বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>° oや ! - বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় । লোকদের কোলাহল হওয়াতে হাতীর আসা শুনিতে পাইয়া হাতী দেখিতে সকলেই গেল কিন্তু তাহদের মধ্যে নিরাকাজ এক বৃদ্ধ পণ্ডিত ছিল কেবল সে গেল না। পরে ঐ অন্ধদের মধ্যে কেহ হস্তীর পাদ কেউ শুণ্ড কেহ বা উদর কেউ বা পুচ্ছ কেহ বা কৰ্ণ স্বস্ব হস্তে স্পর্শ করিয়া ঐ বুদ্ধের নিকটে আইল। বৃদ্ধ সকলকে জিজ্ঞাসা করিলেন কে হস্তী কেমন দেখিলা কহ। তাহাতে পাদস্পর্শী কহিল স্তম্ভাকার হস্তী। শুণ্ডম্পশাঁ কহিল না না তেমন নয় সপাকার হস্তী। উদরষ্পর্শী কহিল দুর বেটা তুই কিছু জানিস না হাতীটা ঢাকের মত। পুচ্ছম্পর্শ কহিল উছ এমন নয় গো-লাঙ্গুলাকার হস্তী। কর্ণস্পর্শী কহিল তোমরা কেহ কিছু জাননা আমি যথার্থ কহি কুলার মত হাতীটা। অনন্তর পরস্পর সকলের বিরুদ্ধ বাক্য শ্রবণ করিয়া ঐ বৃদ্ধ কহিলেন তোমরা বিরোধ করিও না আমি তোমাদের সকলেরি বাক্যের প্রামাণ্য রাখিয়া হস্তীর স্বরূপ নির্ণয় করিয়া দিতেছি গুন তোমরা সব একৈক প্রদেশম্পর্শী সকলেই লোচন বিহীন চক্ষুষ প্রত্যক্ষ কাহারো হয় নাই। প্রত্যেকে হস্তীর একৈক দেশ স্পর্শ করিয়াছ। ত্বাচ প্রত্যক্ষ তোমাদের সকলেরই সমান হইয়াছে অতএব যে যা স্ব স্ব জ্ঞানানুসারে বলিতেছ সে যথার্থ বটে মিথ্যা নয় কিন্তু এক জাতি বস্তু নানা প্রকারাকার হইতে পারে না অতএব তোমাদের সকলের এক জাতীয় প্রমাণে অনুভূত যে এক হস্তীর বিভিন্ন প্রদেশ সকল তাহার যথাযোগ্য অবয়ব বিশেষ সন্নিবেশেতে এক অবয়বী হস্তীর স্বরূপ নিরূপণ করিয়া আমি কহি । চক্কাকারোদর স্তম্ভাকার পাদ শূপাকৃতি কৰ্ণ গো-লাঙ্গুলাকৃতি পুচ্ছ সপাকার শুণ্ড এতাদৃশ স্বরূপ হস্তিনামা চতুষ্পদ পশুজাতি জানিও । এতাদৃশ ছায়ে বৈদান্তির বৈশেষিক নৈয়ায়িক মীমাংসক সাংখ্য পতঞ্জল রূপ পঞ্চদার্শনিক নির্ণীত জগৎকারণ পরমেশ্বরের যে একৈক দেশ তার সম্ভবানুসারে সঙ্কলন করিয়া জগৎকারণ একরূপ পরমেশ্বর হন ইহা তটস্থ লক্ষণাতে নিরূপণ করিয়া স্বরূপ লক্ষণাতে অন্ত পঞ্চ দার্শনিকদের অস্পৃষ্ট হস্তিপৃষ্ট ভাগ প্রায় সচ্চিদানন্দ মাত্র স্বরূপ পরমেশ্বর এই নিষ্কর্ষ করেন। দশম স্যায়ের বিবরণ । দশ জন একত্র হইয়া কোন দেশে যাইতে ছিল পথিমধ্যে এক নদী ছিল তাহ পার হইয়া পরপারে বসিয়া সকলে কহিল আমরা দশ জন পার হইয়াছি কিম্বা দশ জনের মধ্যে কেহ পার হয় নাই ইহা জানা ভাল। এই পরামর্শেতে প্রথমত একজন অন্ত নয় লোককে গণিয়া আপনাকে না গণিয়া কহিল যে ওরে ভাইরা নয় জন যে হয় আর একজন কমনে গেল। ইহা শুনিয়া