se दाह्रस्छ। কঙ্কৰোড়ে চারণি ঠাকুরকে প্ৰণাম কন্বিয়া জীবনবন্ধু হৃদয়ের কৃতজ্ঞতা ت পুনরায় কমধ্যে ༣ .ས་པ་ ་༥. জানাইলেন ; কিন্তু তাঁহার কথাগুলির ভাবাৰ্থ কিছুই তিনি বুঝতে পারিলেন না। । আমি আজ এখানে আসিব, তাহা ইনি পূর্বে জানিয়াছিলেন, আমি নিষ্কলঙ্ক, আমি অকারণে বিপদগ্ৰস্ত, তাহাও ইনি জানিয়াছেন। ব্যাপার কি ? ইনি কি ভূত-ভবিষ্যৎ গণনা করিতে পারেন ? মনে মনে এইরূপ আন্দোলন করিয়া জীবনবন্ধু একবার ভাবিলেন, এই রহস্তের বিষয়টা হারাণ ঠাকুরকে জিজ্ঞাসা করিবেন, দ্বিতীয় চিন্তায় তাহা অনুচিত ভাবিয়া সে সঙ্কল্প পরিত্যাগ করিলেন। গৃহস্বামীর সহিত অপরাপর প্রসঙ্গে তাঁহার কথাবার্তা চলিতে লাগিল। সন্ধ্য হইল। সেই দাসী আসিয়া চণ্ডীমণ্ডপে একটী প্ৰদীপ জ্বাঢ়ি য় দিয়া গেল। রাত্রি এক প্ৰহরের সময়- জীবনবন্ধু আহার করিলেন ; চণ্ডীমণ্ডপেই উত্তম শয্যা প্ৰস্তুত হইল, তিনি অত্যন্ত ক্লান্ত ছিলেন, শয়ন করিবার উপক্ৰম করিতেছেন, এমন সময় হারাণ ঠাকুর নিকটে আসিয়া বসিলেন। পূর্বে যে সবল কথা হইয়াছিল, সে সকল কথা উত্থাপন না করিয়া হারাণ ঠাকুর তঁহাকে কিছুদিন নিজ বাড়ীতে রাখিবার প্রস্তাব করিলেন। সন্মত হইবেন কি না, তাহা চিন্তা করিয়া জীবনবন্ধু কহিলেন, “অবস্থা কিরূপ দাঁড়ায়, তাহা বুঝিয়া কল্য আমি আপনার নিকট এই সাধু প্রস্তাবের মতামত প্ৰকাশ করিব।” নানা-কথা-প্রসঙ্গে রাত্রি অনেক দূর অগ্রসর হইল, অতিথিকে শয়ন করাই হারাণ ঠাকুর দ্বিতীয় শষ্যায়। সেই চণ্ডীমণ্ডপেই শয়ন করিলেন। তঁহার সততা ও সাধুতা দর্শনে অগরিচিত জীবনবন্ধু পরম আপ্যায়িত হইলেন। আপ্যায়িত হইলেন বটে, কিন্তু অন্তরে অন্তরে গুরুতর সন্দেহের সঞ্চার। আগস্তুকের প্রতি হঠাৎ ইনি এতদূর সদয়, ইহার ভাব কি ? পূর্বেও লক্ষণে লক্ষণে বুঝা হইয়াছে, কোন নিদারুণ মিথ্যা অপবাৰে পুলিসের লোকেরা তাহার পাছু পাছু ঘুরিতেছে ; সম্মুখে আসিয়া দেখা দিতেছে না, কিন্তু পাছু লইয়াছে, তাহাতে আর সন্দেহ নাই। এই হারাথ ঠাকুর ; যদি পুলিসের লোক হন, তাহা হইলে ইষ্টসিদ্ধির নিমিত্ত ঐৰূপ আত্মীয়তা ! জানান অসম্ভৰ বোধ হয় না। আমার এ অনুমান যদি সত্য হয়, তাহা হইলে । স্বজনীপ্ৰভাতে নিশ্চয় আমি মহা বিপদে পড়িব । যাহা করেন। ভগবান, যাহা থাকে ভাগ্যে, তাহাঁই ঘটবে, কেহই আমাকে রক্ষা করিতে পরিবে না। বিনা দোষে । বিদেশ বিখোরে আমার জীবন সঙ্কটাপন্ন হইবে, উপায় নাই। এইরূপ নানা চিন্তা ।
