পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৪৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবম সংখ্যা । ] हर्षदकैम । 8*》 হর্ষচরিতের ভদস্তসাক্ষাৎকারপ্রস্তাবে তাহার ক্টেদ্ধধৰ্ম্মামুরক্তির প্রথম প্রমাণ পাওয়া যায়। সম্ভবত র্তাহারই জাগ্রহাতিশষ্যে তীয় পতির ভূতপূৰ্ব্ব রাজধানী কনোজনগরে বৌদ্ধোৎসবের আয়োজন করা হয়। র্তাহার বৌদ্ধসন্ন্যাসীর সহিত নিঃসঙ্কোচে কথোপকথন ও হর্ষবৰ্দ্ধনের পার্শ্বে উপবিষ্ট হুইয়া হিউয়েন-সাং-ব্যাখ্যাতবিচারাদিশ্রবণে অনুমিত হয়, এখনকার দক্ষিণাত্যের দ্যায় হর্ষের সময়ে আৰ্য্যাবৰ্ত্তেও স্ত্রীজাতির অবরোধপ্রথার কোন নিদর্শনই বিদ্যমান ছিল না। বৌদ্ধধর্মের প্রতি প্রগাঢ় জমুরাগবশত বোধ হয়, ধৰ্ম্মবিচারকালে হিউয়েন-সাংএর প্রতি হর্ষের অযথা পক্ষপাতিত্ব পরিদৃষ্ট হইত, কিন্তু তাহা সত্ত্বেও বিদ্বেষবিষপরিশূন্ত হইয়া সকল ধৰ্ম্মকেই সাম্যের চক্ষে দেখিয়া, যাহাতে সকলে স্বাধীনভাবে স্ব-স্ব-অবলম্বিত মতের অনুবর্তন করিতে পারে, হর্ষের তৎপক্ষে বিশেষ দৃষ্টি ছিল। মুলতানের নিকট নবনিৰ্ম্মিত বিহারে কতকগুলি বিভিন্নধৰ্ম্মাবলম্বী তার্কিক সমবেত হইলে, হর্ষের আদেশে তাহাতে অগ্নি প্রদত্ত হওয়ায় ভারতে পারশীক ও শাকগণের ধৰ্ম্মসম্প্রদায় একেবারে নিৰ্ম্মলিত হইয়া যায়— বৌদ্ধ ঐতিহাসিক তারনাথের এই উক্তি নিতান্ত অমূলক। বলবৎ প্রমাণ না পাওয়া পৰ্য্যন্ত একান্ত ভিত্তিহীন অলীক কল্পনার আবেশে হর্ষের দ্যায় উদারপ্রকৃতি ধৰ্ম্মপ্রাপ নরপতির উন্নতমস্তকে এরূপ নীচজনোচিত ঘৃণ্য. সাম্প্রদায়িকতামূলক কলঙ্ক আরোপ করিতে প্রবৃত্তি হয় না। কেহ করিলেও, সাধারণের তা বিশ্বাসযোগ্য হইতে পারে না । • কনৌজের বেীদ্ধোৎসব ও প্রয়াগের মহামেলা । - বঙ্গে অবস্থানকালে হর্ষের সহিত হিউয়েন-সাংএর সাক্ষাৎকারলাভ হয়। ৯০ দিনের পথশ্রমের পর, তাহার কামরূপাধিপতি কুমারের সমভিব্যাঙ্গারে হর্ষের নিকট-আত্মীয় বলভীরাজ, কুমার ও অন্তান্ত ১৮ জন নরপতিকর্তৃক অভ্যধিত হইয়া বৌদ্ধোৎসবে যোগদানার্থ হর্ষের তাৎকালিক রাজধানী কান্তকুজনগরে প্রৰিষ্ট হন । সুরম্য উৎসবস্থলের মধ্যভাগে ৬৬হস্ত উচ্চে অবস্থিত ও হর্কের আকৃতির পরিমাণবিশিষ্ট বুদ্ধমূৰ্ত্তি স্থাপিত, ছিল। দুই-হস্ত উচ্চ অপর একটি বুদ্ধমূৰ্ত্তির মস্তকে শক্রবেশী হর্ষ চন্দ্ৰাতপ ধারণ করিয়া ও ব্ৰহ্মাবেশী কামরূপরাজ চাময়ব্যজন করিতে করিতে—বিংশতি ভূপতি ও তিনশত হস্তীতে পরিবেষ্টিত হইয়া—উৎসৰস্থলে উপনীত হইবার সময় পথিপার্শ্বস্ব জনসমূহে । মণি, মুক্ত ও স্বর্ণনিৰ্ম্মিত পুষ্প বিতরণার্থ প্রক্ষিপ্ত হইত। অনন্তর রাজা স্বহস্তে বৌদ্ধমূৰ্ত্তির অভিষেককার্য্য সম্পন্ন করিয়া স্ট্রীয় স্কন্ধে বহনপূৰ্ব্বক নির্দিষ্টস্থানে জ্ঞাপম করিতেন। ইহার পর জনসমূহকে ভোজন করাইয়া, পরে ধৰ্ম্মবিচার চলিত। কিন্তু প্রায় একপক্ষের যুক্তিতেই তাহার পর্য্যবসান হইত। এই উৎসব উপলক্ষে অস্থায়িভাবে নিৰ্ম্মিত বৌদ্ধবিহারে হঠাৎ অগ্নিসংযোগ হওয়াতে মহারাজ শ্ৰীহৰ্ষ অগ্নিপ্রশমনদর্শনমানসে সমীপস্থ পোপরি অধিক্কা খইলে, তাহার প্রাণনাশার্থ ছুরিকাহন্তে ཨཱ་སཱ་ ব্যক্তি বৃত্ত হওয়ায়, সে প্রকাশ করে, বৌদ্ধীিগের প্রতি’ তাহার অতিরিক্ত-পক্ষপাতিম্ব-প্রযুক্ত উত্তেজিত ব্ৰাহ্মণগণ তাহাকে নরপতির প্রাণবিনাশে নিযুক্ত করিয়াছেন । এই অভিযোগে