পাতা:বঙ্গরহস্য - ভূবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

画ö怀叫@碑目 S)r:Ið ধরে, উত্তাপ সন্থ হয় না, অমুকের স্ত্রীর যেমন কণ্ঠহার আছে, অমুকে সেই রকম একছড়া হার গড়াইয়া দাও, তিরুবালার লেমন সবুজ সাটিনের পোষাক আছে, আমাকে সেই রকম একটা পোষাক কিনিয়া দাও,” ইত্যাকার নানাপ্রকার বাহনায় স্বামীকে নিত্য নিত্য জালাতন করিয়া তুলে। একটী পূর্ণগর্ভা দরিদ্র রমণী তাহার স্বামীকে বলিয়ছিল, “পাশের বাড়ীতে বিবি ধাত্রী আসিয়া ছল, আমার প্রসবের সময় সেইরূপ ধাত্রী না আসিল আমি প্রসব করিব না৷ ” এই গোল ঐশ্বৰ্য্যদর্শনের ফল। তৃতীয় প্রলোভন আরও কিছু বেশী ভয়ঙ্কর। পূর্বে উক্ত হইয়াছে, কলিকাতায় দিন দিন বেষ্ঠা-নিবাসের অসম্ভব আধিক্য ; সেই সকল নিবাসের নির্দিষ্ট পল্পী নাই ; যেখানে যাহাদের ইচ্ছ, বেশ্যারা সেইখানেই বাসস্থান মনোনীত করে । গৃহস্থালয়ের গাত্রে গাত্রে বেশ্যার বাস ;-গৃহস্থ কন্যারা নিত্য নিত্য সেই সকল কুলটার বিচিত্র বসনভূষণ, বিচিত্ৰ কেশবিন্যাস, বিচিত্ৰ হাবভাব লীলাবিলাস দর্শন করিয়া চঞ্চল হইয়া থাকে, ভিতরের যন্ত্রণা বিবেচনা করিতে পারে না ; হাদের বুদ্ধি অল্প, বিলাসেচ্ছা প্ৰস্তুলা, তাহারা সেইরূপ সুখবিলাসে মনে মনে অভিলাষিণী হয় ; কাহারও কাহারও কপাল ভাঙ্গিয়া যায়, পতঙ্গ যেমন জলন্ত অনলে বাপ দিয়া মরে, ঐ প্রকারের গৃহপিঞ্জরের বিহাঙ্গিনীরা কেহ কেহ ঐন্ধপ বিষম দৃষ্টান্ত দর্শনে পিঞ্জঃ ভাঙ্গিয়া পিশাচী গণিকালের পুষ্টিসাধন করে; পলায়নের छेष्छ्न्द्र বাধা পাইলে কেহ কেহ উদ্বন্ধনে অথবা বিষপানে আত্মহত্যাও করিয়া থাকে। পূৰ্ব্বে পূর্বে শুনা যাইত, শাশুড়ী-ননদের গঞ্জনায় বঙ্গের কুলবধুরা বহুমন্ত্রণা সহস্থা করিত, কেহ কেহ সেই যন্ত্রণার দায় হইতে মুক্ত হইবার অভিলাষে কুলের বাহির হইয়া যাইত, কেহ কেহ জীবনবিসর্জন দিয়া সংসার-যন্ত্রণা এড়াইত, এখন অনেক স্থলে তাহার বিপরীত ঘটতেছে। এখনকার বধূর প্রায়ই শাশুড়ী-ননদকে গ্ৰাহ করেন না, বধুর গঞ্জনায়-বধুর - তাড়নায় শাশুড়ী-ননদের সর্বদাই অস্থির ; — মৰ্ম্মান্তিক যাতনায় প্রতিদিন তাহদিগকে অশ্রুপাত করিতে হয়। বন্ধুগণের প্রতিকুলাচরণে পুত্ৰগণও জননার প্রতি ভক্তিশূন্য হইতেছে। বন্ধুরা বাবু হইয়া বসিয়া থাকে, বৃদ্ধ শাশুড়ীরা দাসীর ন্যায়। গৃহকাৰ্য নিৰ্বাহ করিতে বাধ্য হন। হিন্দু সংসারে একটী ব্যবহার আছে, বর যখন বিবাহযাত্রা করে, জননী তখন জিজ্ঞাসা করেন, “বাছা! কোথায় যাও ?” । ব্যর উত্তর দেয়, “মা ! তোমার দাসী আনিঙ্গে যাই।” আজিও সেই ব্যবহারানুসারে