পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/১৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

勒8b” ইহাও ঐ কলের ব্যাপার। নিয়মিত প্রত্যহ খাদিকটা করিয়া সালসী-খাওয়ানর মত খানিকটা নীতি-উপদেশ-ইহা একটা বরান্ধ ; –শিশুকে ভাল করিয়া তুলিবার এই একটা দ্বাৰা উপায় । * - নীতি-উপদেশ জিনিষটা একটা বিরোধ । ইহা কোমোমতেই মনোরম হইতে পারে নাম ৰাহাঙ্কে উপদেশ দেওয়া হয়, তাহাকে আসামীর কাঠগড়ায় দাড় করানো হয় । উপদেশ, হয় তাহার মাথা ডিঙাইয়৷ চলিয়া স্বায়, নয় তাহাকে আঘাত করে। ইহাতে যে কেৰল চেষ্টা ব্যর্থ হয়, তাহ নয়, অনেকসময় অনিষ্ট করে । সৎকথাকে বিরস ও বিফল করিয়া তোলা মনুষ্যসমাজের যেমন ক্ষতিকর, এমন আর কিছুই নয়—অথচ অনেক ভাললোক এই কাজে উঠির-পড়িয়া লাগিয়াছেন, ইহ দেখিয়া মনে আশঙ্কা হয় । সংসারে কৃত্রিম জীবনযাত্রায় হাজাররকমের অসত্য ও বিকৃতি যেখানে প্রতি মুহূর্তে রুচি নষ্ট করিয়া দিতেছে, সেখানে ইস্কুলে শর্ট-টারটের মধ্যে গোটাকতক পুথির বচনে মৰন্ত সংশোধন করির দিবে, ইহা আশাই করা যায় না। ইহাতে কেবল ভূরি-ভূরি অশের স্থষ্টি হয় এবং নৈতিক জ্যাঠামি, যাহা সঙ্কল জ্যাঠামির অধম তাহ স্ববুদ্ধির স্বাভাবিকতা ও সোঁকুমাৰ্য নষ্ট করিয়া দেয়। ব্ৰহ্মচৰ্য্যপালনের দ্বারা ধৰ্ম্মসম্বন্ধে সুরুচিকে স্বাভাবিক করিয়া দেওয়া হয়। উপদেশ দেওয়া গঁহে, শক্তি দেওয়া হয়। নীতিरूपरेक क्षश्ङ्काशंद्र भङ जौबानब्र उभरग्न চাগাইয়া দেওয়া নহে, জীবনকেই ধর্মের সঙ্গে গড়িয়া তোলা এবং এইরূপে ধৰ্ম্মকে बछनष्टॉम ? [ ৬ষ্ঠ বর্ষ, আষাঢ় । বিরুদ্ধপক্ষে দাড় না করাইয় তাহাকে অন্তরঙ্গ করিয়া দেওয়া হয়। অতএব জীবনের আরম্ভে মনকে,—চরিত্রকে গড়িয়া তুলিবার সময় উপদেশ নহে, অমুকুল অবস্থা এবং অমুকুল নিয়মই সকলের চেয়ে বেশি আবগুক। শুধু এই ব্রহ্মচৰ্য্যপালন নয়, তাহার সঙ্গে বিশ্বপ্রকৃতির আনুকূল্য থাকা চাই। সহরব্যাপারটা মানুষের কাজের প্রয়োজনেই তৈরি হইয়াছে ; তাহ আমাদের স্বাভাবিক আবাস নয়। "ইট-কাঠ-পাথরের কোলে ভূমিষ্ঠ হইয়া আমরা মানুষ হইব, বিধাতার এমন বিধান ছিল না । আপিসের কাছে এবং এই আপিসের সহরের কাছে পুষ্পপল্লবচন্দ্রস্তুৰ্য্যের কোনো দাবী নাই—তাহ সজীব সরস বিশ্বপ্রকৃতির বক্ষ হইতে ছিনাইয়ালইয়া আমাদিগকে তাহার উত্তপ্ত জঠরের মধ্যে গিলিয়। পরিপাক করিয়া ফেলে । যাহারা ইহাতেই অভ্যস্ত, এবং যাহার কাজের নেশায় বিহবল, তাহীরা এসম্বন্ধে কোনো অভাবই অনুভব করে ন—তাহার স্বভাব হইতে ভ্ৰষ্ট হইয়া বৃহৎ জগতের সংস্রব হইতে প্রতিদিনই দুরে চলিয়া যায়। কিন্তু কাজের ঘূর্ণির মধ্যে ঘাড়মুড় ভাঙিয়া পড়িবার পূৰ্ব্বে, শিখিবার কালে, বাড়িয়া উঠিবার সময়ে, প্রকৃতির সহায়তা নিতান্তই চাই। গাছপালা, স্বচ্চু আকাশ, মুক্তবায়ু, নিৰ্ম্মল জলাশয়, উদার দৃপ্ত, ইহার বেঞ্চি এবং বোর্ড, পুথি এবং পরীক্ষার চেয়ে কম আবগুক নয় । •ኳ চিরদিন উদার বিশ্বপ্রকৃতির ঘনিষ্ঠসংস্রবে থাকিয়াই ভারতবর্ষের মন গড়িয়া উঠিয়াছে । জগতের জড়-উদ্ভিদ-চেতনের সঙ্গে নিজেকে