বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বঙ্গসাহিত্যে নারী.pdf/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৬
বঙ্গসাহিত্যে নারী

পুত্র শরচ্চন্দ্রের সহিত বিবাহ হয়। ১৩০৫ সালের কার্তিক মাসে তাঁহার বৈধব্য ঘটে।

 তরুণ বয়স হইতেই সরলাবালার কাব্যানুরাগের পরিচয় পাওয়া যায়। ১২৯৭ সালের অগ্রহায়ণ-সংখ্যা ‘ভারতী ও বালকে’ প্রকাশিত ‘লজ্জাবতী’ নামে কবিতাটিই বোধ হয়। তাঁহার প্রথম মুদ্রিত রচনা। ‘সাহিত্য’, ‘প্রদীপ’ প্রভৃতি বহু সাময়িক-পত্রিকাতে তাঁহার কবিতা প্রকাশিত হইয়াছে। ছোট গল্প রচনাতেও তাঁহার কৃতিত্ব কম নহে; তাঁহার প্রথম গল্প ‘ঘরের লক্ষ্মী’ তৃতীয় বর্ষের ‘সাহিত্যে’ (কার্তিক ১২৯৯) মুদ্রিত হয়। ‘উৎসাহ’, ‘জাহ্নবী’, ‘উদ্বোধন' প্রভৃতির পৃষ্ঠা অনুসন্ধান করিলে সরলাবালার বহু, গদ্য-পদ্য রচনার সন্ধান মিলিবে। তিনি যে কয়খানি গ্রন্থ প্রকাশ করিয়াছেন, তাহার তালিকা:

১ প্রবাহ (শোককাব্য): ১৩১১ সাল (৮-১০-১৯০৪)। পৃ ২৫৩।
২ চিত্রপট (গল্প): (১৫-১-১৯১৭)। পৃ ২০৪।
৩ নিবেদিতা (জীবনী): জ্যৈষ্ঠ ১৩১৯ (১০-৬-১৯১২)। পৃ ৫৩।
৪ কুমুদনাথ (জীবনী): ১৩৪৪ সাল (১-৩-১৯৩৮)। পৃ ১৫৩।

 লজ্জাবতী বসু। ইনি স্বনামধন্য রাজনারায়ণ বসুর কন্যা। ইহার বহু কবিতা ‘সাহিত্য’ (১৩০০..), ‘প্রদীপ’, ‘নব্যভারত’, ‘প্রবাসী’ প্রভৃতির পৃষ্ঠায় স্থানলাভ করিয়া বঙ্গীয় পাঠক-সমাজকে আনন্দ দান করিয়াছে। ইনি আজীবন কৌমার্য-ব্রত অবলম্বন করিয়া ১৯৪২ সনের ২১এ আগষ্ট, বাহাত্তর বৎসর বয়সে, পরলোকগমন করিয়াছেন। ইঁহার প্রতিভা সম্বন্ধে ১৩৫০ সালের জ্যৈষ্ঠ-সংখ্যা ‘প্রবাসী’তে প্রকাশিত বারীন্দ্রকুমার ঘোষের আলোচনা দ্রষ্টব্য।

 লাবণ্যপ্রভা বসু (সরকার)। ইনি সার্‌ জগদীশচন্দ্র বসুর ভগিনী; ১৯০৭ সনে হেমচন্দ্র সরকার, ডি. ডি.র সহিত তাঁহার বিবাহ হয়। লাবণ্যপ্রভা বিদূষী মহিলা ছিলেন। দৈনিক ধর্ম সাধনের সাহায্যার্থ লিপির আকারে সংকলিত তাঁহার ‘দৈনিক’ গ্রন্থখানি (প্রথমার্ধ ১৮৯৯, উত্তরাধ ১৯০১) বহু ক্ষুধিত আত্মার তৃপ্তিসাধন করিয়াছে। এতদ্ব্যতীত তিনি ‘নীতি-কথা’, ‘গৃহের কথা’, ‘পরিণয়’, ‘কবি ও কাব্যের কথা’ ‘পৌরাণিক কাহিনী’ (১ম