পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় সপ্তম খণ্ড.djvu/৫৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

668 স্বল্প সৃষ্টিরই পরিচয় দিয়াছেন। নৈয়ায়িক বলেন যে, একটা ঘট দৈখিলেই নিখিল ঘটের প্রত্যক্ষ হইতে পারে। নৈয়ায়িক কেন এই লোক-যুক্তি-বিরুদ্ধ মত পোষণ করেন; বঙ্গদর্শন । ৭ম,বৰ্ষ, কাঞ্চন, ১৩১৪ সপোন্থপত্তি প্রভৃতি দোষ সহজে সাহিত হইতে পারে। . বল্পতঃ দার্শনিক “শিরোমণি" সামাণ্যলক্ষণ স্বীকার করেন নাই। আমাদের মনোবিজ্ঞান স্ত্র psychology বলিতেছি। অনুমানের প্রামাণ্য মানিতে জড়বিজ্ঞানের পন্থা অনুসরণ করিয়া কেবল হইলে, ব্যাপ্তি ও পক্ষধৰ্ম্মল জ্ঞানের প্রামাণ্য জ্ঞান থাকা আবশ্বক। . ব্যাপ্তিজ্ঞান, অর্থাৎ যেখানে যেখানে ধূম সেখানে সেখানে বহ্নি ৫ই জ্ঞান, কিরূপে উৎপন্ন হইল ? “শতশঃ সহচরিতয়োরপি ব্যভিচার-দর্শনাং”—শত শত হাজার হাজার স্থলে ধুম ও বহ্নির সামানাধিকরণ্য দেখিলেও, তস্থার ধুম বহ্নিব্যাপ্য এই জ্ঞান জন্মিতে পারে না । হাজার স্থলে ধুম ও বহ্নি একত্র, একস্থানে আছে বটে, কিন্তু হাজার এক স্থলেও যে থাকিবে তাহার প্রমাণ কি ? বিশেষত, ধূম বহিব্যাপ্য এই জ্ঞানট, এই ধূমটী বহ্নিব্যাপ্য, এই ধূমট বহ্নিবাপ্য এইরূপ বহুতর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জ্ঞান হইতে উৎপন্ন হইয়াছে বলিলে, ইহাও একরূপ অনুমানই হইয়া দাড়ায়। কিন্তু অনুমানের প্রামাণ্য এখন নিরূপিত হয় নাই। এ বিষয়ে বিস্তার কর! নিম্প্রয়োজন। সৰ্ব্বদর্শন সংগ্রহের চর্বিাকদর্শন এবং তত্ত্বচিস্তামণির ব্যাপ্তিগ্রহের পূৰ্ব্বপক্ষে এ সকল কথা, অতি স্বন্ররূপে বলা ੱਢ । কাজেই অগত্য স্বীকার করিতে হয় যে, ব্যাপ্তিগ্রহ প্রত্যক্ষ প্রমাণস্থার হইয় থাকে। তাহা হইলেই . নিখিল ধূমের প্রত্যক্ষের দরকার। এই নিখিলু ধুমের প্রত্যক্ষ সামান্ত বা জাতি দ্বারাই হইয়া থাকে। এইরূপে -অম্লমানের প্রামাণ্যরক্ষার জন্যই বোধ হয়, সামান্তলক্ষণ প্রত্যাসক্তি মান হইয়া থাৰুে । লৌকিকপ্রত্যক্ষ ও অনুমানগম্য বস্তুতন্তু লইয়াই বিব্রত থাকে নাই। ইহার লিঙ্গদেহ প্রভৃতি স্বীকার করিয়াছেন। চিৎ জড়ের আশ্রয় ব্যতীত থাকিতে পারে, এইরূপ ধারণ করাও অসাধ্য। এই জন্যই এই ভৌতিক দেহাপগমে, স্বাক্ষ দেহ অবহু স্বীকার্য্য । বিশেষতঃ যোগাদিদ্বারা এই লিস্বদেহের প্রত্যক্ষ অসম্ভব নহে। বর্তমান থিওসফি এবং সাইকিকাল রিসার্চ সমিতি যে সকল বিষয়ে আলোচনা করেন, তাহা সমস্তই এতদ্ধেশীয় দর্শনে বর্তমান ছিল। strtzra taiftstra metapsychicsi প্রধানত আলোচিত হইত। চিচ্ছক্তি বা জ্ঞান কেবল মনুষ্যে সীমাবদ্ধ, এরূপ নহে। পশুপক্ষী কীট পতঙ্গে ত জ্ঞান আছেই। উদ্ভিদ ও জ্ঞানবিহীন নহে। বস্তুত জড় প্রস্তরপণ্ডে ও মুলুপ্ত আত্মার অস্তিত্বে বিশ্বাস করা বৈদাস্তিকের, অসম্ভব নহে। এষ্টরূপে দেখিতে গেলে সমস্ত জগৎ চিন্ময় হইয়া যায়। প্রত্যেক পরমাণুতেও চিচ্ছক্তির পরিচয় পাওয়া ১য়ায় । উদ্বোধন সংক্রান্ত নিয়মগুলিও (laws of suggestion ) yrs wittra Tita দেখিতে পাই। তবে কয়ট মৌলিক নিয়ম মানিলেই. চলে প্রভৃতির বিশেষ আলোচনা দেখি না। কারণ যে কার্য্যের স্মারক ইহা নিশ্চয়ই আচাৰ্যদিগের বিদিত ছিল। - বেদান্তের মনোবিজ্ঞান’ বুঝাইতে গিয়,