পাতা:বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস (কায়স্থ কাণ্ড, পঞ্চমাংশ, উত্তররাঢ়ীয় কায়স্থ কাণ্ড, তৃতীয় খণ্ড).djvu/১০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শাণ্ডিল্য গোত্র ঘোষ বংশ। ] উত্তর রাষ্ট্ৰীক্স কাল্পস্থ-কাওe 'GN) করিতেন এবং পাটনার রাজপুরুষগণ, জমিদারগণ এবং নবাব-পরিবারবর্গ কৃষ্ণচন্দ্রের বাড়ী ৰাতায়াত করিতেন। তাহার কার্ধে সন্তুষ্ট হইয় গবৰ্ণমেন্ট তাহাকে ‘রায় বাহাদুর উপাধি প্রদান করিয়াছিলেন। কৃষ্ণচন্ধের জ্যেষ্ঠ কন্যার সহিত পাটনার বিখ্যাত উকীল রায় পূর্ণেন্দু নারায়ণ সিংহ বাহাদুর কাইসার-ই-হিন্দ মহাশয়ের বিবাহ হইয়াছিল। এই বিবাহ উপলক্ষেই পূর্ণেন্দু পাটনায় শিক্ষার্থ গমন করেন ও উত্তর কালে তথায় বাস করেন। বল্লভীকান্তের ভ্রাত রামানন্দ ঘোষ কৰ্ম্ম উপলক্ষে নদীয়া জেলার কুঠিয়া মহকুমার অন্তর্গত আমলা-সদরপুর গ্রামে বাস করেন। তিনি প্রায় লক্ষাধিক টাকা আয়ের জমিদারী সম্পত্তি খরিদ করিয়াছিলেন । তিনি একজন সুচতুর বিষয়ী লোক ছিলেন। মৃত্যুকালে তাহার পুত্র সস্তান ছিল না। দুইট কন্যা ছিল । জ্যেষ্ঠ কন্য। ব্রজসুন্দরী ও কনিষ্ঠ প্যারীসুন্দরী। ব্রজসুন্দরীর বিবাহ ছাতিন-কান্দী গোবিন্দ দশরথ সিংহ বংশে চন্দ্রনারায়ণ সিংহ সহ এবং প্যারীমুন্দরীর বিবাহ কান্দী জীবধর শ্ৰীকৃষ্ণবংশে কৃষ্ণনাথ সিংহ সহ হুইয়াছিল। প্যারীসুন্দরী অল্প বয়সে বিধবা হওয়ায় রামানন্দ তাহাকে একদিকে হিন্দু বিধবার উপযোগী শাস্ত্রাদি চর্চ ও অপরদিকে বিষয়কৰ্ম্ম বুঝিবার উপযোগী শিক্ষা দিয়াছিলেন। রামানন্দ ঘোষ প্যারীসুন্দরীকে নিজের বৈঠক-খানার পাশ্বের কুঠুরীতে রাখিয়৷ আমলাদিগকে ডাকিয় জমিদারীর ও নীলকুঠীর যাবতীয় কৰ্ম্ম করিতেন। প্যারীসুন্দরীকে মধ্যে মধ্যে পরামর্শ জিজ্ঞাসা করিতেন। র্তাহার বিষয়ঞ্জান দেখিয়া রামানন্দ আশ্চৰ্য্যান্বিত হইতেন। প্যারীমুন্দরী বাল বিধবা হইলেও দত্তকগ্রহ৭ জন্ত স্বামীর অনুমতি পাইয়াছিলেন । ব্রজসুন্দরীর একটা মাত্র কল্প শুমাসুন্দরীর বিবাহ বংশীবদন ঘোষবংশে মনোমোহন ঘোষ সহ হইয়াছিল। রামানন্দের মৃত্যুর পর তাহার সম্পত্তি দুই কন্যায় পাইয়াছিলেন । কিন্তু প্যারীসুন্দরীই সমস্ত বিষয়কৰ্ম্ম পৰ্য্যালোচনা করিতেন । প্রজাপলিন ও দুষ্টদমনকার্য্যে প্যারীসুন্দরীর নাম এখনও নদীয়া ও যশোর জেলার অধিবাসীদিগের আদর্শ রহিয়াছে। কথিত আছে, কুষ্ঠিয়ার বিখ্যাত নীলকর কেনি সাহেব অত্যন্ত অত্যাচারী ছিলেন। র্তাহার বহু লাঠিয়াল ছিল। তাহদের সাহায্যে তিনি পাশ্ববৰ্ত্তী জমিদারদিগের এলাকায় নীল বপন করাইতেন এবং নানাপ্রকারে প্রজাবৰ্গকে উৎপীড়ন করিতেন । বহু প্রজা প্যারীসুন্দরীর নিকট নিজেদের দুর্দশার কথা জানাইল । প্যারীসুন্দরী প্রথম প্রথম সাহেবের সহিত আপোষের কথাবাৰ্ত্তী চালাইলেন। কিন্তু একে বাঙ্গালী তায় স্ত্রীলোক ! কেনি সাহেব তাহার কথা অগ্রাহ করিয়া অপমানকর গালি দিলেন প্যারীসুন্দরী বলিলেন, আমি যদি রামানন্দর্ঘোষের কস্ত হই, তবে কেনি সাহেবকে ধরিয়ু আনিয় তাহার মাথায় নীল বুনিব । এই কথা সাহেবের কাণে পৌছিলে সাহেব দ্বিগুণ উৎসাহের সহিত অত্যাচার আরম্ভ করিলেন। প্যারীমুন্দরী তাহাকে বলিয়া পাঠাইলেন, চোর ডাকাতের মত অকস্মাৎ অত্যাচার করা ক্ষমতার পরিচায়ক নহে। একটা নির্দিষ্ট দিন দিয়া তিনি সাহেবকে জানাইলেন। অমুক দিন স্বৰ্য্যোদয়ের পর তোমার কুঠ আক্রমণ করিব, তুমি আত্মরক্ষা করিও। বলা বাহুল কেনি সাহেবের প্রার্থনা মত জেলার মেজিষ্ট্রেট २ ●