२७ বঙ্গমহিলা । [२ज्ञ थ, २ङ्ग ग९ !० ১৪৯। স্ত্রী যেন পিতা, ভর্ত বা পুত্ৰগণ হইতে পৃথক হইয়। বাস না করে, কারণ ওরূপ করিলে সে উভয় কুলকেই নিন্দাভাজন করিবে । C; ১৫০ । স্ত্রীলোকের স্বভাব সদা প্রসন্ন হইবে । সে গৃহকর্ম পটুতা সহকারে নির্বাহ করতে পরিবে। গৃহের দ্রব্যসামগ্ৰী সাবধানত সহকারে অবেক্ষণ করিবে । এবং ব্যয়স্থলে মিতাচারী হইবে । ১৫১ ৷ পিতা বা পিতার অনুমতি লইয়া ভ্রাত, তাহকে যাহার করে সমপণ করিয়াছে, সে তাহণকে জীবিতকালে দ্বিধা রহিত হইয়। পূজা করিবে । এবং মরণেও বিস্মৃত হইবে না । ১৫২ ও ১৫৩ কবিতার মৰ্ম্মাৰ্থ স্বামী স্ত্রীর সম্পূর্ণ অধিকারী। .স্বামী রীতিমত মন্ত্র উচ্চারণ করিয়া স্ত্রীকে বিবাহ করিলে সে তাহার ইহকাল ও পরকালের গতি হইয়া থাকে । ১৫৪ স্বামী ভ্ৰষ্টাচার পরস্ত্রীরত ও গুণহীন হইলে ও ধাৰ্ম্মিক স্ত্রী তাহাকে দেবতার ন্যায় পূজা করিবে । ১৫৫ যজ্ঞই বল আর ধৰ্ম্মকৰ্ম্মই বল স্বামীকে ছাড়িয়া স্ত্রী কিছুই করিতে পারিবে না। স্ত্রী স্বামীর যেরূপ পূজা করিবে, পরিণামে তাহার সেই পরিমাণেই সদগতি হইবে। ১৫৬ ৷ পতিপরায়ণ স্ত্রী যদি স্বগে স্বামিসহবাস বাসনা করে, তবে সে যেন স্বামীর জীবনে বা মরণে তাছার অনভীষ্ট না করে। ১৫৭। বরং বিশুদ্ধ ফলপুষ্পমুলাহার করিয়া জীৰ্ণ শীর্ণ হইবে, তথাপি স্বামী মরিলে সে পরপুৰুষের নামও উচচারণ করিবে না । ১৫৮। ক্ষান্তি, কষ্টকারিতা, জিতেন্দ্রিয়তা এবং ধর্শ্বব্রত পতিপরায়ণ স্ত্রীদিগের অমরণ একমাত্র কর্তব্য । - ১৫৯। আজন্ম জিতেন্দ্রিয়তা অভ্যাস করিলে মানুষ পুত্র না থাকিলেও স্বর্গারোহণ করিবে । , ১৬o । এইরূপ যে স্ত্রী স্বামী মরিলে পর কঠোর ব্রহ্মচৰ্য্য অভ্যাস করে সেই ধাৰ্ম্মিক পুত্রবতী না হইলেও স্বর্গারোহণ কৱিবে ।
