পাতা:বঙ্গ গৌরভ - জলধর সেন.pdf/৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অরবিন্দ ঘোষ ჯტ* তিনি আমাদিগকে যে আঘাত করেন, সে আঘাত আমাদিগকে বিনাশ করিবার জন্য নহে, আমাদিগকে নূতন করিয়া গড়িয়া তুলিবার জন্য। নিপীড়নের ভিতর দিয়াই আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌছিতে সমর্থ হইব।” এই সময়ে ‘কর্মযোগিন’ নাম দিয়া তিনি একখানা নূতন কাগজ বাহির করেন। এই ‘কর্মযোগিন’ কাগজেরই একটি প্রবন্ধের জন্য তঁহার নামে ১৯১০ খ্রিস্টাব্দে আবার অভিযোগ উপস্থাপিত হয়। কিন্তু এবারেও সরকার তাঁহাকে দণ্ড দিতে পারিলেন না। ইহার পরেই তিনি পণ্ডিচেরিতে চলিয়া যান এবং এখনও সেইখানেই বাস করিতেছেন।* পণ্ডিচেরিতে গিয়া তিনি পার্থিব সমস্ত ভাবনা ভুলিয়া নির্জনে যোগ-সাধনায় রত আছেন। তঁহার এই যোগসাধনার উদ্দেশ্য নিজের মুক্তি নহে-মানবতা বা মানব সমাজের মুক্তি । অরবিন্দর সম্পাদকতায় ‘আৰ্য্য* নামে আরও একখানা পত্রিক বাহির হইয়াছে। পত্রিকখানি দার্শনিক প্রবন্ধে পূর্ণ থাকে। প্রায় সমস্ত প্ৰবন্ধই অরবিন্দ লিখিতেছেন। অরবিন্দের সাহিত্যিক শক্তিও অতিশয় অদ্ভুত ও বিস্ময়কর। র্তাহার রচনার ভিতর এমন একটা সরলতা, গান্তীর্য, মধুরতা এবং আবেগ আছে, যাহা অনেক বড় বড় লেখার ভিতরেও একসঙ্গে দেখিতে পাওয়া যায় না। অরবিন্দ ঘোষের জীবন ঘটনা-বহুল নহে। চৌত্ৰিশ বৎসর বয়সে বাংলায় আসিয়া তিনি দেশের কাজ আরম্ভ করেন। এই দেশসেবাও দীর্ঘ দিন করিবার তাহার অবকাশ হয় নাই। কিন্তু এই অল্প সময়ের ভিতরেই দেশসেবার যে অনুপ্রেরণায় তিনি দেশের লোককে উদ্ধৃদ্ধ করিয়া রাখিয়া গিয়াছেন তাহা অতুলনীয়। র্তাহার ব্যক্তিত্ব, র্তাহার কর্ম প্ৰণালীর আদর্শ, তাহার ধর্মপ্ৰাণতা তাহাকে বরণীয় করিয়া রাখিয়াছে।

  • やすび研エ令ーエ Q.> ミ.>&?o