পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/১৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় সংখ্যা । ] শিক্ষাসমস্ত । 28వీ একাত্মভাবে ব্যাপ্ত করিয়া দেওয়া ভারতবধের স্বভাবসিদ্ধ হইয়াছে। ভারতবর্ষের তপোবনে দ্বিজবটুগণ এই মন্ত্র আবৃত্তি করিয়াছেন— - যে দেবেইয়ে যোংঙ্গ,বে বিশ্বভুবনমাৰিবেশ। 책 ও"ি বনস্পতিৰু তস্মৈ দ্বেবীয় নমো নমঃ ॥ যে দেবতা অগ্নিতে, যিনি জলে, যিনি বিশ্বভুবনে আবিষ্ট হইয়া আছেন—যিনি ওষধিতে, যিনি বনস্পতিতে, সেই দেবতাকে নমস্কার করি—নমস্কার করি"। অগ্নি, বায়ু, জলস্থল, বিশ্বকে বিশ্বাত্মা দ্বারা সহজে পরিপূর্ণ করিয়া দেখিতে শেখাই যথার্থ শেখা। এই শিক্ষা সহরের ইস্কুলে ঠিকমত সম্ভবে না ; সেখানে বিস্তাশিক্ষার কারখানাঘরে জগৎকে আমরা একটা যন্ত্র বলিয়াই শিখিতে পারি। இ. কিন্তু এখনকার দিনের কাজের লোকেরা এ সকল কথা মিষ্টিসিজম্ বা ভািবকুহেলিক বলিয়া উড়াইয়া দিবেন, অতএব ইহা লইয়৷ সমস্ত আলোচনাটাকে অশ্রদ্ধাভাজন করিবার প্রয়োজন নাই। তথাপি, খোলা আকাশ, খোলা বাতাস এব" গাছপালা মানবসন্তানের শরীরমনের স্বপরিণতির জন্তে যে অত্যন্ত দরকার, এ কথা বোধ হয় কেজো লোকেরাও একেবারেই উড়াইয়া দিতে পরিবেন না। বয়স যখন বাড়িবে, আপিস যখন টানিবে, লোকের ভিড় যখন ঠেলিয়া লইয়া বেড়াইবে,মন যখন নানা মতলবে নানা দিকে ফিরিবে, তখন বিধপ্রকৃতির সঙ্গে প্রত্যক্ষ হৃদয়ের যোগ অনেকটা বিচ্ছিন্ন হইয়া বাইবে। তাহার পূৰ্ব্বে ঘুে জলস্থল আকাশবায়ুর চিরন্তন ধাত্রীক্রোড়ের মধ্যে জন্মিয়ছি, তাহার সঙ্গে যথার্থভাবে পরিচয় হইয়া যাকৃ, মাতৃস্তন্যের মত তাহার অমৃতরস আকর্ষণ করিয়া, লই, তাহার • উদার মন্ত্র গ্রহণ করি, তবেই সম্পূর্ণরূপে মানুষ হইতে পারিব । বালকদের হৃদয় যখন নৰীন आदछ, ८कोङ्कश्न रुथन नखौद ७दर नभूत्रब्र ইন্দ্রিয়ুশক্তি যখন সতেজ, তখনি তাছাদিগকে । মেঘ ও রৌদ্রের লীলাভূমি অবারিত আকাশের তলে খেলা করিতে দাও—তাহাদিগকে এই ভূমার আলিঙ্গন হইতে বঞ্চিত করিয়া রাখিৰে না। স্নিগ্ধ-নিৰ্ম্মল প্রাতঃক্লালে সুৰ্য্যোদয় তাহাদের প্রত্যেক দিনকে জ্যোতিৰ্ম্ময় অঙ্গুলির দ্বারা উদঘাটিত করুকু এবং স্বৰ্য্যাস্তদীপ্ত সৌম্যগম্ভীর সায়াহ্ তাহদের দিবাবসানকে নক্ষত্রখচিত অন্ধকারের মধ্যে নিঃশব্দে নির্মীলিত করিয়া দিকৃ! তরুলতার শাখাপল্পবিত নাট্যশালায় ছয় অঙ্কে ছয় ঋতুর নানারসবিচিত্র গীতিনাট্যাভিনয় তাহদের সম্মুখে ঘটিতে দাও! তাহারা গাছের তলায় দাড়াইম্বা দেখুক, নবুবর্ষা প্রথমযৌবরাজ্যে অভিষিক্ত রাজপুত্রের মত তাহার পুঞ্জ-পুঞ্জ সজলনিবিড় - মেঘ লইয়া আনন্দগর্জনে চিরপ্রত্যাশী রনভূমির উপরে আসন্নবর্ষণের ছায়া ঘনাইয় তুলিতেছে ;–এবং শরতে অন্নপূর্ণ ধরিত্রীর বক্ষে শিশিরে সিঞ্চিত, বাতাসে চঞ্চল, নানাবর্ণে বিচিত্র দিগন্তব্যাপ্ত খামল • সফলতার অপৰ্য্যাপ্ত বিস্তার স্বচক্ষে দেখিয়া তাহাদিগকে ধন্য হইতে দাও ! হে প্রবীণ অভিভাৰঙ্ক, হে বিষয়ি, তুমি কল্পনাবৃত্তির্কে যতই নিজৰি, হৃদয়কে যতই কঠিন করিয়া থাক, দোহাই তোমার, এ কথা অন্তত লক্ষাতেও বলিয়ে না যে, ইহার কোনো প্রয়োজন নাই--তোমার