পাতা:বঙ্গরহস্য - ভূবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

9 電覆1 পরীক্ষক ইনস্পেক্টর নিযুক্ত আছেন ; আঁহাদের সংখ্যাও নিতান্ত অল্প নহে, বেতনও নিতান্ত অল্প নহে। তাহারাও পুলিসের ক্ষমতা রাখেন। আমরা মধ্যে মধ্যে সংবাদ পাই, একজন ইনস্পেক্টর পচামাছের ঝুড়ী লাথি মারিয়া ফেলিয়া দিলেন, তাহার পরেই কতিপয় উপাসক সেই ইনস্পেক্টরকে বেষ্টন করিয়া দাড়াইল, গোপনে গোপনে উভয় পক্ষের অভ্যাসমত কাৰ্য্য হইয়া গেল, আর কোন গোলমাল থাকিল না। তখন আবার পচা, ধসা, গলা, পোকা ধরা সমস্তই অবাধে বিক্রীত ১ইতে লাগিল। একজন ইনস্পেক্টর একজন ভারবাহী গোপের একভার দুগ্ধের হাড়ী ফেলিয়া দিলেন, গোয়ালা প্ৰথমে কঁাদিল, তাহার পর চক্ষের জল মুছিয়া সেই স্থানেই প্ৰায়শ্চিত্ত করিল, আর কোন উৎপাত থাকিল না। র্যাহারা আইন করিয়া নিশ্চিন্ত হইয়া আছেন, তঁহারা প্ৰজালোকের মঙ্গলার্থী, কিন্তু আইনমত কাৰ্য্য হইতেছে কি না, তাহ দেখিবর জন্য র্যাহারা আছেন, তঁাহারা আইনকে পদতলে দালন করিতেছেন আইন বরং তঁহাদের ইষ্টসিদ্ধির যন্ত্রস্বরূপ হইয়াছে। যাহারা রক্ষক, তাহারা ভক্ষক হইলে যেরূপ দুর্দশা ঘটে, সহরের অনেক স্থলে অনেক বিষয়ে সেইরূপ দুৰ্দশা ঘটতেছে। আইনকৰ্ত্তাদিগের কোন অপরাধ নাই । এ সকল বরং সামান্য সামান্য দৃষ্টান্ত, বঙ্গ-পুলিসের যে দৃষ্টান্তটা আমরা দেখাইব, তাহা অতি ভয়ঙ্কর। ইংরাজী ফৌজদারী আইনের মৰ্ম্ম এইরূপ যে, “শতকরা নিরানব্বই জন অপরাধী যদি মুক্তি পাইয়া যায়, যাউক, একজন নিরপরাধ ব্যক্তি যেন দণ্ড পায় ।” - গোড়ার কথাটী ততদূর সন্তোষকয় না হইলেও আইনটী দিব্য পরিষ্কার। আইনেয়। ঐ রূপ সাধু উদ্দেশু বাস্তবিক সুসিদ্ধ হইতেছে কি না, তাহার বিচার করিবার অগ্ৰে অত্যন্ত দুঃখের সহিত আমরা বলিতে পারি, সকল স্থলে সুসিদ্ধ হইতেছে না। প্রমাণের গোলযোগে, প্রবল পক্ষের যোগাড়ে, রেষারেষি দ্ধেযান্বেষী প্রভাবে অথবা অন্য প্রকার গুই কারণে অনেক স্থলে অনেক নির্দোষ লোক দণ্ডপ্রাপ্ত হইতেছে। দুই এক মাস কারাবাসের কথা দূরে থাকুক, ঐ প্রকার গুহ গুহ কারণে শতকরা অন্ততঃ দুই পাঁচ জনের ফাঁসী পৰ্যন্ত হইয়া যাইতেছে।” ভাগ্যফলে কোন কোন কুচক্ৰজাল হইতে যাহারা পরিত্রাণ পায়, পরিত্রাণের পূৰ্ব্বে তাঁহাদের উৎকট যন্ত্রণার সীমা-পরিসীমা থাকে না। নিম্নলিখিত দৃষ্টান্তে डा সপ্রমাণ হইবে। .