পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৫৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

شیوكمt) बत्रनलीम । [ ৬ষ্ঠ বর্ষ, চৈত্র। বস্তুত এমন করিয়া কখনই আমরা কোনো আসল জিনিষ পাইতেই পারি না । গ্রামে কোনো উৎপাত ঘটলে আমরা রাজসরকারে প্রার্থনা করিয়া দুজন পুলিসের লোক বেশি পাইতে পারি, কিন্তু নিজেরাই যদি সমবেত হইয়া আত্মরক্ষার সুব্যবস্থা করিতে পারি, তবে রক্ষাও পাই, রক্ষার শক্তিও হারাইতে হয় না। বিচারের সুযোগের জন্য দরখাস্ত করিয়া আদালত বাড়াইয়া লইতে পারি, কিন্তু নিজেরা যদি নিজের সালিশিসভায় মকদ্দমা মিটাইবার বন্দোবস্ত করি, তবে অসুবিধার জড় মরিয়া যায়। মন্ত্রণাসভায় দুজন দেশী লোক ধেশি করিয়া লইলেই কি আমরা রেপ্রেজেন্টেটিভ গবমেণ্ট পাইলাম বলিয়া হরির লুঠ দিব? বস্তুত আমাদের নিজের পাড়ার, নিজের গ্রামের শিক্ষা-স্বাস্থ্য-অশনবসন-সম্বন্ধায় সমস্ত শাসনব্যবস্থা আমরা যদি নিজের গড়িয়া তুলিতে পারি, তবেই যথার্থ খাট জিবিটি আমরা পাই। অথচ এই সমস্ত অধিকার গ্রহণ করা পরের অনুগ্রহের উপর নির্ভর করে না । এ আমাদের নিজের ইচ্ছা, চেষ্টা ও ত্যাগস্বীকারের অপেক্ষা করে । আমাদের দেশজোড়া এই সমস্ত কাজই আমাদের পথ চাহিয়া বসি আছে, কিন্তু সে পথও আমরা মাড়াই না, পাছে সেই কৰ্ত্তব্যের সঙ্গে চোখে-চোখেও দেখা হয়। যাহাদের এমনি হরস্থ, তাহার পরের কাছ হইতে কোনাে কুলভ জিনিষ চাহিয়া-লইয়া সেটাকে যথার্থভাবে রক্ষা করিতে পারবে, এমন ছাশ কেন তাহদের মনে স্থান পায় ? যে কাজ আমাদের হাতের কাছেই আছে এবং র্যাহা আমরা ছাড়া আর কেহই ঠিকমত সাধন করিতে পারেন, তবেই আমরা সেই শক্তি পাইব,—যে শক্তির দ্বারা পরের কাছ হইতে নিঃসঙ্কোচে আমাদের প্রাপ্য আদায় করিয়া তাঁহাকে কাজে খাটাইতে পারি। এইজন্যই বলিতেছি, যাহা নিতান্তই আমাদের নিজের কাজ, তাহার যেটাতেই হাত দিব, সেটার দ্বারাই আমাদের মানুষ হইয়া উঠবার সহায়তা হইবে এবং মানুষ হইয়া উঠিলে তবেই আমাদের দ্বারা সমস্তই সম্ভব হইতে পরিবে. i আমরা যখন প্রায় পঁচিশত্রিশবৎসর পূৰ্ব্বে ভারতবর্ষের প্রাচীনগৌরব লইয়া স্বদেশাভিমান অনুভব করিতে সুরু করিয়াছিলাম, তখন সেই প্রাচীন বিবরণের জোগান পাইবার জন্য আমরা বিদেশের দিকেই অঞ্জলি পাতিয়াছিলাম— এমন কোনো পণ্ডিত পাইলাম না, যিনি স্বদেশের ইতিহাস উদ্ধার করিবার জন্ত জানু-পত্তিতের মত নিজের সমস্ত চেষ্টা ও সময় এই কাজে উৎসর্গ করিতে পারিলেন । আজ আমরা স্বদেশপ্রেম লইয়া কম কথা বলিতেছি না—কুিন্তু আজও এই স্বদেশের সামান্ত একটি বৃত্তান্তও যদি জানিতে ইচ্ছা করি, তবে ইংরেজের রচিত পুথি ছাড়া আমাদের গতি নাই। এমন অবস্থায় পরের দরবারে দাবী লইয়া দাড়াই কোন মুখে, সন্মানই বা চাই কোন লজ্জায়, আর সফলতাই বা প্রত্যাশা করি কিরূপে ? যাহার ব্যবসা চলিতেছে, বাজারে তাহারই .ক্রেডিট থাকে, সুতরাং অন্ত ধনীর কাছ হইতে সে যে সাহায্য পায়, তাহাতে তাহার লজ্জার' কারণ ঘটে ন—কিন্তু যাহার শিকি পয়সার কারবার নাই, সে যখন ধনীর দ্বারে দাড়ায়, তখন কি সে মাথা ছেট করিয়া দাড়ায় ন- * এবং তখন যদি সে আঁজলী ভরিয়া কড়ি না