পাতা:বত্রিশ সিংহাসন - নীলমণি বসাক.pdf/১২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১১৬
বত্রিশ সিংহাসন

চিন্তাকুলিত হইলেন। বিবাহের দিবস অতি নিকট হইয়াছে, ঐ দিনে ঐ লগ্নে কি প্রকারে বিবাহ হইবেক, তৎকালে এই ভাবনাই প্রবল হইয়া উঠিল, আর আর আমোদ প্রসোদ কিছুই রহিলনা।

 বণিক নিরুপায় হইয়া, লগ্ন ভ্রষ্ট হইবার আশস্কায় বিমর্ষ ভাবে আছেন, এমত সময়ে কোন ব্যক্তি তাঁহাকে কহিল যদি প্রজাপতির নির্বন্ধ থাকে তবে অবশ্যই নির্ধারিত লগ্নে বর কন্যার বিবাহ হইবেক, আমি তাহার এক পরামর্শ কহিতেছি তুমি তাহার চেষ্টা দেখ, পরমেশ্বরের কৃপাতে তাহা সিদ্ধ হইতে পারে। বণিক ব্যগ্রতা পূর্ব্বক কহিলেন হে ভ্রাতঃ ভগবান, লজ্জা নিবারণের কর্ত্তা। এক্ষণে যাহাতে আমার কর্ম পণ্ড না হয় তাহার পরামর্শ বল। ঐ ব্যক্তি কহিল কিয়দিবস হইল, এক সূত্রধর এক চতুদ্দোল নির্মাণ করিয়া রাজা বিক্রমাদিত্যকে দিয়াছিল। ঐ চতুর্দোলের গুণ এই, তাহাতে উপবেশন করিয়া যেখানে ইচ্ছা তৎক্ষণাৎ গমন করা যায়। রাজা এই চমৎকার গুণের কথা শুনিয়া সুত্রধরকে দুই লক্ষ মুদ্রা দিয়া তাহা গ্রহণ করিয়াছেন। ঐ চতুর্দোল এক্ষণে তাহার ভাণ্ডারে আছে, তুমি রাজার স্থানে তাহা প্রার্থনা করিয়া লও। তাহা হইলে অনায়াসে তোমার কর্ম্ম সিদ্ধ হইবে।

 বণিক এই পরামর্শে পরমাহলদিত হইয়া তৎক্ষণাৎ রাজসদনে গমন করিলেন, এবং রাজদ্বারে উপস্থিত