পাতা:বঙ্গরহস্য - ভূবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ta osur S “অলঙ্কারে স্ত্রীলোকের অহঙ্কার বৃদ্ধি করে, অতএব অলঙ্কার °द्रशैंद्र (zथं উঠাইয়া দেওয়া ভাল।” কলিকাতার: বক্ততার স্রোত ধারাবাহিকরূপে দশবৎসর সমভাবে চলে না, শীত্র শীঘ্ৰ ভাটী পড়ে ;-অলঙ্কার উঠাইয়া দিবার বক্ততা এখন আর শ্রুতিগোচর হয় না, সভ্যতা-বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে অলঙ্কারের মহিমা-বৃদ্ধি হইতেছে। দুটা দলে সে মহিমা কিছু অল্প । বিবিয়ানা ধরণে অষ্টপ্রহর বঁাহাদের সৰ্ব্বাঙ্গ আবৃত থাকে, তঁহারা অধিক অলঙ্কার-পরিধানের স্থান পান না, সেই একদল, আর যাহাঁদের সংসারে লক্ষ্মীর দৃষ্টি কম,সেই একদল। যাহারা বিবি সাজেন না, অথচ জামাজুতা মোজা ব্যবহার করেন, তঁহারা লোক দেখাইবার জন্য জামার উপর নানাপ্রকার অলঙ্কার ধারণ করেন। চরণভরণের ব্যবহার* প্রায় উঠিয়া গিয়াছে। নূতন বিবাহিতা বালিকারী কিছুদিন গুজরীপঞ্চম, চরণ চাদ ইত্যাদি পরিধান করে, একটু বয়স হইলেই তাহ ফেলিয়া দেয়। কোন কোন বিলাসিনীর পায়ের মোজার উপর ছয়গাছা আটগাছা মল শোভা পায়, তাদৃশি বিলাসিনীর সঙ্খ্যা অধিক নয়। পূর্বে পূর্বে আমাদের দেশের ভাগ্যবতী রমণীরা চরণে নুপুর পরিধান করি।-- তেন। কবিবৰ্ণনায় আছে :- “কটিতে কিঙ্কিণী সাজে, চরণে নূপুর বাজে, গলে দোলে গজমতি-হার।” ভারতচত্রের সময়েও সম্রান্ত-রমণীর চরণে নুপুর শোভা পাইত। বিদ্যার গর্ভ সমাচার বিজ্ঞাপন করিবার জষ্ঠ বীরসিংহলরাজমহিষী যৎকালে রাজার শয়নকক্ষে । গমন করেন, তদুপলক্ষে কবি লিখিয়াছেন :- “রাণী ধায় ক্ৰোধ-মনে, নুপুরের বনবনে, উঠে বৈসে বীরসিংহ রায়।” অধুনা গৃহস্থ-ভ নে নূপুর নাই, পেশাদার নৰ্ত্তক-নর্তকীরাই এখন নূপুরের } মান রাখিতেছে। চণ্ডীর মশান, মনসার ভাসান, ধৰ্ম্মের গান, রামায়ণগান, : মাণিকপীরের গান, ওলাবিবির গান ইত্যাদির আসরে যাহারা অবতীর্ণ হয়, " সেই সকল গায়নের কাছেও নুপুরের বেশী আব্দর ; গাজনেয় সন্ন্যাসী এবং বহুরূপীরাও নূপুর পয়ে দেয়। রাদেশের এবং উড়িষ্যার কোন কোন স্ত্রীলোক এখনও নুপুরাকারের এক প্রকার অলঙ্কার ধারণ করে; তাহার নাম ৰাকমল ।