বিলাত যাত্রা করিয়াছিলেন। বিলাত হইতে ফিরিবার পর, তাঁহার লিখিত ‘ইংরাজদের পর্ব্ব’ ও ‘বিলাতের গল্প’ ১৮৯২ সনের ‘সখা’য় প্রকাশিত হইয়াছিল। এই বিদূষী মহিলার বহু সুলিখিত সন্দর্ভ ‘ভারতী’ (১২৯৬..), ‘সাহিত্য’ (১২৯৮..), ‘প্রদীপ’ (১৩০৪..), ‘প্রবাসী’ ‘ভারতবর্ষ’ প্রভৃতির পুরাতন পৃষ্ঠায় বিক্ষিপ্ত রহিয়াছে। কৃষ্ণভাবিনী নারীকল্যাণ-কার্যে জীবন উৎসর্গ করিয়াছিলেন; তিনি ভারতস্ত্রী-মহামণ্ডলের প্রাণস্বরূপ ছিলেন বিলাত-ফেরত হইয়াও তিনি বৈধব্যাবস্থায় হিন্দুবিধবার ন্যায় জীবন যাপন করিয়া গিয়াছেন। ১৯১৯ সনের ২৭এ ফেব্রুয়ারি তাঁহার মৃত্যু হইয়াছে।[১]
অম্বুজাসুন্দরী দাসগুপ্তা। ১৮৭০ সনে পাবনা জেলার ভাঙ্গাবাড়ী গ্রামে অম্বুজাসুন্দরীর জন্ম হয়। তাঁহার পিতা গোবিন্দনাথ সেন রাজসাহীর একজন উকীল ছিলেন। কবি রজনীকান্ত সেন এই গোবিন্দনাথেরই ভ্রাতুষ্পুত্র। অম্বুজাসুন্দরীর বিবাহ হয় ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট কৈলাসগোবিন্দ দাসের সহিত। কিশোর বয়স হইতেই তাঁহার অন্তরে কবিত্বশক্তির উন্মেষ হয়; বিদ্যোৎসাহী স্বামীর সংস্পর্শে আসিয়া তাঁহার কবিপ্রতিভা বিকশিত হয় ও তিনি বিদ্যাচর্চা করিবার সংযোগ লাভ করেন। ‘বামাবোধিনী পত্রিকা,’ ‘সাহিত্য’, ‘নব্যভারত’ প্রভৃতি মাসিকপত্রে ও ‘কুন্তলীন-পুরষ্কারে’ অম্বুজাসুন্দরীর গদ্য-পদ্য বহু রচনা প্রকাশিত হইয়াছে। তাঁহার রচিত গ্রন্থগুলি এই:
- ১ কবিতালহরী: (১০-৯-১৮৯২)। পৃ ২১।
- ২ অশ্রুমালা (কাব্য): (১২-১০-১৮৯৪)। পৃ ২৪।
- ৩ প্রীতি ও পূজা (কাব্য): ১৩০৪ সাল (২-৯-১৮৯৭)। পৃ ১৪১।
- ৪ খোকা (শোক-কবিতা): সংবৎ ১৯৫৯ (২৫-৪-১৯০৩)। পৃ ২১২।
- ৫ প্রভাতী (উপন্যাস): ইং ১৯০৫ (১০ জুলাই)। পৃ ৪৬।
- ৬ দুটি কথা (গল্প): ১৩১২ সাল (৬-২-১৯০৬)। পৃ ৬৯।
- ৭ ভাব ও ভক্তি (কাব্য): ১৩১৩ সাল (২৫-১-১৯০৭)। পৃ ১৬৮।
- ৮ গল্প: ১৩১৩ সাল (১৭-৪-১৯০৭)। পৃ ১৭৭।
- ৯ প্রেম ও পণ্য (কাব্য): ১৩১৭ সাল (২০-৫-১৯১০)। পৃ ১৮৩।
- ↑ দ্র° ‘ভারতী’, অগ্রহায়ণ ১৩২৯।