পাতা:বঙ্গরহস্য - ভূবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

980 哥*吻目 চক্ষুলজ্জার খাতিরে ঐ কথা বলিতে হয়। কিন্তু, বরের মনে মনে থাকে, “তুমি যাহার দাসী হইবে, তাহাকে আনিতে যাই।” । কাৰ্য্যক্ষেত্রে বাস্তবিক তাহাই দাড়াইতেছে। এবংবিধ অনেকগুলি কারণে বঙ্গের হিন্দু-সংসার অশান্তিময় হইতেছে। বাবু হইবার সাধটা মেয়ে-মহলেও প্রবল হইয়া উঠিয়াছে। মাসীবাবু, পিসীবাবু, দিদিবাবু, বৌবাবু এইপ্ৰকার খ্যাতিলাভ করিয়া নূতন ধরণের স্ত্রীলোকেরা নূতন প্রকারে আমোদিনী হইতেছেন। স্বাধীন বঙ্গাঙ্গনার আধিপত্য যেখানে, সেখানে শাশুড়ী-ননদের স্থানী হয় না, স্বামীও মান পান না, স্বামীকে যেন নারীর গোলাম হইয়া থাকিতে হয়। একটী বাবুর স্ত্রী ছিলেন স্বাধীন, তঁহাদের বাটীর হিন্দুস্থানী বেহার একদিন বৌমার আদেশে বাবুকে ডাকিতে গিয়া বলিয়াছিল, “বহুমহারাজ বোলাওতে হেঁ৷”-- কতকগুলি বাড়ীতে বহু-মহারাজের আবির্ভাব হইয়াছে, এ রঙ্গ নুতন হইলেও নিতান্ত নূতন নহে; দিনে দিনে বহু-মহারাজের সঙ্খ্যাবৃদ্ধি হইবে, তাহারও ese col fettg স্ত্রীলোকেরা অলঙ্কারপ্রিয় হয়, বঙ্গদেশের সকলেই ইহা জানেন। গৃহ হইতে বাহির হইয়া যাহারা বিলাতী ধরণে বিবি সাজিয়া আছে, তাহারা অধিক অলঙ্কার ভালবাসে না। ;-লকেট, হার, ইয়ারিং, বালা, এই পৰ্য্যন্ত হইলেই তাহদের পক্ষে যথেষ্ট হয় ; তাহতেই তাহারা সন্তুষ্ট থাকে ; কিন্তু যাহারা সংসারাবাসিনী, অথচ যাহাদের পতির প্রতি কমলার কৃপা আছে, তাহারা অলঙ্কারের ভারে চলৎশক্তিবিহীন হইলেও আরও অধিক অলঙ্কার প্রাপ্ত হইবার আবদার ধরিয়া থাকে। পূর্বে আমাদের দেশে স্বর্ণালঙ্কারের ব্যবহার ছিল না। ;-সাধারণ গৃহস্থর বাটীর সধবারা শঙ্খ ব্যবহার করিয়াই সংসার উজ্জ্বল করিতেন, কিঞ্চিৎ অবস্থাপন্ন গৃহস্থের বাটীর পরিবারের গাত্রে দুই একখানি রজতালঙ্কার উঠিত ; আজকাল স্বর্ণালঙ্কারের এত বাড়াবাড়ি হইয়া উঠিয়াছে যে, বৎসরে দুই তিনবার অলঙ্কারের নাম বদল হয়, নূতন নুতন গঠনের বিবিধ অলঙ্কারের সৃষ্টি হইতেছে, এত নূতন সৃষ্টি যে, প্রাচীন গৃহিণীরা সে সকল অলঙ্কারের নাম পৰ্যন্ত অবগত নহেন। সুবৰ্ণালঙ্কারের আদরও অনেক বিলাসিনী কামিনীয় নিকটে কিমিয়া আসিতেছে ;-হীঃা-মতি, মণি-রত্ন না হইলে তঁহায়! আর তুষ্ট থাকিতে পারেন না। --নারীসমাজে তাঁহা... দের গৌরবও থাকে না। কিছুদিন পূর্বে জনকত বক্তা একটা সুর ধরিয়াছিলেন,