পাতা:বঙ্গরহস্য - ভূবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৪৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্দশ তরঙ্গ। . 89& গ্রচলিত ছিল, তাহার সংখ্যা ছাপাইয়া আজকাল আবার অভূতপূৰ্ব্ব অশ্রুতপূৰ্ব্ব অদ্ভুত অদ্ভুত নূতন নূতন রোগ প্রবল হইয়া উঠতেছে। মালেরিয়াবিষযুক্ত জ্বর, । প্লীহা-যকৃৎ সর্বপ্রথমে বারাসত, উলা, হালিসহর ও অন্যান্য স্থানে উৎপন্ন । হইয়াছিল, বহুস্থান জনশূন্য করিয়া জঙ্গলময় করিয়াছিল, সেই ম্যালেরিয়া-বিষ এখন । কলিকাতায় ‘প্ৰবেশ করিয়াছে। আর একটা অদ্ভুত রোগ বোম্বাই প্রদেশে । উৎপন্ন হইয়া ক্রমে ক্ৰমে “ দেশব্যাপী হইতেছে, সেই সাংঘাতিক রোগটাও কলিকাতায় আসিয়াছে, বিচক্ষণ বিচক্ষণ ডাক্তার-কবিরাজ-মহাশয়েরা আজি পৰ্য্যন্ত সে রোগের নাম নির্ণয় করিতে পারেন নাই। পাজি-পুথিতে সে রোগের নাম না পাইয়া ইংরাজ ডাক্তারেরা তাহার নাম দিয়াছেন “প্লেগ”। গো-মনুষ্যাদির সাধারণ মড়কের ইংরাজী নাম ছিল ‘প্লেগ,” এই নূতন রোগটাওঁ সেই নামেই পরিচিত। পাজ পুথিতে যে রোগের নাম নাই, অবশ্য স্বীকার করিতে হইবে, সে রোগের চিকিৎসাও নাই ; কাৰ্য্যেও তাঁহাই দৃষ্ট হইতেছে। অনুমানের উপর নির্ভর করিয়া চিকিৎসক-মহাশয়ের দুই একটা ঔষধের ব্যবস্থা করেন, প্রায়ই তাহা ভাসিয়া ভাসিয়া যায়, চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই প্ৰাণান্ত। কাহারও কাহারও চব্বিশ ঘণ্টাও বিলম্ব সহে না ! ডাক্তারের সংখ্যাবৃদ্ধি হইতেছে, কবিরাজের সংখ্যাবৃদ্ধি হইতেছে, সেই বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে অসংখ্য লোক মরিতেছে ; সঙ্গে সঙ্গে রোগেরও বৃদ্ধি হইতেছে, চিকিৎসকেরা তথাপি বলেন, “বাজার, বড় মন্দা ।” ইহাও একটা রোগ । রোগী মরুক আর বঁাচুক, তথাপি অন্যান্য রোগের এক এক প্রকার ঔষধ আছে, ঐ নিরাশ্বাস বাক্য-রোগের কোন ঔষধ নাই!’ বাজার মন্দা হইলেও অগণ্য ডাক্তার-কবিরাজের স্বচ্ছন্দে দিন নিৰ্বাহ হইতেছে । ডাক্তারগণের শিক্ষা আছে, পরীক্ষা আছে, যোগ্যতার নিদর্শন আছে, কিন্তু কবিরাজ-মহলে সে রীতি নাই । এখনকার কবিরাজগণের মধ্যে যাহারা সুশিক্ষিত, তঁহার ক্ষমা করিবেন, কবিরাজদলে এখন ভাল মন্দ বাছিয়া লওয়া দুৰ্ঘট হইয়াছে। যাহারা আয়ুৰ্ব্বেদশাস্ত্ৰ অধ্যয়ন করিয়া শাস্ত্ৰমতে চিকিৎসা করি।-- তেন, তাঁহাদের উপাধি ছিল, “বৈসু”। চিকিৎসা-জগতে বৈষ্ঠ ভিন্ন অপর জাতি প্ৰবেশাধিকার পাইত না। আজকাল ব্ৰাহ্মণ হইতে শূদ্রের নবশাক, এমন কি, রাহুত, রাজবংশী, রাজক, রন্ধক ও স্বর্ণকার ইত্যাদিজাতীয় নিরক্ষার লোকেরাও G. Vo