পাতা:বঙ্গমহিলা (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२68 बन्क्रक्षfड्जः । [২য় খ, ১১শ সং । ও সামান্যকায়স্থ। ব্ৰহ্মকায়স্থ হুই প্রকার। দালভ্য মুনি চন্দ্রসেন রাজার অন্তর্বত্নী ভাৰ্যাকে পরশুরামের হস্ত হইতে মুক্ত করেন । তাহারই সন্তানুের দালভ্য কায়স্থ নামে খ্যাত। ইহার রাজবংশোদ্ভব ও ক্ষত্রিয়। দ্বিতীয়তঃ, ব্ৰহ্মার কায়োস্তব চিত্রগুপ্তের বংশীয়ের ব্রহ্মকায়স্থ ও ক্ষত্ৰিয়বর্ণ। করণকায়স্থও হুই প্রকার। ত্রেতাযুগে পরশুরাম যখন পৃথিবী নিঃক্ষত্রিয় করেন, তখন যে সকল ক্ষত্ৰিয়সস্তান নানাদেশে পলায়ন করিয়া নীচাচারে প্রবৃত্ত হয়, তাহারণ কুরণকায়স্থ নামে খ্যাত হয়। বৈশু পিতা ও শূদ্র মাত হইতে উৎপন্ন সঙ্করজাতিকেও করণকায়স্থ কহে । ইহার লিপিব্যবসায়ী বলিয় প্রসিদ্ধ। সামান্যকায়স্থের উৎপত্তি এইরূপ—ব্রাহ্মণ হইতে বৈখাতে বৈদেহ, ক্ষত্রিয় হইতে বৈশ্বাতে মাহিষ্যা, ও বৈদেহ হইতে মাহিষ্যণতে যে সন্তান জন্মে, তাহারাই কায়স্থ নামে অভিহিত হইয়াছে। যে পাচ জন কায়স্থ এখানে অাইসে, তাহারণ অনেকের মতে ক্ষত্ৰিয় । যাহার। এই মতের বিরোধী, তাহার বলে যে, তবে শূদ্রোপাধি যে দাস শব্দ তাহা কায়স্থের নামান্তে ব্যবহার করেন কেন এবং উপবীত ধারণই বা না করেন কেন ? ইছার উত্তরে অপর পক্ষীয়ের বলেন যে, যদি কায়স্থের। শূত্র হুইত, তাছা হইলে সৰ্ব্বদেশে ও সর্বশ্রেণীর কায়ন্থেরাই নামান্তে দাস শব্দ ব্যবহার করিত। উত্তরপশ্চিম দেশস্থ কায়স্থের লাল ও এতদ্দেশে উত্তররাঢ়ীয় বঙ্গজ শ্রেণী কায়স্থের নামান্তে ঠাকুর শব্দ ব্যবহার করে । তাহারা ইক্ষাও বলে যে, পুৰুষোত্তম দত্ত দাস বলিয়া পরিচয় দিতে অসম্মত হন । তিনি খুদ্র হইলে যে এরূপ মিথ্য স্পৰ্ব করিবেন, তাহণ বিশ্বাস ছয় না । ইহাতেই তাছারণ বলে যে, বঙ্গদেশের কায়স্থেরণ খুদ্র নছে। কারস্থের যে উপৰীত ধারণ করে না তাহার কারণ তাহারণ এইরূপ নির্দেশ করে । যবনদিগের রাজত্ব সময়ে যবনের ছিন্দুপদগকে অতিশয় পীড়ন করিত, এমন কি তাছাদের উপৰীত হরণ করিয়া অগ্নিতে দগ্ধ করিত। ব্রাহ্মণের পুনৰ্ব্বার সংস্কৃত ছইয়।