পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় সপ্তম খণ্ড.djvu/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

y বঙ্গদর্শন। [ ৭ম বর্ষ, বৈশাখ, ১৩১৪ মধ্যেই যাহার আনন্দ, সে টাকার ক্ষতির সাহস যুদ্ধে জয়ী হইয়াছে। সাহিত্যে মানুষ তয়ে অসত্যকে, অপমানকে অনায়াসে স্বীকার করে । করিতে কুষ্ঠিত হয় না ;–এই লোকটি যত পরীক্ষাই পাস করুকু,ইহাব যত বিদ্যাই থাকৃ, আনন্দ্ৰশক্তির সীমাতেই ইহার যথার্থ পরিচয়টি পাওয়া যায়। ’ বুদ্ধদেবের কতখানি আনন্দের মধিকার ছিল, যাহাতে রাজাসুখের আনন্দ তাহাকে বধিয়া রাখতে পারে খ্ৰীষ্ট, ইহা যখন দেখি, তখন প্রত্যেক মানুষ মনুষ্যত্বের অলপরিধির বিপুলত দেখিয়া নেন নিজেরই গুপ্তধন-অন্তের মধ্যে আবিষ্কার করে--নিজেরই বাধামুক্ত পরিচয় বাহিরে দেখিতে পায়। এই মহৎচরিত্রে আনন্দবোধ করাতে আমরা নিজেকেই আবিষ্কার করি । - অতএব মানুষ আপনার আনন-প্রকাশের দ্বারা সাহিত্যে, কেবল আপনারই নিত্যরূপ, ' শ্ৰেষ্ঠরূপ প্রকাশ করিতেছে। g আমি জানি, সাহিত্য হইতে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রমাণ আহরণ করিয়া আমার নোট-কথাটাকে খণ্ডখণ্ড করিয়া ফেলা অতfন্ত সহজ - সাহি- 魏 র্ত্যের মধ্যে যেখানে যাহা কিছু স্থান পাইছে, তাহার সমস্তটার জবাবদিহি করিবার দায় দি কেষ্ট tశ్వి •চাপানো হয়, তৱে সে তামার বড় কর বিপদ নয়। কিন্তু দায়ুর্যের সমস্ত বৃহৎ ব্যাপারের মধ্যে শত শত আত্মবিরোধ వీళ్తా! যখৰু বলি, জাপানীর নির্ডক সাহসে, লড়াই করিয়াছিল—তপন জাপানী য়েনাদলের -প্রত্যেক লোকটির সাহসের হিসাব লইতে গেলে নানা স্থানেই ত্রটি দেখু যাইবে— কিন্তু ইহ সত্য,সেই_সমস্ত' ੱਛਿੜ ভয়কেও সম্পূর্ণ জন্মসাৎ করিয়া, জাপানীদের বৃহৎভাবে আত্মপ্রকাশ করিতেছে—সে ক্রমশই সে চাকরী বজায় রাখিতে অন্যায় তাহার আনন্দকে খও হইতে অখণ্ডের দিকে অগ্রসর করিয়া ব্যক্ত করিতেছে—বড় করিয়া দেখিলে এ কথা সত্য-rধিকৃতি" এবং ক্রটি যতই থাকৃ, তবু সব লইয়াই এ কথা সত্য। একটি কথা আমাদিগকে মনে রাখিতে হইবে,—সাহিতা দুইরকম করিয়া আমাদিগকে এক, সে সত্যকে মনোহররূপে আমাদিগকে দেখায়, আর সে সত্যকে আমদের গোচর করিয়া দেয় । " সত্যকে গোচর করানে বড় শক্ত কাজ। হিমালয়ের শিখর ' কত-হাজার ফিটু উচু, তাহার মাথায় কতখানি বৰফ আছে, তাহার কোন অংশে কোন শ্রেণীর উদ্ভিদ জন্মে, তাহা তন্নতন্ন করিয়া বলিলেও হিমালয় আমাদের গোচর হয় না । যিনি , করেকটি কথায় এই হিমালয়কে আমাদের গোচর করিয়া দিতে পারেন, তাহাকে আমরা কবি, বলি ! কিমালয় কেন, একটা পানাপুঞ্চবকে আমাদের মনশ্চক্ষুর সামনে ধরিয়া দিলে আমাদের আনন্দ হয় । পানাপুকুরকে চোথে তামরা অনেক দেখিয়াছি, কিন্তু তাহাভাব ভিতর দিয়া দেখিলে তাঁহাকে নতন করিয়া দেখা হয় ;-- মন চক্ষুরিস্ক্রিয় দি। টােকে দেখিতে পায়, ভাষা যদি ইন্দ্ৰিয়স্বরূপ হইয়া সেইটেকেই দেখাইতে পারে, তবে মন তাঙ্গাতে নুতন একটা রসলাভ করে। এইরূপে সাহিতা আমাদের নূতন একটি ইঞ্জিরের মত হইয়া জগৎকে আমাদের কাছে নূতন করিয়া দেখায়। কেবল নূতন নয় – ভাষার একটা বিশ্লেষত্ব আছে –সে মামুষের নিজের জিনিষ— সে অনেকটা আমাদের মন আনন্দ দেয় ।