পাতা:বত্রিশ সিংহাসন - নীলমণি বসাক.pdf/১৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৩৮
বত্রিশ সিংহাসন

নাই। তাহাতে দুঃখিত হইয়া বেতালের স্কন্ধারোহণে চন্দ্রলোকে গমন পূর্ব্বক, চন্দ্রের সম্মুখে দণ্ডবৎ প্রণাম পুরঃসর কৃতাঞ্জলি হইয়া বলিলেন আমার কি অপরাধ হইয়াছে যে আপনি আমার প্রতি নির্দয় হইয়াছেন। সকল দেবতা, আমার প্রতি সদয় হইয়া আগমন করিয়াছেন, কিন্তু আপনার অনাগমনে আমার কর্ম সম্পূর্ণ হইতেছে না, অতএব আপনি আগমন করিয়া আমার কর্ম সম্পূর্ণ করুন, ইহাতে আপনারও ধর্ম এবং যশোলাভ হইবে। যদি আপনি গমন না করেন তবে আমি আপনার সমক্ষে প্রাণত্যাগ করিব। নিশানাথ সহাস্য। বদনে কহিলেন, হে নরোত্তম, আমার অগমনে তুমি ক্ষুন্ন হইওনা, আমি গমন করিলে তাবৎ পৃথিবী অন্ধ কারময় হইবে, এজন্য আমার গমন হইতে পারেনা। আমাকে দর্শন করিবার তোমার যে অভিলাষ ছিল তাহ পূর্ণ হইল। তোমার কর্ম্ম সফল হইবে, তুমি আপন নগরে যাইয়া যে কর্ম্ম আরম্ভ করিয়াছি তাহা সমাপন কর। চন্দ্র, রাজাকে এই প্রকার প্রবোধ বাক্যে সন্তুষ্ট করিয়া অমৃত দিয়া বিদায় করিলেন।

 রাজা সেই অমৃত শিবোধার্য্য করিয়া প্রণাম পূর্ব্বক আপন রাজধানীতে প্রত্যাগমন করিতেছেন। পথি মধ্যে দেখিলেন দুই যমদূত এক ব্রাহ্মণের আত্মা পুরুষ লইয়া আসিতেছে। রাজা তাহা বুঝিয়া দণ্ডায়মান হইলেন। ব্রাহ্মণের আত্মা দূর হইতে রাজাকে দেখিয়া কহিল এই রাজার সহিত আমার আলাপ আছে।