ఇoby বঙ্গদর্শন । [ ভাদ্র। সে এমন আত্মবিস্কৃত স্বাভাবিক ভাবে কথা কহে নাই—আজ অজস্র কলকণ্ঠে নিতান্ত সহজ হৃদয়ের কথা বলিয়া তাহার সমস্ত প্রকৃতি যেন নববারিধারায় স্নাত, স্নিগ্ধ এবং পরিতৃপ্ত হইয়া গেল । ভোরে উঠিবার উপদ্রবে ক্লান্ত মহেন্দ্রের পাচটার সময় ঘুম ভাঙিল। বিরক্ত হইয়া কহিল, ‘এবার ফিরিবার উদ্যোগ করা যাকৃ!” বিনোদিনী কহিল, “আর একটু সন্ধা। করিয়া গেলে কি ক্ষতি আছে ?” মহেন্দ্র কহিল, “না, শেষকালে মাতাল গোরার হাতে পড়িতে হইবে ?” জিনিষপত্র গুছাইয়া তুলিতে অন্ধকার এটৱ আসিল। এমন সময় চাকর আসিয়া -খবর ফুল,“ঠিক গাড়ি কোথায় গেছে, খুজিল্প পাওয়া যাইতেছে না। গাড়ি বাগানের বাহিরে অপেক্ষা করিতেছিল, দুইজন গোরা গাড়োয়ানের প্রতি বলপ্রকাশ করিয়া ষ্টেশনে লইয়া গেছে।” আর একটা গাড়ি ভাড়া করিতে চাকরকে পাঠাইরা দেওয়া হইল । বিরক্ত মহেন্দ্র কেবলি মনে মনে কহিতে লাগিল, “আজ निनप्ले भिर्थTी भां िश्हेभ्रांरछ्”-ञटेश्वर्गी cन আর কিছুতেই গোপন করিতে পারে না, यश्न श्हेण। শুক্লপক্ষের চাদ ক্রমে শাখাজালজড়িত দিকৃপ্রান্ত হইতে মুক্ত আকাশে আরোহণ করিল। নিস্তন্ধ নিষ্কম্প বাগান ছায়ালোকে খচিত হইয়া উঠিল। আজ এই মায়ামণ্ডিত পৃথিবীর মধ্যে বিনোদিনী আপনাকে কি একটা অপুৰ্ব্ব ভাবে অনুভব করিল। আজ সে যখন তরুবীথিকার মধ্যে আশাকে জড়াইয়া ধরিল, তাহার মধ্যে প্রণয়ের কৃত্রিমতা কিছুই ছিল না। আশা দেখিল, বিনোদিনীর দুই চক্ষু দিয়া জল ঝরিয়া পড়িতেছে। আশা ব্যথিত হইয়া জিজ্ঞাসা করিল—“কি ভাই চোখের বালি, তুমি কাদিতেছ কেন ?” दिएनांनिनौ कश्णि-–“किहू मग्न डांहे, আমি বেশ আছি ! আজি দিনটা আমার বড় ভাল লাগিল!” আশা জিজ্ঞাসা করিল—“কিসে তোমার এত তাল লাগিল ভাই ?” - বিনোদিনী কহিল—“আমার মনে হইতেছে, আমি যেন মরিয়া গেছি, সেন পর. লোকে আসিয়াছি, এখানে যেন আমার সমস্তই মিলিতে পারে ।” বিস্মিত আশ। এ সব কথা কিছুই বুঝিতে পারিল না। সে মৃত্যুর কথা শুনিয়া দুঃখিত হইয়া কহিল –‘ছি ভাই চোখের বালি, অমন কথা বলিতে নাই!” গাড়ি পাওয়া গেল। বিহারী পুনরায় কোচ বাক্সে চড়িয়া বসিল। বিনোদিনী কোন কথা না বলিয়া বাহিরের দিকে চাহিয়া রহিল, জ্যোৎস্নায় স্তম্ভিত তরুশ্রেণী ধাবমান নিবিড় ছায়াস্রোতের মত তাঙ্কার চোখের উপর দিয়া চলিয়। যাইতে লাগিল । আশা গাড়ির কোণে ঘুমাষ্টয়া পড়িল। মহেন্দ্র সুদীর্থপথ নিতান্ত বিমর্ষ হইয়া বসিরা থাকিল। ক্রমশ্ব ।
