পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় সপ্তম খণ্ড.djvu/৬৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\99 9 نائسسسسسجد আত্মত্যাগেই মনঃশক্তি বিকশিত হইয়া উঠে । মনঃশক্তি সমুচিত বিকশিত হইয়া উঠিলেই, মনুষ্যত্ব লাভ করা যায়। তাহার জহত্যু সয়ন্ত্ৰ আকাখার উদ্রেক হইয়াছে বুলিয়া বোধ হয় না। " দেশের কথা দশের কথা, দেশের দশ জনের মধ্যে দেশের কথার প্রতি মমতা আকুধণ করিবার আয়োজন এখনও যথাযোগ্য উৎসাহ লাভ করে নাই। এখনও দেশের লোকের নিকট তাহদের জন্মভূমি যথার্থ বাস্তব মূৰ্ত্তিতে ফুটিয়া উঠিতে পারে নাই। একজন ইংরাজ তাহার জন্মভূমিকে যেমন হৃদয় মন দিয়া বাস্তব পদার্থের মত অঁাকড়িয়া ধরিয়া ভালবাসিতে শিথিয়াছে, তাহার তুলনায় আমাদের স্বদেশপ্রীতি এখনও কত অকিঞ্চিৎ কর । g যাহাকে ভাল করিয়া জানি না, তাহাকে উপন্যাসের নায়ক নায়িকার মত ভালবাসিতে পারি ; সংসারের নরনারীর মত ভালবাসিতে পাঁর না। আমরা এখনও আমাদের স্বদেশকে ভাল করিয়া জানি না । সকল জ্ঞানের মধ্যেই এক অব্যক্ত আশঙ্কা বদন ব্যাদান করিয়া 3ার স্বাধীন হই উঠিলে, না জানি তাহ কি অদৃষ্ট বিড়ম্বনার আধার হইয় উঠবে! এই আশঙ্কা প্রচ্ছন্নভাবে সকল উচ্চাকাঙ্খীকে চাপিয়া রাখিয়াছে। ইহাকে বাক্যফুৎকারে উড়াইয়া দিবার উপায় নাই। এই আশঙ্কা রাজাপ্রজাকে তুল্যভাবে অভিভূত করিয়া রাখিয়াছে। এরূপ আশঙ্কার মূলমাত্র অবশিষ্ট থাকিতে, রাজা প্রজা কাহাকেও ধরিয়াই প্রতিকার লাভের সম্ভাবনা নাই। so 要 বশি। § [ ৭ম বর্ষ, চৈত্র, ১৩১৪

! क-त्र আমরা যোগ্য হই উঠিয়াছি-এ কথা যোগ্যের মুখে না শুনিলে, কেবল অবোগ্যের মুখে শুনিয়া, রাজা প্রজা কেহই, তাহার/উপর 'আস্থা স্থাপিত করিতে পারে না। স্বতন্ত্রাং মানুষ গড়িয়া তুলিবার চেষ্টাই একমাত্র চেষ্ট,— তাহাই প্রতিকার এবং প্রতিকার লাভের পথ । , তাহাতে মতের অনৈক্য থাকিলে, আমাদিগের উন্নতিলাভের আশা নাই। • এরূপ সরল বিষয়েও মতের অনৈক্য ঘটিবার কারণ কি ? কারণ আর কিছুই নয়,— ইহাকে মানিয়া লইতে হইলেই, বাক্য ছাড়ির কাৰ্য্য অবলম্বন করিতে হয় । বাক্য সুলভ,— কার্য্য সেরূপ নয় । তাহাতে প্রতিপদে অগ্নিপরীক্ষার আশঙ্কা। সে পথ পরিত্যাগ করিয়া, আমরা যাহাকে অবলম্বন করিয়াছি, তাহার নাম-ঐক্য বাক্য অনৈক্য। . . যাহারা যত কোলাহল করিতে পারে, আমরা তাহাদিগকেই স্তত কাজের লোক বলিয়া ধরিয়া রাখিয়াছি। তাহারা সেই সুযোগে আরও কোলাহল করিয়া, কে বড়—কে ছোট, তাহা প্রতিপন্ন করিবার চেষ্টা করিতেছে। যাহারা এরূপ কোলাহলে অনভ্যস্তৃ, তাঁহাদিগকে আমরা মানুষ বলিয়াই গ্রাহ করি না ! বাৰ্থত্যাগ যে ত্ৰতের মূলমন্ত্র, তাহার উপাসকগণের মধ্যে স্বাচিন্তা প্রবল হইয়া উঠিলে, আন্তরিকতা অন্তৰ্ছিত হইয়া যায়। তখন তাঙ্গাদের মধ্যে ঐক্য সংস্থাপিত করা অসম্ভব হইয়া পড়ে । “অপরে ভুল বুঝিয়াছে, ভুল বুঝাইতেছে,আমরা ঠিক বুঝিছি, ঠিক বুৰাইতেছি" এই কথা কতুৰায় ७निजांश्-खांब्र७ बेङअग्नःि শুনিতে হইবে। এরূপ মতের জনৈক্যের মধ্যে