পাতা:বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী (উত্তর ভারত) - জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস.pdf/২৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

gभg६ । । እb”ò [াতৃভাষা পরিপুষ্ট করিয়াছেন। ইহঁরাই এখানে কৃষ্ণকীৰ্ত্তনের এবং কৃষ্ণলীলাভিনয়ের প্রথম প্ৰবৰ্ত্তক । কথিত আছে যে নারায়ণ ভট্ট, বল্লভ নামক এক নৰ্ত্তককে শ্ৰীকৃষ্ণের সমস্ত লীলাভিনয়ের ভার প্রদান করেন। এই বল্লভ কয়েকটা ব্ৰাহ্মণ বালককে হাবভাবযুক্ত নৃত্য ও অভিনয়োপযোগী শিক্ষা দিয়া কাহাকে শ্ৰীকৃষ্ণ, কাহাকে রাধিক এবং আটটীি বালককে কৃষ্ণের অষ্ট সখী नाऊाझेशा কৃষ্ণলীলার অভিনয় করেন। গোস্বামী রঘুনাথদাসও এই সময় কৃষ্ণভক্তি প্রদারিনী বহু গাগা রচনা করেন। এই অপূৰ্ব্ব অভিনয়, গোস্বামী জয়দেবের গীতগোবিন্দের তানলয়যুক্ত সংস্কৃত সঙ্গীত, এবং খোলকরতাল বাদ্যের সঙ্গে সঙ্গে নৃত্যসহ চৈতন্যদেব প্ৰবৰ্ত্তিত চরিসংকীৰ্ত্তন, ব্রজমণ্ডলে এক নবযুগের সৃষ্টি করিয়াছিল। ব্ৰজবাসিগণ তাহাতে শোক দুঃখ ভুলিয়া কৃষ্ণপ্রেমে মাতোয়ারা হইয়াছিল। ব্ৰজধাম নিত্য মহোৎসবে লীলাস্থল পরিণত হইয়াছিল । কিন্তু ব্ৰজের এই সুখের দিন আর অধিককাল স্থায়ী হইল না । সম্রাট আকবর ও তাহার পুত্র এবং পৌত্রের রাজত্বকালে বাঙ্গালী বৈষ্ণবগণ যে ব্ৰজমণ্ডলকে র্যালোচনার কেন্দ্ৰ, প্ৰেমভক্তির পাথার এবং ভাগবতগণের সুখের স্বৰ্গ করিয়া তুলিয়াছিলেন, আকবরের প্রপৌত্ৰ ধৰ্ম্মান্ধ আরঙ্গজেব তাহার ধ্বংসসাধন দ্বারা পূৰ্ব্বপুরুষের গৌরবস্তম্ভ ভূমিসাৎ করিলেন। গোবিন্দজীর মন্দিরশীর্ষস্থ আলোকরশ্মি দিল্লীর ময়ুর সিংহাসনে উপবিষ্ট হিন্দুবিদ্বেষ-দগ্ধ অঙ্গারমলিন-হৃদয়ে BDD DDDB DDBB BB DBDD DBB BDB DDB DBDS DBBBS তখন ঐ মন্দিরের চুড়াটী ভগ্ন করিয়া তাহার উপর মসজিদ নিৰ্ম্মাণের কল্পনা তাহার অনুদার মস্তিন্ধে স্থান পাইল । তঁহার কল্পনার আভাস পাইয়াই আগ্রাস্ত প্ৰধান প্রধান হিন্দুগণ গুপ্তচর দ্বারা ব্ৰজমণ্ডলের গোস্বামিগণের নিকট সংবাদ প্রেরণ করিলেন । এই নিদারুণ সংবাদ পাইয় তাহার রাজপুতানার প্রতাপান্বিত রাজা মহারাজদিগের সহায়তায় প্রধান প্ৰধান বিগ্ৰহ গুলি অতি সংগোপনে স্থানান্তরিত করিতে লাগিলেন এবং তৎসঙ্গে সকলেই আত্মরক্ষার উপায় দেখিতে লাগিলেন। যে মন্দিরের জন্য বাদশাহের গৃধ্রুদৃষ্টি ব্রজমণ্ডলে পতিত হইয়াছিল অম্বরপতি তাহার অধিষ্ঠাতা গোবিন্দদেবকে স্থানান্তরিত করিবার জন্য মহা উদ্বিগ্ন হইয়া উঠিলেন। সাধারণের সন্দেহের কোন কারণ না জন্মে। এ জন্য তিনি গোবিন্দজীকে একেবারে অম্বরে আনিয়া প্ৰতিষ্ঠিত করেন নাই । অতি সংগোপনে