পাতা:বঙ্গরহস্য - ভূবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৪৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

80s रक्ब्रश्छ। পূঃ পুরন্দরবাবু করতলে কপোল বিস্তান্ত করিয়া আর একটী দীর্ঘ নিশ্বাস প্লারিড্যাগ করলেন। দেশের সর্বনাশ হউক, জনকভক লোকের টাকা বাভুক, এমন স্বার্থপরতা এ দেশে প্রবেশ করিয়াছে, ইহাই তিনি চিন্তা করিতে লাগিলেন। কিয়াৎক্ষণ পরে মুখ তুলিয়, চাহিয়া নীলাম্বরবাবুকে তিনি জিজ্ঞাসা কৰিলেন, “আরও কি বড় বড় কথা আপনার বলিবার ইচ্ছা আছে, বলুন, সমস্তই আনি ਕੇ' . F . . . . নীলাম্বরবাবু বলিলেন, “ইংরাজ বাহাদুরেরা আমাদের দেশের মঙ্গল চান ; এ দেশের মঙ্গলের জন্য অশেষবিশেষে ভঁাহার চেষ্টা করিতেছেন ; প্ৰজালোকের শীর যাহাতে ভাল থাকে, তদ্বিষয়ে তাহদের একান্ত চেষ্টা। অনেক টাকা ব্যয় করিয়া তাহারা ভারতের স্বাস্থ্যবিধানের উপায় করিয়া দিতেছেন ; মোটা মোটা বেতনে স্বাস্থ্যরক্ষক কৰ্ম্মচারী নিযুক্ত করিতেছেন, মেডিকেল কলেজ হইতে স্বশিক্ষা দান করিয়া" শত শত ডাক্তার বাহির করিতেছেন, কিছুতেই তঁহাদের অভীষ্ট সিদ্ধ হইতেছে না, তঁহাদের দোষ नारे, সেটা কেবল আমাদের অদৃষ্টের দোষ। স্বাস্থ্য-বিধানের নিমিত্ত গবৰ্ণমেণ্টেরও চেষ্টা আছে, দেশের লোকেরও চেষ্টা আছে ; চেষ্টার ফল কিন্তু আর একপ্রকার হইতেছে ; রোগের পরাক্রমের নিকট চিকিৎসার পরাক্রম পরাজিত হইয়া যাইতেছে। কলিকাতার অবস্থা আমি বেশী জানি, অতএব কলিকাতার কথা বলিয়াই এই বিষয়টা আমি । আপনাকে বুঝাইব । এলোপাথ, হোমিওপাথ, কবিরাজ, হাকিম, অবধূত, হাইড়োপাখ প্রভৃতি চিকিৎসকের সংখ্যা পূৰ্ব্বাপেক্ষা কত বাড়িয়াছে, হিসাব করিয়া বলিতে হইলে গণনাসংখ্যা হারি মানিয়া যায়, তথাপি রোগের সংখ্যা কম হইতেছে না, যতই চিকিৎসক বাড়িতেছে, ততই নূতন নূতন রোগ বাড়িতেছে, শাস্ত্রীয় ঔষধ এবং অপরাপর বিধিসিদ্ধ ঔষধ পৰ্যাপ্ত হইতেছে না, দেখিয়া অনেকগুলি লোক ভিন্ন ভিন্ন রোগের চিকিৎসার জন্য নূতন নূতন পেটেন্ট ঔষধ প্ৰস্তুত করিতেছেন, ঔষধ-বিক্রয় প্রচুর হইতেছে। র্যাহারা যে ঔষধ প্ৰস্তুত করেন, কলিকাতার বাজারে এবং প্রদেশে প্রদেশে তাহাই পৰ্যাপ্তপরিমাণে বিক্ৰীত । হয়। ঔষধওয়ালারা লাভবান হন, কিন্তু যাঁহাদের জন্য ঔষধ, তুল্যাংশে উ{হারা লাভবান হন না। যে সকল রোগ এ দেশে পূৰ্বাবধি