পাতা:বঙ্গরহস্য - ভূবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 不牙哥习1 বাহিরেও গেল না, অথচ যথাসম্ভব সমস্তই প্ৰস্তুত ; জলের গেলাসের মুখে ক্ষুদ্র একখানি রেকবে চারিটী তাম্বল। " জীবনবন্ধু জল খাইলেন, দাসী পুনরায় তামাক সাজিয়া দিয়া আসন ও পাত্ৰাদি লইয়া গেল। কুসুমকুমারী গেল না। ব্যবহার-দর্শনে জীবনবন্ধু বুঝিতে পারিলেন, এই বিপ্ৰ-পরিবার ‘অতিথিসেবায় অনভ্যস্ত নহেন ; ক্ষুদ্র বালিকাটী পৰ্য্যন্ত অতিথি-সেবার সর্বাঙ্গ অবগত আছেন। কুসুমকুমারীকে তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন, “তোমার বাবা কোথায় গিয়াছেন ?” কুসুমকুমারী উত্তর করিল, “জমিদারের বাড়ীতে গিয়াছেন, অনেকক্ষণ গিয়াছেন, শীঘ্রই আসিবেন।” গৃহস্বামীর অনুপস্থিতিতে পূর্বে যেরূপ একটু একটু সন্দেহ আসিয়াছিল, কন্যার মুখে “শাস্ত্ৰ আসিবেন,” শুনিয়া সে সন্দেহ দুধ হইল। কুসুমকুমারীকে তিনি বসিতে বলিলেন ; নতমুখে মৃদু হাসিয়া চণ্ডীমণ্ডপের সর্দলের উপর পা ঝুলাইয়া কুসুমকুমারী বসিলা। অগ্নিক্ষণ বালিকার মুখের দিকে চাহিয়া জী নৱন্ধু জিজ্ঞাসা করিলেন, “কুসুম ! তুমি কি লেখা-পড়া শিখিতেছি ?” কুসুমকুমারী উত্তর করিল, “আমাদের গ্রামে মেয়ে পড়িবার পাঠশালা নাই, বাবার কাছে আমি ছোট ছোট বই পড়ি। গুরুদক্ষিণ, দ:তা কর্ণ, প্ৰহলাদ চরিত্র পড়িয়াছি; বাবা আমাকে চাণক্য-শ্লোক আর হিতোপদেশের ছোট ছোট শ্লোক মুখে মুখে শিখাইতেছেন।” । সন্তুষ্ট হইয়া জীবনবন্ধু তাঁহাকে দুটী একটি শ্লোক আবৃত্তি করিতে বলিলেন, প্রথমে অল্প অল্প লজ্জা আসিল, তাহার পর অতিথির দ্বিতীয়বার অনুরোধে অতি কোমলম্বরে বালিকা একে একে তিনটী চাণক্য-শ্লোক মুখস্থ বলিল। বিশুদ্ধ উচ্চারণ। শ্লোকের যেখানে যেখানে থামিতে হয়, ঠিক ঠিক যতি মাত্ৰা বজায় রাখিয়া, সেই স্থানে থামিয়া থামিয়া বালিকা দিব্য সরলভাবে আবৃত্তি করিল। জীবনবন্ধু একটী প্লেকের অর্থ জিজ্ঞাসা করিলেন, মৃত্যু হাসিয়া কুসুমকুমারী ৰিলিল, “অৰ্থ এখনও আমার শিক্ষা হয় নাই।” །་ বালিকার বিদ্যার পরীক্ষা হইতেছিল, এমন সময় হারাণ ঠাকুর প্রত্যাগত হইলেন। একজন অপরিচিত ব্যক্তির সঙ্গে কুসুমকুমারী কথা কহিতেছে,