পাতা:বঙ্গরহস্য - ভূবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

幽领-西忍碑林 অসবর্ণবিবাহে মত প্ৰদান করেন না। অতএব স্থির হইল, জাতিভেদ-বিলো- ? •পেই অসবৰ্ণ-বিবাহের প্রচলন । ইংরাজেরা প্ৰায় সৰ্ব্বদাই বলেন, জাতিভেদ প্ৰথা ভারতবর্ষের অধঃপতনের কারন র্যাহারা ইংরাজী শিখিয়াছেন অথবা | ইংরাজের মুখে ঐ প্রকারের কথা শুনিয়াছেন, সমাজ-সংস্কারক সাজিয়া তঁহাদের মধ্যে অনেকেও আজকাল ঐ বাক্যের প্রতিধ্বনি করিতেছেন। জাতিভেদ থাকিতে ভারতের মঙ্গল নাই, আধুনিক উন্নতিকামুক যুবকসম্প্রদায়ের ইহাই যেন সিদ্ধমন্ত্র। বিবাহের কথা হইতে হইতে আর একটীি কথা আমাদিগের স্মৃতিপথে সমুদিত হইল। বিদ্যালয়ের বালকের ব্ৰহ্মজ্ঞানী হয়, তাহারা সকল জাতির অল্প ভক্ষণ করে, ইহা এক প্রকার সাধারণ প্রবাদের মধ্যে হইয়া দাড়াইয়াছে। আমরা ততদূর বলিতে ইচ্ছা করি না ; বিদ্যালয়ের বালকমাত্রেই ব্ৰহ্মজ্ঞানী, ৰালকমাত্ৰেই সৰ্ব্বজাতির অন্নভোক্তা, এ কথা সত্য নহে ; কতক কতক বালক ঐ পথের পথিক বটে, এ কথা সত্য। আজি প্ৰায় দশ বৎসর হইল, একটা মজলীসে একজন সুশ্ৰী হিন্দুযুৱক আসিয়া উপস্থিত হন। মজলীসটী কলিকাতার যুবকসম্প্রদায়েই পরিপূর্ণ। যিনি নূতন আসলেন, তিনি ব্ৰাহ্মণ, তিনি গলদেশে যজ্ঞসুত্র ধারণ করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় বি, এ ডিক্ৰী লাভ করিয়াছেন ; উকীল হইবার জন্য ব্যবস্থশাস্ত্ৰ অধ্যয়ন করিতেছেন। বয়স অনুমান চতুৰ্বিংশতি বৎসর। মজলীসে আসনগ্ৰহণ করিয়াই সগৌরবে, শ্লাঘা সহকারে, সহস্তবিদনে তিনি বললেন, “কল্য একটা ভারী মজা হইয়া গিয়াছে। সন্ধ্যাকালে মাণিক তলার বাগানের দিক্‌ হইতে আমি বাসায় আসিতেছিলাম, পথিমধ্যে দেখিলাম, একটা খোলা জায়গায় সামিয়ানা খাটাইয়া অনেক লোক গোলমাল করিতেছে। কি ব্যাপার, দেখিবার নিমিত্ত আমি নিকটস্থ হই ; দেখিলাম, মুসলমানের মজলীস, খানার ব্যাপার। নিকটস্থ হইবামাত্র মুসলমানী খানার চমৎকার সুবাস আমার আসারদ্ধে প্রবেশ করিল, আমি আর তখন লোভ সংৰক্ষ্মণ করিতে পারিলাম না। আমার গায়ে একটা চপকান ছিল, সেটা খুলিয়া উল্টা করিয়া গায়ে দিলাম, একটু তফাতে একখানা দৰ্জীর দোকান ছিল, সেই দোকানে গিয়া পাঁচটা পয়সা দিয়া মুসলমানী কেতার একটা সাদা তাজ কিনিয়া লইলাম, সেই তাজটা বামে হে লাইয়া বা না। কবিয়া মাথায় দিয়া, মজলী সমধ্যে প্ৰবেশ করলাম। স্কো জর