পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৫৪ শ্ৰীকৃষ্ণবল্লভ । রাজ-সভায় ঐনিবাস । বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় । শ্ৰীকৃষ্ণবল্লভ নামে ব্রাহ্মণ-ত নয়। আচাৰ্য্য-দর্শনে তার হইল প্রমোদয় ॥ তেহেঁ দেউলিতে নিজ-গৃহে লৈয়া গেলা । আচার্য্যের পাদপদ্মে আত্ম-সমপিল ॥ আচাৰ্য্য ঠাকুর তারে জিজ্ঞাসিল ঘাহা । ক্রমে বিস্তারিয়া তেহো কহিলেন তাহা ॥ ভাগবত শুনে রাজা এ কথা শুনিয়া । রাজসভা চলে কৃষ্ণবল্লভে লইয়া ৷ আচার্য্যের তেজ দেখি রাজা সাবধানে। ভূমে পড়ি প্রণমি আপনা ধন্ত মানে ॥ বসিতে দিলেন আনি অপূৰ্ব্ব আসন। কিছু জিজ্ঞাসিতে করে আচাৰ্য্য বারণ ॥ অহে রাজা ভাগবত-কথা-সাঙ্গ পরে। যাহা জিজ্ঞাসিবে তাহা কহিব তোমারে ॥ যে আজ্ঞা বলিয়া রাজা মনে বিচারয়। ইহে গ্রন্থ-রত্বের অধ্যক্ষ মুনিশ্চয় ॥ মোর ভাগ্যে অকস্মাৎ দিলা দরশন। করিমু ইহার পদে আত্ম-সমৰ্পণ। ঐছে বিচারিয়া রাজা একদৃষ্টে চায়। আচাৰ্য্য শেষেতে কিছু কহিল রাজায় ॥ পূৰ্ব্বেই রাজার হইয়াছে শুদ্ধ মন । শুনিতে যথার্থ অর্থ করে নিবেদন ॥ ওহে মহাশয় এই হয় মোর মনে। ভাগবত-পদ্য-ব্যাখ্যা কর শ্রীবদনে ॥ শুনিয়া রাজার বাক্য আচাৰ্য্য ঠাকুর । জানিল রাজার দুষ্ট বুদ্ধি গেল দুর। আচাৰ্য্য কহেন কি শুনিতে হয় মন । রাজা কহেন শ্রীভ্রমর-গীত কিছু কন। রাজার বচনে মগ্ন হইলেন মুখে। রাজার পাঠক গ্রন্থ দিলেন সম্মুখে ॥ আচাৰ্য্য ঠাকুর যত্নে পাঠ আরম্ভিল অশ্রুত অদ্ভূত অর্থ সুধাবৃষ্টি কৈল।