বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বঙ্গসাহিত্যে নারী.pdf/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বঙ্গসাহিত্যে নারী

এই সন্দর্ভটির ভূমিকায় লোকনাথ মৈত্রেয় লিখিয়াছেন:

 “ইহার রচয়িত্রী তিন বৎসরের অধিক হইবে না, বিদ্যাচর্চ্চা আরম্ভ করিয়াছেন। যত্ন সহকারে বিদ্যার্জ্জনে নিবিষ্টমনা হইলে আমাদের দেশীয় রমণীগণ যে কত অল্পকাল মধ্যে বিদ্যা ও জ্ঞানালঙ্কারে ভূষিতা হইতে পারেন, তাহা এদেশের লোকের হৃদয়ঙ্গম করিয়া দেওয়া আমার এই ক্ষুদ্র পুস্তক প্রচার করিবার অন্যতর উদ্দেশ্য।”

২। হরকুমারী দেবী (কালিঘাট): বিদ্যাদারিদ্রদলনী’ (কাব্য) ..১২ আশ্বিন। ১৭৮৩ শক (ইং ১৮৬১)। পৃ. ৮৪। পুস্তকে লেখিকা নিজ নাম এই ভাবে ব্যক্ত করিয়াছেন:

“পঞ্চমীতে যেই দ্রব্য না করে ভক্ষণ।
তার আদ্য বর্ণ অগ্রে করিয়া গ্রহণ॥
কর্ক্কট মিথুন রাশে হয় যেই নাম।
রচয়িত্রী সেই দেবী কালীঘাট ধাম”

৩। কৈলাসবাসিনী দেবী (দুর্গাচরণ গুপ্তের পত্নী): ‘হিন্দু মহিলাগণের হীনাবস্থা’ (সন্দর্ভ) .. ১৭৮৫ শক (ইং ১৮৬৩)। পৃ. ৭২। ‘হিন্দু অবলাকুলের বিদ্যাভ্যাস ও তাহার সমুন্নতি’ .. ১৭৮৭ শক (ইং ১৮৬৫)। পৃ. ৩৯।
৪। মার্থা সৌদামিনী সিংহ: ‘নারীচরিত’ .. ইং ১৮৬৫। পৃ. ৯৪।
৫। রাখালমণি গুপ্ত: ‘কবিতামালা’ .. ইং ১৮৬৫। পৃ. ৭২।
৬। কামিনীসুন্দরী দেবী (শিবপুর: ‘উর্বশী নাটক’ .. ১২৭২ সাল (ইং ১৮৬৬)। পৃ. ৮৫।

 গ্রন্থকর্ত্রীর নাম “দ্বিজতনয়া” আছে। কিন্তু ইঁহার পরবর্তী পুস্তক ‘বালা বোধিকা’য় (ইং ১৮৬৮) “উর্ব্বশী নাটক রচয়িত্রী শ্রীমতী কামিনীসুন্দরী দেবী প্রণীত” মুদ্রিত হইয়াছে। বঙ্গমহিলাদের মধ্যে কামিনীসুন্দরীই প্রথমে নাটকরচনায় হস্তক্ষেপ করেন।

৭। বসন্তকুমারী দাসী (বরিশাল): ‘কবিতামঞ্জরী’।

 একে যথোচিত শিক্ষার অভাব, তাহার উপর সামাজিক ও পারিবারিক প্রতিকূলতা—ইহা স্মরণ করিলে স্বল্পশিক্ষিতা এইসকল কুলবালার প্রথমোদ্যম নিতান্ত অকিঞ্চিৎকর মনে হইবে না।