পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় সপ্তম খণ্ড.djvu/২৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बछल-नि ।

  • ৭ম বর্ষ, जज, sess

পাইয়াছিল। তাহার কারণও বলিয়াছি । কারণ, বাছির হইতে তখন সমাজ সকল । বিষয়েই সাড়া দিতেছিল, ভিতরের প্রাণশক্তি নিতান্ত নিজীব ছিল। সবলে আপনার উপায়ে আপনার পথ কাটিয়া লইবার শক্তি তাহার ছিল না। চেষ্টা করিলেও প্রকৃতির বিরুদ্ধে চলা যায় না। জগতের এই অলঙ্ঘনীয় নিয়মকে কেবল যে প্রাকৃতিক-বিজ্ঞান প্রমাণ করিতেছে, তাহা নহে, মনুষ্যবিজ্ঞানও করিতেছে । ইতিহাসে যে সকল লোকপূজ্য মহৎ ব্যক্তি দেখিতে পাই, যাহাঁদের শক্তি জগতের সভাতাকে অগ্রসর করিয়াছে, আকার দিয়াছে ও মহিমা দিয়াছে, তাহাদের মহত্ত্ব স্বাভাবিক,— আপনার মধ্যেই তাঁহা ছিল, চেষ্টা করিয়া তাহ হয় নাই। নেপোলিয়ন, শেক্সপীয়র কি গেটে, যে দিকেই যিনি বড় ছউন না, তাহাদের প্রতি কাৰ্য্য, প্রতি ব্যবহার এমন অদ্ভূতরূপে স্বাভা বিক, যে তাঁহাতে কৃত্রিমতার লেশমাত্র নাই । তাহার কারণ, তাহারা তাহদের প্রকৃতি মানিয়া চলিয়াছেন, কলগড় মানুষ তাহার নন। প্রকৃতিতে ছোট-বড় সমস্ত শক্তিরই সার্থকতা আছে ,-ক্ষকও যেমন শস্ত জন্মাইতেছে, কবিও তেমনি ভাবের ফসল জোগাইতেছেন,কোনটাই বাদ দিবার নয়। কিন্তু মানুষের হাতে সেই প্রকৃতির সহজ ভাবটি অসহজ হইয়া উঠিয়াছে, তজ্জন্ত মানবসভ্যতার ইতিহাসে এমন বিকৃতির দশা মাঝে মাঝে দেখা দেয়-যখন সবলতা, সচেষ্টতা ও সপ্রাণতার কোন পরিচয়ই থাকে না । ইউরোপ কল ভালবাসে। কারণ, যতই স্বাধীন মন্ত্রব্যন্ধের কথা সে বলুক না, আমরা জানি, সে তাহার পুঁখির কথা। তাছার সমাজ কলে চলে। তাই তাহার কণ্ডে স্কুল করিতে হয়, গির্জা করিতে হয়, ও প্যপার সোসাইটি করিয়া দানচর্চা করিতে হয়। এগুলি বোঝা । দান এবং গ্রহণ জিনিষট স্বভাবসঙ্গত নিয়মেই হওয়া উচিত, কলের মধ্যে দিয়া হওয়াটা কিছুমাত্র আনন্দের নহে। কোথায় দান করিব, সকলে মিলিয়া কোথায় দেশহিতকর কৰ্ম্মে ব্যাপৃত হইব, এ করিলে Cool unhappy benevolence wizoহীন দয়াচর্চা করা হয়, তাহাতে সার্থকতা नाहे ।। " তেমনি ধৰ্ম্মসম্বন্ধে এক গির্জা করিবার চেষ্টা ইংলও করিয়াছে—ভিন্ন ভিন্ন তত্ত্বের প্রয়োজনকে স্বীকার করে নাই, ধৰ্ম্মজিনিষটা যে সম্পূর্ণত একলার, তাল প্রেমে, সেবায় ও জ্ঞানে যে প্রতি মুহুর্তে মনুষ্যমধ্যে সজীব আকার পাইতে চায়, তাহ দেখে নাই – তাহার দর্শনসাহিত্যে যতই কেন সে কথা লেখা থাকু না । আমাদের দেশে যখন, এইগুলি প্রবেশ করিয়াছে, আমরা যখন কলের হাতে আত্মসমর্পণ করাকেই মনুষ্যত্বের উন্নত অধিকার ভাবিতে শিখিয়াছি, তখনই জানি যে, বিদেশের মোহিনী মূৰ্ত্তি আমাদের কেবল জুলাইয়াছে, আমাদের যথার্থ প্রকৃতির আমুকুল্য করে मोहे । আঘাতসংঘাতে সহসা সচেতন হইয়া আমরা দেখিতে পাইতেছি যে, আমাদের দেশের অন্তর্নিহিত প্রকৃতি • জামাদের জন্ত এতদিন ৰে নিত্যবত্ত রক্ষা করি জাগিড়ে