পাতা:বঙ্গমহিলা (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२b' বঙ্গ মহিলা । [২য় খ, ২য় সং । । হইয়াছে ইংরাজীসভ্যতাসমাকীর্ণ নব্য সম্প্রদায় তাহার প্রতিবাদ করিতে সাহস করিবেন না । অনন্তর আমরা মনুসংহিতার অন্তর্গত দণ্ডনীতি হইতে স্ত্রীসম্বন্ধি শাসনসকল উদ্ধার করিতেছি – ৮ পরিচ্ছেদ, ৬৮। স্ত্রীলোকের সাক্ষ্যস্থলে স্ত্রীলোকর্কেই গ্রহণ করিতে হইবে । o ৭০ । অন্যস্থলে সমুচিত সাক্ষ্য না পাইলে স্ত্রীলোকের সাক্ষ্য গৃহীত হইতে পারিবে । o ২০৫ । কন্যার অমুক অমুক দোষ আছে, অর্থাৎ কন্যা উন্মাদগ্রস্ত বা কুষ্ঠগ্রস্ত বা পরপুরুষসংসর্গকলুষিত হইয়াছে, যদি কন্যার অগস্ত্রীয়ের কন্যার দোষ এইরূপ স্পষ্টক্ষিরে প্রকাশ করিলেও কোন ব্যক্তি তাহাকে বিবাহ করে, তবে আত্নীয়ের দণ্ডনীয় হইবে না"। ২২৪ । পুরস্কারলোভে কন্যার আত্মীয়ের কন্যার দোষ ও দুশ্চরিত প্রকাশ না করিয়া তাহার বিবাহ দিলে দণ্ডনীয় হইবে। রাজ। তাহার ৯৬ পণ জরিমাণ করিলেনৃ। ২২৫ । কিন্তু যদি কোন ব্যক্তি কেবল ঈর্ষণবশে এইরূপ কহে যে, “ যাহাকে বিবাহ করিতেছ সে কন্য। কুমারী নহে,” তাহ। হইলে তাছার ১oo পণ জরিমাণ হুইবে । ২২৬। পবিত্র বিবাহমন্ত্র অসভূক্ত কুমারীদিগের বিবাহেই উচ্চারিত হইবে। যাহার। ওরূপ কুমারী নহে, তাহদের বিবাহে কোনপ্রকার শাস্ত্রীয় অনুষ্ঠান সমাচরিত হইবে না । আমরা জানিতাম স্ত্রীলোককে প্রহার করিবার ব্যবস্থা নাই, কিন্তু সংহিতার ২৯৯ কবিতায় তাহার উল্লেখ দেখিয়া আমরা সঙ্কুচিত হইলাম। সংহিতার অন্যান্য স্থলে বোধ হয় ইহার বিরোধ দৃষ্ট হইতে পারে। ফলতঃ স্ত্রীকে প্রহার করা যে আর্য্যদের মধ্যেও চলিত, আমরা তাহ জানিতাম না । যথা :– ২৯৯ ; পত্নী, পুত্র, দাস, ছাত্র এবং কনিষ্ঠভ্রাতা দোষ করিলে