙ্গীত প্রচার করে,আমরা সংসারের পনেরোআনা আমাদের ব্যর্থতার দ্বারা বিধাতার গৌরব ঘোষণা করিতেছি। বুদ্ধ জামাদের