পাতা:বঙ্গরহস্য - ভূবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

夺鲷罗1。 বন্ধু, রত্নেশ্বরবাবু জমীদার, রত্নেশ্বরবাবু রঙ্গিণীকে প্ৰেমরাজ্যের ঈশ্বরী করতে অঙ্গীকার করিতেছেন, উপরি-উক্ত প্রশ্ন সেই অঙ্গীকারের পোষক, স্পষ্ট ইং বুঝতে পারিয়া রঙ্গিণী উত্তর করিলেন, “পাখী উড়িয়া যাইতে পারে, কিন্তু কেহ ধরিলে তাহার আর উড়িয়া যাইবার ক্ষমতা থাকে না। আপনি আমাকে রাজ্যেশ্বরী করিতে চাহিতেছেন, এ রাজ্যেশ্বরী হইয়া আমি সুখী হইতে পারিৰ না। স্বাধীনতাই আমার রাজ্য, সেই রাজ্যের আমি রাণী। আপনি যদি আমার সেই রাজ্য হরণ করিতে অভিলাষী না হন, তাহা হইলে—“” , রঙ্গিণীকে আর অধিক বলিতে হইল না। আহলাদ প্রকাশ করিয়া রক্কেশ্বর বলিলেন, “স্বাধীনতা-হরণে যদি আমার অভিলাষ থাকিবে, তাহা হইলে তোমাকে আমি আমার প্ৰেমরাজ্যের অধিকারদানে রাজী হইব কেন ? আমিই তোমার অধীন হইয়া থাকিব। সে বিষয়ে তুমি নিশ্চিন্ত থাক । এখনকার কথা হইতেছে যে, কুঞ্জবিহারীকে তুমি পরিত্যাগ করিতে পরিবে কি না ?” -- - মৃদু হাসিয়া রঙ্গিলী বলিলেন, “আপনারা জানেন না, কুঞ্জবিহারী আমার বিবাহ করা নায়ক নহে, কুঞ্জবিহাৰী আমাকে নানা রকম লোভ দেখাইয়া এইখানে আনিয়া রাখিয়াছে। তাহার কথায় আমি ভুলিয়ছিলাম, কিন্তু সে এখন কথা রাখিতে পারিতেছে না। স্ত্রীলোকের অলঙ্কার ভবিষ্যতের সংস্থান। আমায় অলঙ্কারগুলি কুজবিহারী বাহির কািরয়া লইতেছে। অলঙ্কারের মূল্য অনেক। ক্ৰমে ক্রমে কুঞ্জবিহারী তাহা আধা-আধি করিয়াছে ; নিজে ওকালতী করিয়া যাহা পায়, আমি বােধ করি, তাহা আর কোথাও পাঠাইয়া দেয়। এরূপ অবস্থায় দিন দিন কুঞ্জ আমাকে পথের ভিখারিণী করিবে, সেই লক্ষণ আমি বুঝতে পারিয়াছি। আপনি আমাকে-” সর্বাচ্চুকু না শুনিয়াই রত্নেশ্বর বলিলেন, “আর কোথাও পঠাইয়া দেয়, তাহাতে, কি আর সন্দেহ আছে ? যেখানে তাহার বেশী টান, সেইখানেই সব টাকা যায়। আমি মনে করিতাম, তুমি তাহাকে বিবাহ করিয়াছ ; এখন জানিলাম, তাহা নহে। এই সহরে কুঞ্জবিহারীর রঙ্গস্থল প্রায় পাঁচ সাতটী ; তাহার মধ্যে একটী স্থলেই তাহার প্রাণের অভিনয় । সেইখানেই সব টাকাগুলি যায়। তোমার গহনুগুলিও কুঞ্জবিহারী নষ্ট করে নাই, সেই অভিনয়ের 繭"。 সেইগুলি দিয়া সাজাইয়া রাখিয়াছে, ইহা আমি বেশ জািন,